29 C
Dhaka, BD
রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

কাশ্মিরে সংঘর্ষ গুলি, নিহত ১১

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের এক আস্তানায় দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে তিন বিদ্রোহীর প্রাণহানির পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে অন্তত সাত বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। এর আগে শনিবার সকালের দিকে ওই অভিযানের শুরুতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক সেনাসদস্য নিহত হয়।

স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তা ও পুলিশ বলছে, শনিবারের এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত এক সেনাসদস্য, তিন বিদ্রোহী ও সাত বেসামরিকের প্রাণহানি ঘটেছে।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের দক্ষিণাঞ্চলের পুলওয়ামা এলাকার একটি বাড়িতে বিদ্রোহীরা লুকিয়ে ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই বাড়ি ঘেরাও করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

কাশ্মিরের পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোম প্রকাশ পানি ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর সাবেক এক সদস্য; যিনি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি-সহ তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। গোলাগুলির সময় নিরাপত্তাবাহিনীর এক সদস্যও মারা গেছেন।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওই বাড়িতে সংঘর্ষ চলাকালীন শত শত গ্রামবাসী তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে বাড়িটির দিকে অগ্রসর হতে থাকেন এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, একটা গোলমাল হয়েছে। সেনাবাহিনীর গুলিতে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় একটি হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেছেন, গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা গেছেন।

আন্তর্জাতিক একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপ বলছে, ২০০৯ সালের পর চলতি বছরে কাশ্মিরে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মিরে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে দেড়শ বেসামরিক নাগরিক-সহ প্রায় ৫৫০ জন নিহত হয়েছে।

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, চলতি বছরে ২৩০ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই কাশ্মির উপত্যকার স্থানীয় বাসিন্দা। তবে প্রতিনিয়ত কাশ্মিরের বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে নতুন নতুন সদস্য নিয়োগ করা হচ্ছে।

২০১৬ সালে কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জনপ্রিয় এক নেতার প্রাণহানির পর বিদ্রোহীদের প্রতি কাশ্মিরের জনগণের সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় হাজার হাজার গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে।

আরও পড়ুন : সর্বস্বান্ত হচ্ছে পৃথিবীর সাড়ে ৪ গুণ বড় একটা গ্রহ

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ভারত পাকিস্তান বিভক্ত হয়। তখন থেকেই কাশ্মির দ্বিখণ্ডিত। দুই দেশের মাঝে অবস্থিত হিমালয় অঞ্চলের কাশ্মিরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে ভারত-পাকিস্তান।

কাশ্মিরের স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে বিদ্রোহীরা। তবে ভারত সরকার কাশ্মিরকে তাদের ভূখণ্ড দাবি করে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৫ লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে। ১৯৮৯ সালের পর থেকে কাশ্মিরে অন্তত ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; এদের অধিকাংশই বেসামরিক।

সর্বস্বান্ত হচ্ছে পৃথিবীর সাড়ে ৪ গুণ বড় একটা গ্রহ

পৃথিবীর চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ গুণ বড় আর ১৪ গুণ ভারী এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যা একটি নক্ষত্রের প্রভাবে দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। নাসার হার্বল স্পেস টেলিস্কোপে ওই গ্রহটি ধরা পড়ে প্রায় ছয় বছর আগে। অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নামে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নালের ১৩ ডিসেম্বর সংখ্যায় এই তথ্য জানোনো হয়েছে।

এতে বলা হয় গত ৬ বছর ধরে গ্রহটির উপর নজর রাখছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তারা দেখতে পান একটা সুবিশাল, ভারী গ্রহ কর্পূরের মতো অসম্ভব দ্রুত গতিতে হারিয়ে যাচ্ছে। হয়ে পড়ছে সর্বস্বান্ত।

ড. কামাল বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছেন ওবায়দুল কাদের

সারাদেশে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। বেপোরোয়া ড্রাইভারের মতো ড. কামাল বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিববার দুপুরে ঢাকা থেকে তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর যাওয়ার পথে ফেনীর দাগনভূঞায় সাংবাকিদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিকদের ‘খামোশ’ বলে ড. কামাল পুরোনো পাকিস্তানি ভাষা ব্যবহারের স্বরূপ ঢাকতে পারেননি। তিনি যে নীতি-নৈতিকতার কথা বলেন, নষ্ট রাজনীতির কথা বলেন, অথচ গতকাল প্রমাণ করেছেন তিনিই বাংলাদেশে নষ্ট রাজনীতির প্রবক্তা। ড. কামাল প্রমাণ করলেন মানুষের শক্তি যত কমে আসে, তার মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে যায়। তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেজন্য তাদের মুখের বিষ তীব্র হয়ে পড়েছে।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বা বিএনপির সঙ্গে শতকরা ১০ জন লোকও নেই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ৯০ শতাংশ লোক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী।

এ সময় দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিউলি বহিষ্কার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণার অভিযোগে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতি শিউলীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

গঠনতন্ত্রের ৪৬ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মতি শিউলীকে দল থেকে কেন চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে না-কারণ দর্শানো নোটিশে এর জবাব আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ড. কামাল

কাউকে বিব্রত করে থাকলে দুঃখিত ড. কামাল
স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শনিবার সকালে গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন,হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমি সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে শামিল থেকেছি। আশা করি, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা তাদের জীবনের বিনিময়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আমরা সবাই মিলে গড়তে সক্ষম হবো।’

শুক্রবার সকালে মিরপুরের শহীদ বেদীতে সাংবাদিকরা ড. কামালকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারে এসব বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলবেন না।’

একই প্রশ্ন আবার করা হলে ড. কামাল ক্ষেপে উঠে বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। বেহুদা কথা বল। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? চিনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব। পয়সা পেয়ে শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা কর তোমরা। আশ্চর্য!

পাশে থাকা দুই একজন নেতা এ সময় কামাল হোসেনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরেকজন সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন চালিয়ে গেলে ধমকে ওঠেন কামাল।

তিনি বলেন, শহীদদের কথা চিন্তা কর। চুপ করো। চুপ করো। খামোশ।

পরে তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে প্রশ্ন করেন, আশ্চর্য! তোমার নাম কি?… কোন পত্রিকার?… টেলিভিশন, জেনে রাখলাম।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি জিডি করেছেন দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ।

ধামরাইয়ে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নিহত ১ আহত কমপক্ষে ১৫জন

ঢাকার ধামরাইয়ে বালিথা এলাকায় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে মোসাঃ শিল্পী আক্তার (৩৫) নামে বাসের যাত্রী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার (১৪ডিসেম্বর) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বালিথা নামক স্থানে এই দৃর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোসাঃ শিল্পী আক্তারের বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার ঘিওর গ্রামের মোঃ সিরাজ মন্ডলের মেয়ে।

এই ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক ( এস আই) ভজন রায় জানান নবীনগর থেকে ছেড়ে আসা মানিকগঞ্জ-গামী একটি স্বপ্ন পরিবহন বাস ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা নামক স্থানে পৌছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।এই সময় বাসের ভিতরে থাকা যাত্রী মোসাঃ শিল্পী আক্তার নামে বাসের তলে পড়ে ঘটনাস্থলে  মারাযান এবং আর প্রায় ১৫জন যাত্রী আহত হলে এলাকাবাসির সহযোগিতাই গোলড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ধামরাই থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালেসহ বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ ২ আসনের বিএনপি প্রার্থীর পথসভা অনুষ্ঠিত

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পথসভা করলেন সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম খান নয়ামিয়ার সুযোগ্য পুত্র মইনুল ইসলাম খান (শান্ত)তিনি গতকাল মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানা জামিত্তা ইউনিয়নের পানিসাইল এন,এস,আই খান হাই স্কুল মাঠে জনগণ কে একত্ব হয়ে ধানের শীষ ভোট চাইলেন এসময় উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট জামিল সভাপতি মানিকগঞ্জ বিএনপির আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক সাহেব এবং আব্দুল হাকিম আরো অন্যান্য নেতাকর্মী গন ও এলাকার মুরুব্বী জন  সভায় তুলে ধরা হয় স্বৈরাচারী সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম এবং ব্যাংক লুট ও সোনা তামা হয়ে যাওয়ার ঘটনা মা বোনদের উপর বিভিন্ন রকমের অত্যাচার ও নিরীহ লোকদের অযথা হয়রানি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি এবং গ্রেফতার নিয়ে কথাবার্তা বলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন তার সরকার নির্বাচিত হলে তিনি এ অঞ্চলে ঘাসের ব্যবস্থা করে দেবেন আরো বলেন পূর্বের ন্যায় দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন এবং তিনি আরো বলেন তার বাবা এ অঞ্চলে যেমন রাস্তাঘাট  ধলেশ্বরী সেতু সিংগাইর মানিকগঞ্জ মহাসড়ক এবং বিদ্যুৎ এর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করে গেছেন এবং তিনি একযোগে তার সরকার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য আহ্বান জানান ।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা আওয়ামী-লীগের মুল লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নৌকায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার ক্ষমতায় আসলে আরেকটি পদ্মা সেতু করব’

তিনি বলেছেন, এবার ক্ষমতায় আসলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করে দিব।

আওয়ামী-লীগের সভাপতি  ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখায় আওয়ামী-লীগের মুল লক্ষ্য। আপনারা যদি আর একবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের   মধ্যে উন্নয়ন শীল দেশ হিসাবে এগিয়ে নিয়ে যাব। বৃহস্পতিবার বেলা ৬ঘটিকার সময় ঢাকার(ধামরাই) হার্ডিঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভায় বত্তব্যকালে তিনি এই কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আর বলেন,আমরা প্রতিক্রতি দিলে তা রক্ষা করি । আজকে আপনারা ঘরে বসে সারা বিশে^র খবর নিতেছেন কি ভাবে  সেটা ও আওয়ামী-লীগের প্রচেষ্টায়, আমরা বলেছিলাম ক্ষমতাই গেলে বিদ্যুৎতের ঘাটতি থাকবে না এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে  বিদ্যুৎতের আলো ছড়িয়ে দিব সেটা করে দিয়েছি ইন-আল্লাহ। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ ও মাদকের ছোবল থেকে আপনাদের ছেলে মেয়েদের  দুরে রাখতে হবে এই দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। আর আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনলে আমরা আপনাদের সোনার বাংলা উপহার দিব।
আজ সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার পথে রওনা হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাতটি জায়গায় নির্বাচনী পথসভায় যোগদেন। প্রথমে ফরিদপুর ভাঙ্গার মোড়ে, ফরিদপুর কোমরপাড়ায় পথসভা করেন এরপর রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে, মানিকগঞ্জ পাটুরিয়া থেকে মানিকগঞ্জ পৌরসভায় পথসভা করে ঢাকার ধামরাই পৌর শহরে নির্বাচনী পথসভা করেন,সর্বশেষ  সাভার পথসভা করে  ঢাকা চলে যান।
 জানা গেছে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানের প্রচার শুরু করেন। তবে কোটালিপাড়া জনসভাটিই হবে তার নির্বাচনী প্রথম জনসভা।

আওয়ামী লীগ পকেট ভারি করার উন্নয়ন করেছে মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ পকেট ভারি করার উন্নয়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী কুমারপুর হাই স্কুল মাঠে সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময় বলে আওয়ামী লীগ নাকি ব্যাপক উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ, আসলে তাদের নেতাদের পকেট ভারি করার উন্নয়ন করেছে, তারা দেশের জনগণের জন্য কিছুই করেনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মেগা আর বড় বড় প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং লুটপাট করেছে৷ তারা দুর্নীতি করে এদেশের মানুষকে ঠকিয়েছে, বিএনপি দেশের মানুষকে ঠকানোর জন্য রাজনীতি করে না। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, মুক্ত করতে হবে এদেশের গণতন্ত্রকে এবং ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে৷ এ সময় দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল৷ সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আনোয়ার হোসেন লালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ কুণ্ড, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

এ সময় শুখানপুখরী, বালিয়া ইউনিয়ন সহ পাঁচটি ইউনিয়নের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷

আবাবো ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ‘ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে’র (ইআইইউ) কান্ট্রি ব্রিফিং

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইআইইউ ধারণা করছেন আগামি একাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও জয়ী হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।ডিসেম্বরের শুরুতে সর্বশেষ বাংলাদেশ বিষয়ে প্রকাশিত এক গবেষণায় ইআইইউ এই তথ্য জানিয়েছে।

ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণায় এর কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃণমূলের সমর্থন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে

আওয়ামী লীগের বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে ইআইইউ।

ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মনে করছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির পাশাপাশি ভোটের মাঠে একটি কার্যকর বিরোধী শক্তির অনুপস্থিতির কারণে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ গড়ে তুলতে পারবে না।’

ইআইইউর পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আগামী পাঁচ বছরও অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৭.৭ শতাংশ হারে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও ভোগ বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখা, এবং দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়াতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ আপডেট...