26 C
Dhaka, BD
মঙ্গলবার, জুলাই ৮, ২০২৫

কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন সুকান্ত ও অপু

কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগের
সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন সুকান্ত ও অপু

, চট্টগ্রাম থেকে :
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সুকান্ত তালুকদার ও ২নং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অপু চৌধুরী আকাশ।
গত ৫ মার্চ কল্যাণ ফ্রণ্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার ও মহাসচিব এসএন তরুণ দে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এই দুজনকে অন্তর্ভুক্তি করা হয়। সুকান্ত তালুকদার ও অপু চৌধুরী আকাশ দুজনেই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা।
চট্টগ্রাম বিভাগে কল্যাণ ফ্রন্টকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নিতে কেন্দ্রের নির্দেশে সমন্বিতভাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত তালুকদার ও অপু চৌধুরী আকাশ।

চুনারুঘাটে ডেভিল হান্ট অভিযানে ভূমি উপ সহকারী রাসেল আটক

চুনারুঘাটে ডেভিল হান্ট অভিযানে ভূমি উপ সহকারী রাসেল আটক

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলায় অভিযুক্ত ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া (৩৩)কে ডেবিল হান্ট অভিযানে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে যৌথবাহিনী জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ভূমি অফিস কার্যালয় থেকে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় আটক করেছে বলে জানা যায়।

আটককৃত ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া (৩৩)চুনারুঘাট উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং ৭নং উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রজব আলীর কনিষ্ঠ পুত্র।

উল্লেখ্যে উপজেলার নতুন-ব্রিজ (শায়েস্তাগঞ্জ) বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন সহ ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।উক্ত মামলার ৩৬ নম্বর আসামি ছিলেন তিনি।

গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর ২৪) চুনারুঘাট যুব-দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় এ মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভ চলাকালে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নির্দেশে একদল লোক আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয়।এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, মামলার আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার অফির্সাস ইন চার্জ (ওসি) মোঃ নূর আলম। তিনি বলেন,সেনাবাহিনী তাকে আটক করেছে।

(সাভারের আশুলিয়ায় এক সপ্তাহে পৃথক তিনটি ধর্ষণের মামলা:আসামী সৎ বাবা ও চাচা )

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

গেল এক সপ্তাহায় সাভারের আশুলিয়ায় শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। দুটি মামলায় আসামী ভুক্তভোগীদের সৎ বাবা অপর মামলায় আসামী চাচা। এরই মধ্যে দুটি মামলার আসামী গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ধরনের ঘটনায় উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা। সচেতন মহল বলছে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় ৪০ বছর বয়সী শাবলু মাদবরকে। ১৪ বছর বয়সী সৎ মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় উত্তেজিত জনতার রোষানলে পরে শাবলু মাদবর।
গেল ৫ বছর আগে শাবলু মাদবরকে বিয়ে করেন ভুক্তভোগীর মা। এরপর থেকে শাবলু মাদবরকে নিয়ে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ১ম পক্ষের ২ মেয়েসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। ভুক্তভোগীর মা পোশাক কারখানায় কাজে বের হয়ে গেলে সৎ বাবার ধর্ষনের শিকার হয় ভুক্তভোগী কিশোরী। ভুক্তভোগীর অভিযোগ প্রায় ১ বছর ধরে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় ভুক্তভোগীকে।
এর আগে গত ১২ মার্চ আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত লুৎফর রহমান।

অপর দিকে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকায় বাবার মামাতো ভাইয়ের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হয় ৮ বছরের এক শিশু। এ ঘটনায় ১১ মার্চ মামলা দায়েরের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত রাসেল।
এসব ঘটনায় উৎকন্ঠায় স্থানীয়রা। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনের কঠোর প্রয়োগ দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধের মতো নানা কর্মসুচি পালন করে শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকরা। তাদের দাবি অপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের। তবুও যেন লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না ঘৃণিত ধর্ষকদের।

এ ধরনের বিকৃত মানসিকতা ও মানবিক অবক্ষয় রোধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলার আসামী গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর মামলার আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ মছিহ্ উল্লাহ্ (কঃ) মির্জাপুরীর ১০৯তম মহান বার্ষিক ওরশ শরীফ সম্পন্ন

হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ মছিহ্ উল্লাহ্ (কঃ) মির্জাপুরীর
১০৯তম মহান বার্ষিক ওরশ শরীফ সম্পন্ন

চট্টগ্রাম থেকে :

১৮ মার্চ মঙ্গলবার আওলাদে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম,গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা কাবার আপন খালাতো ভাই ও বেয়াই, এবং পীর ভাই ও তাঁহার পবিত্র জানাজা শরীফের ইমাম, গাউসুল আযম বিল বিরাসত হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা কাবার শ্রদ্বেয় তালই এবং খাদেমুল ফোকারা অছিয়ে গাউসুল আযম সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ) কেবলা কাবার শ্রদ্বেয় নানাজান সুলতানুল মাশায়েখ, আলেমকুল শিরোমণি, মুফতিয়ে আযম, হযরত মাওলানা শাহ্সুফি সৈয়দ মছিহ্ উল্লাহ্ (কঃ) মির্জাপুরী ছাহেব কেবলা কাবার ১০৯তম মহান বার্ষিক ওরশ শরীফ মহাসমারোহে গাউসিয়া মছিহ মনজিলে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ওরশ শরীফে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিপুল ভক্ত-অনুরাগীর সমাগম হয়। গাউসিয়া মছিহ্ মনজিল, মির্জাপুর দরবার শরীফ, সৈয়দ পাড়া, সরকারহাট, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম এ ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মছিউল করিম মির্জাপুরী মাইজভাণ্ডারী (রহঃ) ‘র একমাত্র আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ শাহাদাৎ হোসাইন মির্জাপুরী (মা.জি.আ.)।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মাকসুদুর রহমান দুলাল, ছৈয়দ আবদুর রাব্বান, মো. আবুল কালাম, মো. ইউনুছ, মো. সৈয়দ ফকির, মো. আবুল বশর, মো. জাহেদুল ইসলাম জাবেদ, মো. মুছা কোং, মো. মহিউদ্দিন, মো. আলী আবরা দুলাল, মো. জুলু, মো. জসিম উদ্দিন জিকু, লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য, নাজমুল হুদা, টিটু চৌধুরী, ধীমান দাশ, সমীর দাশ প্রমুখ।

আশুলিয়ায় সংবাদকর্মীর ওপর হামলা

আশুলিয়ায় সংবাদকর্মীর ওপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক ;

সাভারের আশুলিয়ায় সেলিম হোসেন (৩৭) নামের একজন সংবাদকর্মীর ওপর হামলা করেছে চাঁদাবাজরা। এসময় পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করলে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অভিযুক্তরা হলেন- জামগড়া এলাকার মৃত হেলিম ভূঁইয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম জুরু ভূইয়া (৫৫), তার ছেলে খোকা ভূইয়া (২৩), সানোয়ার মোল্লার ছেলে রাকিব মোল্লা (২৫), বাচ্চু মিয়ার ছেলে মৃদুল (২২), আলমগীরের ছেলে রিংকু (২৪), আলী আজগরের ছেলে সাব্বির (২৫), রিপন (২৫), মিলন (২৭), রায়হান (৩০), বাদশা (২৮), শাহিন (২৬), খোকন (২৪), মামুন (৩৫), সোহেল (৩২), শামিম (৩৫), ফোরকান (৩৫), মান্নান (৩২), রেজাউল (৩০), একরামুল (৩৩), জব্বার (৩৫), রাজ্জাক (৩৪) সহ অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জন ।

আহত সংবাদকর্মী সেলিম হোসেন সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার মাঝ সখীপুর গ্রামের মৃত ফেরাজতুল্যার ছেলে। তিনি দৈনিক সংবাদ বাংলাদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর গামী সড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলায়  রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ ইফতারের আগ মহুর্তে সড়কটিতে প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ যানজট নিরশনের কাজ করে চলে যায়। এসময় সংবাদকর্মী সেলিম হোসেন, কালের পরিবর্তন পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা মোঃ সুজন আহাম্মেদ (২৯) ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি শরিফুজ্জামান ফাহিম (৩১) তথ্য সংগ্রহ করতে যান। তথ্য সংগ্রহ শেষে শরিফুজ্জামান ফাহিম ও মোঃ সুজন আহাম্মেদ চলে যান। রাত ৮ টার দিকে সেলিম হোসেন ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় অভিযুক্ত চাঁদাবাজদের ভিডিও চিত্র ধারন করার অভিযোগ তুলে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। অভিযুক্তরা লাঠি-সোটা, লোহার রড, জিআই পাইপ, চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই সংবাদ কর্মীর ওপর হামলা করেন। এসময় তার কাছে থাকা একটি মোবাইলফোন, নগদ টাকা ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়।

 

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,  তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এছাড়া ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এব্যাপারে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নওগাঁ বগুড়া-ঢাকা আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ

নওগাঁ বগুড়া-ঢাকা আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সবধরনের বাস চলাচল বন্ধ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনো ঘোষণা ছাড়াই সকাল থেকে এ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার স্টেশন রোডে মিতালী পাম্প এলাকায় নারিকেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তাদেরকে থামাতে গেলে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতা ছুরিকাঘাতে আহত হয়। এর প্রতিবাদে নওগাঁ থেকে কোনো বাস বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ এলাকায় ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার ওপর দিয়ে নওগাঁ থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃজেলা ও ঢাকাসহ দূরপাল্লার কোনো বাস প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। ঈদের আগে হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এ পথের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের আনাগোনা ছিল বেশি। অনেক যাত্রীকে কাউন্টারে বাস না পেয়ে ইজিবাইকে করেই কেউ কেউ বগুড়ার যাচ্ছেন। তবে ঢাকাগামী কিছু কিছু বাসকে বিকল্প পথ হিসেবে বগুড়ার কাহালুর ভেতর দিয়ে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাসকে গন্তব্য ছেঁড়ে যেতে দেখা গেছে।বগুড়াগামী মোসলেম উদ্দিন নামে এক যাত্রী বলেন, জরুরি কাজে বগুড়া যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ। বাধ্য হয়ে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে দ্বিগুণ ভাড়ায় বগুড়া যাওয়ার রওনা দিতে হচ্ছে। যে কারণে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, এটি সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ছাড়া কিছুই নয়।

নওগাঁ বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, বগুড়ায় শ্রমিক নেতাকে ছুরিকাঘাতের জেরে বগুড়ার ওপর দিয়ে আপাতত নওগাঁ থেকে বগুড়া ও ঢাকাগামী সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু বাস বগুড়ার কাহালুর ভেতর দিয়ে বিকল্প পথে চলাচল করছে। আপাতত দুই জেলার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে

সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ।

সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ।

জেলা প্রতিনিধি:

রাজশাহী মহানগরীতে সাংবাদিক রাজীব আলী রাতুলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মাহাবুবা খাতুন নীলা নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি, বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা মাসুদ রানা সরকার।

অভিযোগ পত্রে মাসুদ রানা উল্লেখ করেন, তার বড় ছেলে রাজীব আলী রাতুলের বিরুদ্ধে গত ১০ মার্চ একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত। একই বিষয়ে পূর্বেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, যা বোয়ালিয়া থানার এসআইয়ের তদন্তাধীন ছিল। তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে নতুন করে মামলা রুজু করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মামলার বাদী মাহাবুবা খাতুন নীলা একজন মামলাবাজ ও ব্ল্যাকমেইলার। তিনি পূর্বেও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন, যা স্থানীয় পুলিশ অবগত।

এ ঘটনায় বিভাগীয় প্রেসক্লাব রাজশাহী, রাজশাহী অনলাইন প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ক্রাইম সাংবাদিক সংগঠন, ঢাকা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনসহ একাধিক সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অন্যথায় ওসির প্রত্যাহারসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সাংবাদিক রাজীব আলী রাতুল অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই মামলা করিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে ঘটনার তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সেখানে এক মাস পর ১০ মার্চ কিভাবে মামলা রুজু হলো? এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুঃখজনক।”

বিভাগীয় প্রেসক্লাব রাজশাহীর সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, “মাহাবুবা খাতুন নীলা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তদন্ত ছাড়া একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ ওসির দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে।”

এলাকার সুশীল সমাজও এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে।

এছাড়া, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির পক্ষ থেকেও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজম অপু বলেন, “সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে হয়রানি করা এক ধরনের ষড়যন্ত্র। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। অন্যথায়, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।”

ইপিজেডে অনৈতিক চাঁদাবাজি অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ২ সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ

ইপিজেডে অনৈতিক চাঁদাবাজি অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির ২ সদস্য কে আটক করেছে পুলিশ

চট্টগ্রাম থেকে :

প্রথমে ছাত্র সমন্বয়ক পরে জাতীয় নাগরিক কমিটির ইপিজেড থানা কমিটির নেতা বনে যাওয়া চাঁদাবাজ আসাদুজ্জামান রাফি ও মোঃ ইমন কে ইপিজেড থানা পুলিশ গতকাল রাতে আটক করেছে।

তারা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে মানুষের দুর্বল স্থানে আঘাত করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় সহ মাসুয়ারা অর্থ উপার্জন করে আসছেন।
এছাড়া ও ইপিজেড এলাকায় ফুটপাত, রেললাইন ও হকার এবং ভ্রাম্যমাণ ভ্যান গাড়ির নিকট হতে বিগত ৮/৯মাস যাবত নিয়মিত চাঁদা আদায় করার প্রাথমিক তথ্য তারা পুলিশ কে দিয়েছে!
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া মাত্রই এদের কে ধরা হয়েছে । ধৃতদের উপযুক্ত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আদালতে বিচার দাবী করছি।
এই চক্রের আর বেশ কিছু সদস্য রয়েছে ,তাদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি জানিয়েছেন।

বালুবাগান থেকে বুপ্রেরনফিন ইঞ্জেকশন ১৬ পিস সহ ০১ জন গ্রেফতার

বালুবাগান থেকে বুপ্রেরনফিন ইঞ্জেকশন ১৬ পিস সহ ০১ জন গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বালুবাগান হয়তে ১৮ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ রাত ০৮:৩০ ঘটিকায় সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, র‌্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন ১৫নং বালুবাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৬ পিচ ব্রপ্রেনরফিন ইঞ্জেকশনসহ মোঃ রফিক (৫০), পিতা-মৃত রিয়াজ উদ্দিন, সাং-মহিশাল বাড়ী, থানা-গোদাগাড়ী, জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করেছে।

উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে চাঁপাইনাববগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে

ঈদযাত্রার দিন থেকে কর্মবিরতির হুমকি রেলওয়ের গেটকিপারদের

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি না মানলে আগামী ২৪ মার্চ ঈদযাত্রার দিন থেকে একযোগে রেলপথ অবরোধ এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত গেটকিপার-গেটম্যানরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রেলভবনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানবন্ধনে রেলওয়ের কর্মচারীরা এ হুমকি দেন। মানববন্ধন থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

ঘরমুখো মানুষ ২৪ মার্চ থেকে রেলপথে ঈদযাত্রা শুরু করবেন। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সেদিন থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত গেটকিপার/গেটম্যানরা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রেলভবনের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন তারা।


বিক্ষোভকারীরা জানান, গেটকিপার/গেটম্যানরা দাবি আদায়ে গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ওইদিন তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রেলসচিব, রেলওয়ে মহাপরিচালক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি, প্রশাসনের সব অ্যাডমিন ক্যাডার, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব/পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের দেড় হাজার গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিসহ শ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেদিন রেলওয়ের মহাপরিচালক সিদ্ধান্ত দেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব এবং পশ্চিম অঞ্চলের প্রকল্পের এক হাজার ৫০৫ জন গেটকিপার ও গেটম্যানের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসঙ্গত। 


বৈঠকে গেটকিপার/গেটম্যানের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা জানান, তারা যেহেতু দীর্ঘ আট বছর রেলওয়েতে চাকরি করে অভিজ্ঞ, এ বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবে।


মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘গত বছরের ১ নভেম্বর আমাদের অফার লেটার হাতে দেয়ার কথা থাকলেও এখনও দেয়া হয়নি। বৈঠকে আমাদের বলা হয়, স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো ৪০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে পরীক্ষায় পাস করে এক হাজার ৮৮৯ জন প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যান পদে যোগদান করেন। বর্তমানে কর্মরত এক হাজার ৫০৫ জন। আপনারা আট বছরের অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। দ্রুত চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাসও দেন।’


গেটকিপার/গেটম্যানরা বলেন, ‘বারবার এ রকম আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন কোনো দাবি তুলছি না। ১৬০ বছরেরও অধিক সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি মোতাবেক যে কোনো কর্মচারী তিন বছরের অধিক নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তাদের চাকরি সরাসরি স্থায়ীকরণ করা যায়। এজন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি অনুযায়ী প্রকল্পের গেটকিপার/গেটম্যানদের চাকরি রাজস্ব করতে আইনি কোনো জটিলতা নেই।’

সর্বশেষ আপডেট...