27 C
Dhaka, BD
রবিবার, জুন ৮, ২০২৫

ধানের শীষের লিফলেট বিলিয়ে ফখরুল কন্যা’র ভোট প্রার্থনা

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে সাধারন ভোটারদের মাঝে ধানের শীষের লিফলেট বিলিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জেষ্ঠ কন্যা মির্জা শামারুহ।
মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভূক্ত ঠাকুরগাঁও পৌরসভা’র হাজীপাড়া, কালিবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়িতে ও বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে সাধারন ভোটারদের হাতে ধানের শীষের লিফলেট দেন তিনি। এ সময় তিনি ভোটারদেরকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র ক্ষুদ্র ঋণ ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা আক্তার পাখি, পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি মিনহাজ, জান্নাতুল ফেরদৌস পপি, সহ বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এর আগে তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পথসভা ও গণসংযোগে অংশ নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য যে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ ও বগুড়া-৬ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করছেন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে তার প্রতিদন্দ্বী হলেন, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। তিনি নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করছেন।

সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ

প্রতিটি মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ। যে দিকেই চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ।
উপজেলার প্রতিটি মাঠে এখন শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাঁ-ধাঁলো বর্ণীল সমরাহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পন এ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনো মুগ্ধকর এক মূহুর্ত। ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁযে় যায় সেই ফুলগুলোকে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও।

এবারের প্রাকৃতিক দুযোর্গ কারণে ধামরাই উপজেলায় রোপ-আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও দ্রুত মাঠে মাঠে রবিশস্যের উপযুগি জমিতে গতবছরেের ক্ষতি পুষিযে় নিতে কৃষকরা আগাম সরিষা চাষে ব্যস্ত হয়ে উঠে। সরকার পর্যায় থেকে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ, সরিষার বীজ, রাসায়নিক সার বিনা মূল্যে যথা সমযে় বিতরণ করায় এই এলাকার অসহায় কৃষকদের পক্ষে আগাম জাতের সরিষা বপণ করা সম্ভব হযে়ছে।

প্রান্তিক কৃষকরা বলছেন সরিষা ক্ষেতে যদি মধু চাষ করা হয় তাহলে একদিকে যেমন ফলন বৃদ্ধি আবার অন্যদিকে বাড়তি লাভ মধু। আর তাই রবি শস্য সরিষার সঙ্গে মৌমাছি চাষ করে মধুর সংগ্রহের এ পদ্ধ তি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ধামরাই শরীফবাগ গ্রাম। কৃষিবিভাগের পরামর্শও সহযোগিতায় চলতি বছরে উপজেলায় সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহের এমন ১৩টি খামার গড়ে তোলা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে সরিষায় বাম্পার ফলনের পাশাপাশি মধু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। আর সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির খামার করে লাভবানের উজ্জল সম্ভাবনা দেখছে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।

সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি থাকলে তা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ফলন বাড়ে।’ কারণ হিসেবে তিনি জানান, মৌমাছি সরিষার ফুলে যে পরাগায়ন ঘটায় তাতে সরিষার দানা ভালো হয় এবং ফলনও বাড়ে। যে সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি নেই সেখানে সরিষার ফলন কম হয়।ক

চলতি মৌসুমে ধামরাই উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এবছর উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হযে়ছে।

শুরুতেই সরিষা ক্ষেতে পোকা-মাকডে়র আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যাযে় সরিষা চাষিদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরী সহযোগিতার কারণে সরিষা ক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

ধামরাই উপজেলার স্বর্নখালী গ্রামের সরিষা চাষি মনিরুল ইসলাম জানান, আমি চলতি মৌসুমে প্রায় ২বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। কোন প্রকার দূর্যোগ ও রোগবালাই না থাকায় এবছর সরিষার বাম্পার ফলন পাব বলে আমি আশা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুতফর রহমান সিকদার জানান,এবারে ধামরাাই উপজেলার১৬টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেযে় বেশি পরিমান সরিষা চাষ হয়েছে। যথা সমযে় জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষযে় দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে ধামরাই উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্ব্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা ইরি-বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।

আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলছেন? নিজেকে কী মনে করেন?ড. কামাল কে সিইসি

নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে ব্যাপক উত্তাপ ছড়িয়েছে। এক পর্যায়ে বৈঠক থেকে ড. কামালের নেতৃত্বে বের হয়ে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

দুপুর ১২টায় বৈঠক শুরুর এক ঘণ্টা পর বেরিয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা প্রতিনিধিত্ব করেন, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ, র‌্যাব ও ল অ্যান্ড অর্ডার ফোর্সের যারা আছেন; তাদের যে ভূমিকা, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপরে আক্রমণ, তাদেরকে আহত করা, তাদেরকে গ্রেফতার করা, পোস্টার ছিঁড়া, গাড়ি ভেঙে দেওয়া—এই পরিস্থিতি প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাকে যখন আমরা জানিয়েছি, তখন আমরা সেই ধরনের আচরণ পাইনি যে, তিনি এটাতে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যে সিইসির উদ্দেশে বলেন, সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার-লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ তার জোটেরা নিয়মকানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

ড. কামালের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আপনি এমন কী হয়েছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল-জানোয়ার বলছেন? নিজেকে কী মনে করেন?

এমতবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান সিইসিকে বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তা হলে বলে দেন-আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দিই।

প্রচারণায় নামতে নিষেধ করছে প্রশাসন : আফরোজা আব্বাস

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামতে প্রশাসন নিষেধ করেছে এমন অভিযোগ করে ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস বলেছেন, ভেবে ছিলাম সেনাবাহিনী মাঠে নামলে পরিস্থিতি ভালো হবে বরং উল্টো বেশি হামলা হচ্ছে।

মঙ্গলবার নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আফরোজা আব্বাস বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নামার আগে নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট থানায় জানাই নামি। কিন্তু প্রতিদিনিই হামলার শিকার হচ্ছি। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে শতশত নেতাকর্মী আহত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, আজকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমি থানায় ও নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি। কিন্তু সকাল থেকে সবুজবাগ থানার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আজকে তারা কোনো দায়িত্ব নিতে পারবে না। আজকে নাকি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী এখানে প্রচারণা চালাবেন। যুবলীগের মিছিল হবে। আমি বললাম তাদের মিছিলের আগে কিংবা পরে আমরা প্রচারণায় নামি। পরে থানা থেকে বলা হলো আজকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এখন প্রশাসন যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে। তাহলে আমি কী করবো। এর আগে যতবার প্রশাসনকে আমি জানিয়েছি ততবারই প্রসাশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আপনি নামেন আমরা দেখব। তারপরও হামলা হয়েছে। আজকে প্রশাসনই নামতে মানা করছে।

বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আজকেও আমার নেতাকর্মীরা প্রচারণায় নামতে প্রস্তুত। কিন্তু আমি চাই না তাদের রক্ত ঝরুক। কারণ আজকে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। আমি নামলে দেখা যেত প্রশাসন নিজেই হামলা করতো। সেই দায়িত্ব আমি নিতে চাই না।

আমরা গণসংযোগে যদি নাও যাই এটি বড় বিষয় না উল্লেখ করে আফরোজা বলেন, আমরা পোস্টার লাগাতে পারছি না ব্যানার লাগাতে পারছি না। কোনো কিছুর দরকার নেই। জনগনের মনের ভিতর আমাদের পোস্টার, ব্যানার ও গণসংযোগ আছে। আমরা কিছুই চাই না শুধু ৩০ তারিখ জনগণ নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, ভোট রক্ষা করতে পারে।

‘প্রশাসনের অনুমতি মিললে আমি বিকেলেও বের হতে পারি। কিন্তু আজকে যদি অনুমতি না দেয়; তাহলে কালকে থেকে আমি নামব। আমি বসে থাকব না।’

আফরোজা আব্বাস বলেন, আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। কিন্তু আমার ওপরই হামলা হচ্ছে। সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। গতকালও সরাসরি প্রার্থীর ওপর হামলা করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী নামলে পরিবেশ উন্নতি হয়েছি কিনা জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা ভেবে ছিলাম সেনাবাহিনী নামলে নিরাপদ থাকব। নিরাপদভাবেই কাজ করতে পারব। কিন্তু প্রেক্ষাপট চেঞ্জ হয়ে গেল। আজকে প্রশাসনই উল্টো প্রচারণায় নামতে মানা করে দিল।

তিনি বলেন, এখনও নিজের চোখে সেনাবাহিনী দেখিনি। শুনেছি নেমেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভালো ফল পাইনি। উল্টো আরও বেশি হামলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী আমাদের নিরাপত্তা দেবে।

হামলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ কিনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আমি নিরাপত্তা পাইনি। একজন নারী প্রার্থী হিসেবেও নিরাপত্তা পাইনি।

উল্লেখ্য, ঢাকা-৯ আসনটি রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানাধীন নাসিরাবাদ ইউনিয়ন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন ও মান্ডা ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার।

এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী।

সাভারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন পালিত

সারা দেশের ন্যায় ঢাকার সাভারে নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাভারের রাজাশন ধরেন্ডায় খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় মিশনে আনন্দ-আনন্দ-উৎসব ও প্রাার্থনার মধ্য দিয়ে তাঁরা দিনটি উযাপন করেন।
সকালে সাভারের রাজাশন এলাকায় ধরেন্ডা ক্যাথলিক চার্চে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা শুভ বড় দিন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা উৎসব পালন করে। এসময় বড় দিন উপলক্ষ্যে খ্রীষ্টানভক্তরা গীর্জায় আরাধনা করেন।
প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের উৎসবের দিন শুভ বড়দিন পালিত হয়েছে। এদিন যীশু তাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন, জ্ঞানের পথ দেখিয়েছেন। ঈশ্বর যেমন আমাদেরকে দয়া করেন আমরাও যেন পরস্পরকে দয়া প্রদর্শন করি। এই মহান ব্রত নিয়ে এবারের বড় দিনের উৎসব পালিত হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষ্যে ধরেন্ডা গির্জা সাজে নতুন রূপে। এছাড়া পূণ্যময় শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে কীর্তন প্রদর্শনীর আয়োজন করে ধরেন্ডা মিশন তরুন সংঘ। অনুষ্ঠিত কীর্তন প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ ডা.এনামুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষরা আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সুন্দরভাবে যে যার ধর্ম পালন করতে পারছেন। তাই আগামী নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে শেখ হাসিনা সরকারকে নিরঙ্কুস বিজয় উপহার দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সেলিম মিয়া,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মাসুদ খাঁন রানাসহ আরো অনেকে।

সারা দেশে গনমাধ্যম কর্মীদের গাড়ী ভাংচুর

গতকাল রাতে ১১টার দিকে দোহার-নবাবগঞ্জের গনমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে একদল দুষ্কৃতী গনমাধ্যম কর্মীদের ১১টি গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় ।
এছাড়াও ঢাকা সহ ভিবিন্ন জেলায় গনমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে ।

সাভারে তুরাগ নদীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে, অবৈধ দখল ও জলাশয় ভরাট করে তৈরী করা হচ্ছে প্লট এবং বিভিন্ন স্থাপনা

সাভারের তুরাগ নদীর অস্তিত এখন হুমকির মুখে, চলছে বেপরোয়া দখল, বালি ফেলে ভরাট ও প্লট তৈরীর জন্য ইট বালি দিয়ে পাকা বাউন্ডারী নির্মানের কাজ।
তুরাগ নদীর জলাশয়গুলো ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে পাকা দেয়াল ও নানা ধরনের স্থাপনা।
সাভার ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সংযোগ সড়ক ভাকুর্তা ইউনিয়নের তুরাগ ভাঙ্গা ব্রীজ থেকে মুগড়া কান্দা প্রর্যন্ত সড়কের পাশ দিয়ে তুরাগ নদীর তীর ঘেষে সরকারী খাল অবৈধ্য ভাবে দখল করে ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে।
এখন চলছে ইট বালি দিয়ে পাকা বাউন্ডারী করে প্লট নির্মানের কাজ।
তৈরী করা হয়েছে পাকা দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা । প্রতিটি স্থাপনার ভিতরে সামনের দিকে রয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুরাগ নদীর সরকারী খাল দখল করে গড়ে উঠেছেন জনব ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াক্সসব নামে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির সামনের দিকে রয়েছে ছোট্ট একটি মসজিদ, পিছনে বিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াক্সসব। মসজিদের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় নুংরা অপরিছন্ন ব্যাবস্থা, ফ্লোরে ছরিয়ে ছিটিয়ে রেয়েছেন, যায়নামাজ, চাটাই, লোহার পাইপ, রড সিমেন্টসহ নির্মানের বিভিন্ন জিনিস পত্র।
দেখে মনে হচ্ছে মসজিদ টি তৈরীর পর থেকে কোনো নামাজ হয়নি।
তুরাগ ব্রীজ পার হয়েই প্রথমে মাটি ফেলে ভরাট করে খালের উপর দিয়ে একটি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে।

এর পর মুগড়া কান্দার দিকে দুই শো’ গজ এগিয়ে গিয়ে দেখা যায় খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে জনব ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াক্সসব নামে একটি বিশাল ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সামনের দিকে রয়েছেন ছোট্ট একটি মসজিদ।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো জনবসতি নাই তাহলে এই মসজিদে নামাজ পরে কে। এসময় তারা আরো বলেন, আমরা এই মসজিদে কখুনো আযান শুনিনি বা কোনো নামাজের জামায়েত ও অনুষ্ঠিত হতে দেখিনি।
এলাকার প্রভাবশালী ভুমি সদস্যুরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদকে পুজি করে জমি দখল করছে বলে জানান তারা।
এছারাও সরেজমিনে গিয়ে এই মসজিদের ইমাম বা, মোয়াজ্জেম কাউকেই খুজে পাওয়া যায়নি।
কারখানার ভিতরে গিয়ে মোঃ রফিক হোসেন নামে এক জন কেয়ারটেকার কে পাওয়া যায়। এব্যপারে তার কাছে জান্তে চাইলে, সে ক্যামেরার দেখে পালিয়ে যায়।

এর পর একটু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকারে তুরাগ নদীর খালটি ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। সড়কের পাশ দিয়ে টিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সড়কের সাথে এর ভিতরে যাওয়ার জন্য একটি বিশাল গেইট ও রয়েছে। ভিতরে ইট বালি দিয়ে পাকা বাউন্ডারী নির্মান করে বিভিন্ন আকারে ছোট বড় প্লট তৈরী করা হয়েছে।
এখানেও গিয়ে দেখা যায় ভিতরে গেইটের পাশে ছোট্ট একটি মসজিদ ও রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আসাদ ও মোয়াজ্জেম মোঃ বাদল মিয়াকে পাওয়া যায়।
মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আসাদ এর কাছে মসজিদের নাম জান্তে চাইলে তিনি বলেন, এটা বাইতুল আকসে জামে মসজিদ। মোয়াজ্জেম সাহেবের কাছে মসজিদের নাম জান্তে চাইলে তিনি বলেন এই মুহুর্তে মসজিদের নাম আমার মনে নাই।
তুরাগ নদীর খাল দখল করে কারা স্থাপনা গুলি তৈরী করেছে মোয়াজ্জেম বাদল মিয়ার কাছে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, আমিন বাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ মাহফুজ সাহেব এটা করেছেন। এসময় মোয়াজ্জেম বাদল মিয়া মোঃ মাহফুজ

সাহেবের একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার সাথে কথা বলতে বলেন।

পরে মোঃ মাহফুজ সাহেবের ০১৭১২-০৩২৬৩৫ মুঠোফনে যোগাযোগ করে তুরাগ নদী ভরাটের ব্যপারে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে আমার কোনো জমি নাই, ওরা ভুল নাম্বার দিছে আপনাকে আমি নির্বাচনের কাজে আমি ফেনীতে ব্যাস্ত আছি।
সরেজমিনে দখল কৃত জমির বাউন্ডারীর ভিতরে মসজিদের সামনে একটি ত্রুয় সুত্রে মালিকানার সাইন বোর্ড দেখা যায়।

সাইন বোর্ডে লেখা আছে, ত্রæয় সুত্রে এই জমির মালিক, ১/ মোঃ মাহফুজুর রহমান, ২/ শাহ মোস্তফা আলমগীর, ৩/ মোঃ আমিনুল ইসলাম, ৪/ মোঃ আনোয়ার হোসাইন, চেয়ারম্যান আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদ, ৫/ মাওলানা শফিকুর রহমান, ৬/ মোঃ ইয়াকুব।
এব্যপারে মুগরাকান্দা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, আমরা দেখেছি আমিন বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন তুরাগ নদীর এই সরকারী খাল দখল করে অবৈধ ভাবে বালু ফেলে ভরাট করছে।
প্রথম প্রথম যখন ভরাট করে আমাগো এলাকার অনেক মানুষই এসে বাধা দিছিলো, পরে চেয়ারম্যান কি করলো জানিনা। এখনতো দেখছি ভরাট করেই ফেলেছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের মুগড়াকান্দা এলাকাসহ প্রায় ১০/১২ টি গ্রামের পানি সব এই তুরাগ নদীর খাল দিয়ে নেমে যায়।
সরকারী খাল গুলি এ ভাবে যদি ভরাট হয়ে যায় তাহলে আমাদের এলাকায় তো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
এলাকাবাসিরা জানান, আমিন বাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অবৈধ্য ভাবে তুরাগ নদীর সরকারী খাল দখল করে ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে বিভিন্ন আকারে ছোট বড় প্লট ।
ওই এলাকার স্থানীয় আরেক জন বাসিন্দার মোঃ মোকলেছ মিয়া বলেন, আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা প্রথমে দেখছি ট্রাক দিয়ে বালি ফেলাতে পরে, দেখছি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করতে।

তুরাগ নদীতে আমাদের এলাকার কিছু গরীব মানুষ মাছ ধরে সংসার চালায়, তাছারাও আমাদের মুগড়াকান্দা বিলের পানি নামে এই খাল দিয়ে, এখানের বেশির ভাগই খাস জাইগা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যপারে ভাকুর্তা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন বলেন,
আমাদের ভাকুর্তা ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের তুরাগ লোহার ব্রীজ থেকে মোগড়াকান্দা প্রর্যন্ত রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক সরকারী খাস জমি আছে, তো এই খাস জাইগা গুলি কারা কি ভাবে ভরাট করছে এই ব্যপারে আমি কিছু জানিনা। হয়তো ওরা প্রভাবশালী ভুমিদস্যু তাই কেউ কিছু বলেনা।

এই খাস জমি গুলি যারা ভরাট করছে এ ব্যপারে সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন এটা বন্ধ করা হোক তা না হলে ভবিস্যতে আমাদের এলাকার পানি নেমে যাওয়ার আর কোনো ব্যবস্থা থাকবেনা।
এলাকা বাসিরা আরো বলেন, ভুমি দস্যুরা  কৌশলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে পুজি করে তুরাগ নদীর সরকারী খাল দখল করে প্রতিটি স্থাপনার সামনের দিকে ছোট্ট একটি মসজিদ বানিয়েছে। এর পেছনের দিকে বিশাল আকারে জমি দখল করছে। যাতে করে যে কোনো ঝামেলা বা, উচ্ছেদ অভিযান এলে মসজিদ বাচানোর ছলে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা যায়।
এ ব্যপারে আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মুঠোফনে ০১৮৩১-৫৫৮৫৮৫ যোগাযোগ করলে তার কাছে তুরাগ নদীর খাল ভরাটের বিষয়ে জান্তে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা  স্বীকার করে বলেন, ওরা একটা সমিতি করছিলো কিছু জাইগা কিনে বালি দিয়ে ভরাট করছে, আমারে রাখছিলো এক এক জনের টাকা ধরছিলো দশ লাখ কইরা।

আমি আর টাকা পয়সা দিতে পারিনি, আগে কিছু টাকা দিছিলাম পরে আর দিতে পারিনি। তাছারা এ ব্যপারে আমারও ওখানের কাজ কাম সুবিধা জনক মনে হচ্ছেনা।
আমাদের পিছনে মেঘনা গ্রæফ জাইগা কিনেছে পরে চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম বেশি দুর আগানো যাবেনা। পরে আমি আর টাকা পয়সা দিতে পারি নাই এই জন্য আমি আর ওই দিকে যাই না।
এসময় তিনি আরো বলেন, সরকারী খাল খননের জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, সরকারী খাল ভরাটের জন্য না। সুতরং খাল ভরাটের কোনো কাজের পক্ষে আমি নাই। আমার ইউনিয়নে সরকারী খাল খননের ব্যপারে মাসিক সভায় মিটিং এ ইউএনও আমাকে বলছিলো খাল খননের দিন থাকতে, কিন্ত আমি বলেছিলাম যামুনা কারন খাল কাটতে যামু মানুষ মনে করবে কত টাকা যেনো কামাইতাছে, আমি গরিব মানুষ ডাল ভাত পছন্দ করি।


তো খাল যদি ভরাট করে থাকে তাহলে সেকেন্টের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে, আমি এখনি ফোন দিয়ে জিগাইতাছি । তিনি আরো বলেন, আমি পরে আর টাকা পয়সা দিতে পারিনিত তাই ওই খানে আর লজ্জায় যাইনা, আমি এখনই ওগোরে ফোন দিয়ে জিগাইতাছি ওরা কোন জাইগা ভরাট করতাছে এখনই বন্ধ করে দিচ্ছি।
যদি ওরা সরকারী খাল ভরাট করে তাহলে কাজ বন্ধ, সত্য কথা বলতে কি আমি প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে ছিলাম, পরে আর টাকা পয়সা দিতে পারিনি এই জন্যই ওই দিকে আর যাইনা। এই কাজে আমি আর থাকতে পারুম না মনে হয়।
খাল তো ওরা ভরবার পারবইনা সরকারী নিষেধ আছে। তুরাগ নদীর সরকারী খাল ভরাটের ব্যপারে তিনি আরো বলেন, এটা একদম অন্যায় সরকারী নিষেধ আছে খাল ভরাট করা যাবেনা।
এই নিউজের স্থানীয়দের বক্তব্য, মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম এর বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড আছে এবং আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের কল রেকর্ড আছে।

হৈ-হুল্লোড় করে ভালো ফল অর্জনের আনন্দে মেতে ওঠে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা

সকাল থেকেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা। কখন তারা পাবে পরীক্ষার ফল। অবশেষে দুপুরের দিকেই মিলল সেই ফল। ফলাফল প্রকাশের পরপরই উল্লাস আর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্কুল প্রাঙ্গণেই নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের আনন্দে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাকরাও ব্যাপক খুশি। নেচে-গেয়ে ও হৈ-হুল্লোড় করে ভালো ফল অর্জনের আনন্দে মেতে ওঠে সবাই।

পিইসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া তাসফিয়া মুসিরা বলেন, খুবই আনন্দ লাগছে। বলে প্রকাশ করতে পারবো না। সারাদিন পড়েছি এর ফল পেয়েছি। আমার এ রেজাল্টের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আছে জানান মুসিরা।

জেএসসিতে শিক্ষার্থী সায়মা রহমান জানায়, এ প্লাস পেয়েছি। কী বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ভালো ফলাফলের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন আব্বু-আম্মু আর শিক্ষকরা। আমার ইচ্ছা শিক্ষক হবো।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক পিইসি শিক্ষার্থী মা জানান, মেয়ের পড়ালেখা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার কষ্ট সফল হয়েছে। মেয়ে এ প্লাস পেয়েছে। দোয়া করবেন আগামীতেও যেন এ ফলাফলের দ্বারা অব্যাহত থাকে।

এর আগে সোমবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০১৮ সালের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসিতে), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি), প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ির ফলাফল হস্তান্তর করেন।

এবার জেএসসিতে পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জুনিয়র জেডিসি পরীক্ষায় ৮৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। আর জেএসসি ও জেডিসি মিলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

অন্যদিকে পিইসি পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ১ নভেম্বর শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন বা ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন।

গত বছর জেএসসি ও জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সে হিসাবে এবার পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুরে বিএনপি নেতা আটক, নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাও

চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিমকে পুলিশ আটক করলে তাকে ছাড়াতে থানায় যান একই আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

কিছুক্ষণ পর বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে আটক করা হয়েছে বলে সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী চাঁদপুর মডেল থানা ঘেরাও করেন। সেই সঙ্গে থানার ভেতরে-বাইরে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

দুই ঘণ্টা থানায় অবস্থান শেষে সোমবার বেলা ২টার দিকে শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক নেতাকর্মীদের থানা এলাকা ছাড়তে বললে মিছিল নিয়ে চলে যান নেতাকর্মীরা।

পথিমধ্যে শহরের বেগম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ নেতাকর্মী নিয়ে প্রচারণায় নামলে পুলিশ ও বিজিবি ঘেরাও করে সেখান থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিমকে আটক করে। এ আটককে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, থানা ঘেরাও শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরের বেগম মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থী মানিকের বাসার গেট ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিএনপির প্রার্থী শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক বলেন, নির্বাচন যাতে না করতে পারি সেজন্য একের পর এক আমার নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ। প্রচারণা থেকে আমার নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিমকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে থানায় অবস্থান নেয় আমাদের নেতাকর্মীরা। আমার নির্দেশে নেতাকর্মীরা থানা থেকে যখন ফিরে আসছিল তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর পুলিশের সহযোগিতায় হামলা চালায়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানিয়েছেন আটক বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।

সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপালনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নাটোর ও চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের টহল দিতে দেখা যায়।

ঢাকা: সোমবার আজ সকালে ঢাকা ২ ও ঢাকা ১৯ এর ভিবিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।

চট্টগ্রাম: সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কলেজ রোডসহ বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় টহল দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তারা।

নাটোর: বগুড়ার মাঝিড়া সেনানিবাস থেকে ১৭ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নাটোরের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন তারা।

এছাড়া, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টহল দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

সর্বশেষ আপডেট...