23 C
Dhaka, BD
শুক্রবার, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫

কোন অনিয়মের সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : ডা: সালাউদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা-১৯ আসন, সাভারের বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু বলেছেন, কোন অন্যায়-অনিয়মের সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা শুধু আমার কথা না, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের এ নির্দেশনা দিয়েছেন। কেউ দলের নির্দেশনা অমান্য করলে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন।

ডাঃ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনীর বাসায় আজ বৃহস্পতিবার মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সাভার-আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকালে অর্ধশতাধিক হত্যাকান্ড ঘটেছে। ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় দুই থানায় ১৫টি হত্যা মামলা হয়েছে। এ সব মামলায় কিছু অনাকাঙ্খিত মানুষের নাম এবং বিএনপি নেতাকর্মীদেরও নাম এসেছে। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অনেক নিরীহ মানুষকে এসব মামলায় ফাঁসিয়েছে। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সাভারে অথচ মামলায় রংপুরের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্য নেতাদেরও আসামী করা হয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি এসব ঘটনা নিরসনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে গার্মেন্টের জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ থেকে অপসারণসহ বিভিন্ন অভিযোগ আসছে। জমি দখলের প্রক্রিয়ায় একটি স্থানে কতিপয় ব্যক্তি আমার নামেও সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দখল করার চেষ্টা করেছিল। খবর পেয়ে আমি লোকজন পাঠিয়ে সেই অপচেষ্টা রোধ করি এবং সাইন বোর্ড অপসারণ করি। এ সব ঘটনা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডাঃ দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু আরও বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনে ফলে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। এ আন্দোলনে অনেক রক্ত ঝরেছে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা কথা বলতে পারছি। দেশ পুনর্গঠনের সুযোগ পেয়েছি। আমরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা এবং উন্নতির জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে সকলের সহযোগিতা চাই।

মতবিনিময় সভায় সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আবদুর রহমান, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ, আশুলিয়া থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফুল আলম, সাভার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহম্মেদ শাহীন, থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক তমিজ উদ্দিনসহ নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ওয়ারীতে জমি বিক্রি করেও দখল দেননি কথিত প্রতারক আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার পরিবর্তনের পর রাজধানীর ওয়ারীতে সাফ কবলা জমি বিক্রি করেও দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কথিত এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।‌

শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেছে দেশের স্বনামধন্য আবাসন কোম্পানি আল মুসলিম বিল্ডার্স। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন কোম্পানির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনসারুজ্জামান, এ্যাডভোকেট সাজিরুল হাসান ও প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার এম এ কাইয়ুম প্রমুখ।

লিখিত বক্তৃতা তুলে ধরে আইনজীবী আনসারুজ্জামান বলেন, ২০১১ সালে রাজধানীর ওয়ারী এলাকার ১নং নবাব স্ট্রিটে ৯২.০৫ শতাংশ জমি কেনার জন্য কোম্পানিটি আইনজীবী সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে বায়না চুক্তি সম্পাদন করে। ওই সময় আজহারুল কবীর নিজেকে সম্পূর্ণ জমির মালিক দাবি করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে কাগজপত্র তল্লাশি করে আরও দুইজন মালিকের নাম বেরিয়ে আসে। এরপর আজহারুল কবীর নিজেদের ভিতর আপস মীমাংসা করে সম্পূর্ণ জমি কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করে দ্বিতীয় দফায় চুক্তিবদ্ধ হয়।

ওই সময় তিনি জাল কাগজপত্র সৃজন করে কোম্পানিকে জমিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় কোম্পানি মূল মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ওই জমি কিনে নেয়। ওই জমিতে আজহারুল কবীরের মাত্র ৬.১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। এ নিয়ে মামলা আদালতে গড়ালে আদালতের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের ১২ মে সৈয়দ আজাহারুল কবীরের সঙ্গে পুণরায় একটি আপোষ চুক্তি সম্পন্ন হয়। যার ফলে তিনি জমির মালিকানার সমস্ত দাবি ত্যাগ করেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আরো ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা সহ সর্বমোট ২১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়, বর্তমানে তার ওই সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার নেই। তিনি সেখান থেকে বাসা স্থানান্তর করার জন্য কোম্পানির কাছ থেকে তিন মাস সময় নেয়। ‌

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৭ আগস্ট সৈয়দ আজাহারুল কবীর ও তার পুত্র ইজাজ কবির এবং তাদের সহযোগীরা ওই জমিতে অনুপ্রবেশ করে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও আল-মুসলিম গ্রুপের কর্মচারীদের উপর গুলি বর্ষণ করে কোম্পানির সম্পত্তি দখল করে নেয় এবং কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় এক কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যাবস্থা গ্ৰহন করা হয়েছে। তাছাড়া গত ২০ আগস্ট প্রতারক আজহারুল কবীর ওই জমি নিজের দাবী করে প্রতারণামূলক তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে আল মুসলিম বিল্ডার্স ও আল মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালায়।

এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের সঙ্গে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানে ওই প্রতারকের কবল থেকে জমিটি উদ্ধার করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখলে সমন্বয়ক পরিচয়ে অগ্নিসংযোগের হুমকি

সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় সমন্বয়ক পরিচয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ও টিফিন ব্যবসা জোরপূর্বক দখলসহ কারখানা জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আতঙ্কিত কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগটি করেন দক্ষিণ গৌরিপুর এলাকার আলটিম্যাট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার তত্ত্বাবধায়ক তোছাদ্দেক হোসেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গতকাল সকালে নাজমুল মন্ডল ও গোলাম রসুলসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে জোরপূর্বক কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা কারখানার ঝুট ও টিফিন ব্যবসা  তাদের দিয়ে দেয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এমনকি তাদের কথায় সম্মত না হলে কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়াসহ শান্তিতে এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে দেবে না বলেও হুমকি প্রদান করে চলে যায় তারা।

আলটিম্যাট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার তত্ত্বাবধায়ক তোছাদ্দেক হোসেন বলেন, একটি চক্র আমাদের কারখানার ঝুট ও টিফিন ব্যবসা জোরপূর্বক বেআইনি ভাবে দখলের চেষ্টা করছে। গতকাল যারা কারখানায় এসেছিলো তারা নিজেদের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়েছে। যারা শিক্ষার্থী পরিচয়ে এমন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

অভিযুক্ত নাজমুল মণ্ডল বলেন, আমি একজন স্টুডেন্ট ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির একজন সমন্বয়ক।  আমি ওই কারখানায় গিয়েছিলাম তাদের ব্যবসা নিয়ে কোন সমস্যা হচ্ছে কি না এটা জানতে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ দায়ের করেছে আমি জানি না। বাদীর নম্বরটা দেন আমি একটু কথা বলবো।

এব্যাপার আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এব্যাপারে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাভারের সাবেক এমপিসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পিটিয়ে ও গুলি করে শিক্ষার্থী আস-সাবুর হত্যার অভিযোগে ‘ঢাকা-১৯’ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিহত আস-সাবুরের চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান মিঠু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আস-সাবুর (১৬) নওগাঁর মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতো। আস-সাবুর জামগড়া শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মামলায় আরো আসামী করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক আরেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ও তার বাবা সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর ও ইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূইয়াসহ ১১৯ জন।

উল্লেখ্য,গত ৫ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র আস-সাবুর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

১৫ আগস্ট উপলক্ষে নাশকতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালিত

সাভার প্রতিনিধি:দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচারের দাবিতে ও ১৫ আগস্ট উপলক্ষে নাশকতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজধানী ঢাকা ও সাভারে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় রাজধানীর গাবতলী, মিরপুরের ও সাভারের আমিন বাজার এলাকায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন নেতৃত্বে ১ হাজার মোটরসাইকেল বহর নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সাভারের হেমায়েতপুরে বিএনপির কর্মসূচি পালিত

সাভার প্রতিনিধি: দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচারের দাবিতে ও ১৫ আগস্ট উপলক্ষে নাশকতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে সাভার হেমায়েতপুর এলাকসয় কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর থেকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপি সহ সভাপতি শাহ আলম বাদল এর উদ্যোগে তিন শতাধিক জনগণ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সাভারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে স্থাপনাসহ বৈধভাবে ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধ ও জোড় পূর্বক দখল চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ধামরাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ মাসুম আহমদের বিরুদ্ধে। সে ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে

ক্ষমতার পালা বদলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার দখলদারি কর্মকাণ্ডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

গত বৃহস্পতিবার ৮ আগষ্ট মোঃ আবুল কালাম আজাদের দখলীয় সম্পত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুম আহমদ তার শশুর মৃত মোঃ নাজির হোসেন এর ওয়ারিশগণ সুরাইয়া সুলতানা গংদের নামে জোড় পূর্বক অবৈধভাবে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে বর্তমান দখলদারদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

জানা যায়, সাভারের ব্যাংক কোলনী এলাকার (ছাপড়া মসজিদের কাছে) ছোট বলিমেহের মৌজার বিআরএস ৩৫৬৮ নং দাগের ৫ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ ।
এদিকে গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এ নেতা উল্লেখিত জমিতে রাতের আঁধারে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন। যদিও সে জমির মালিকানার স্বপক্ষে আইনানুযায়ী বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ মাসুম আহমেদ বলেন, এটা আমার শ্বশুরের সম্পদ এখানে আমি কোনোভাবেই ইনবলভ না। আবুল কালাম সাহেব ওই সম্পদ জোরপূর্ব সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে চেষ্টা করছেন।

বর্তমান ভোগ দখলীয় মালিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তফসিলী সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২০১২ সাল থেকে আমি ভোগদখল করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে অবৈধ মালিকানা দাবিদার সুরাইয়া সুলতানা গংরা আদালতে পিটিশন মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই মামলায় সাভারের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড), সার্ভেয়ার ও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী আমি বৈধ মালিক প্রমাণিত হয়েছি। এর স্বপক্ষে সকল প্রকার প্রমাণাদি আমার কাছে আছে। এমতাবস্থায় আমার জান-মালের নিরাপত্তায় অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ এস এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, পিটিশন মামলার বিবরণ অনুযায়ী তফসিলি সম্পত্তি আমি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে তদন্ত করিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোঃ আবুল কালাম আজাদ ওই জমির বৈধ মালিক। এতে অবৈধ দখল বা প্রবেশের চেষ্টা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

সাভারে সন্ত্রাস নৈরাজ্যর প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল (ভিডিও)

https://youtu.be/6kYZS4S5230?si=nwjlfvxWOqJBH2W8

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে বিএনপি জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস নৈরাজ্যর প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীবের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা।

মিছিলটি ঢাকা আরিচা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন,সারা দেশে বিএনপি জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস করে দেশের মানুষের উপর হামলা করছে।

তাদেরকে দেশের মানুষ সামাজিক ভাবে প্রত্যাখান করেছে বলেও বলেন তিনি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে,সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গণি,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর,ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন,আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন,ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্ল্যাসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাভারে আন্দোলন ও কারফিউ-তে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে চলমান আন্দোলন ও কারফিউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

শুক্রবার ২৬ জুলাই সকালে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের জয়নাবাড়ি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন,’ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর। এসময় ওই এলাকার প্রায় পাঁচশত অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি, সমাজের বিত্তবানদের ও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

এ সময় দুস্থ অসহায়দের মাঝে, পাঁচ কেজি চাল ,এক কেজি তেল, এক কেজি পেয়াজ ১ কেজি আলু ও দুই কেজি করে ডাল দেওয়া হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য ফিরোজ কাজল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে রাতে ঢালাই সকালেই উঠে গেছে কার্পেটিং

হুমায়ুন কবির,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জ উপজেলায় এলাকাবাসীর বাঁধা-নিষেধ উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে রাস্তার কাজ কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। দায়সারা ভাবে কাজ করায় পরদিন সকালে থেকে জুতার সঙ্গে উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এ নিয়ে অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ফলে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন যানবাহন ও পথচারীরা। আর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি রেগে যান বলে জানান এলাকাবাসী।

ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকার উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলামকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধূলামিশ্রিত পাথর ব্যবহারের সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও তা মানা হয়নি। তবে কাজ শেষে বিল পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকৌশলীরাই সহযোগিতা করেছেন। জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর থেকে বাঘমারা পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ২০ লাখ টাকায় ওই রাস্তার ১ হাজার মিটার অংশ ১৫ মিলিমিটার সিলকোড কার্পেটিং করার কাজ পায় ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আব্দুস সামাদ নামে এক ঠিকাদার। নিয়ম না মেনে এলজিইডিসহ বাস্তবায়নকারী দপ্তরকে ম্যানেজ করে এবং এলাকাবাসীর বাধাঁ উপেক্ষা করে গত ২৯ জুন রাতের বেলায় বৃষ্টির মাঝে সেই রাস্তায় কার্পেটিং এর কাজ করেন ঠিকাদারের লোক জন।

পরদিন সকালে এলাকার লোক জন সেই রাস্তা দিয়ে হাটলে জুতার সাথে উঠে আসে সিল কোড করা নতুন কার্পেটিং। বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করা হয় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে। অভিযোগের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকার উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলামকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। লোকজন রাস্তা দিয়ে হাঁটলে জুতার সঙ্গে উঠে আসে ওই সড়কের কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয়দের বাঁধা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে রাস্তায় নিম্নমানের পিচের কার্পেটিংয়ের কাজ করেছে। যা হাত দিয়ে টান দিলে বা পা দিয়ে ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসীরা ।

স্থানীয় রায়হান নামে এক যুবক বলেন, এই রাস্তার কাজে শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে আসছে। রাস্তার কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে হাত দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা এলাকার লোকজন ঠিকাদারকে ভালোভাবে কাজ করতে বললে তিনি কোনো কথা শোনেননি।পথচারী লিমন হোসেন বলেন, কোনো গাড়ি এসে ব্রেক করলে রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা চাই, ভালোভাবে এই রাস্তার কাজ আবাও করা হোক। যাতে রাস্তাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তিনি আরও বলেন,ঠিকাদার দায়সারা ভাবে রাস্তার কাজ করে শান্তির বদলে এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বৃদ্ধ বলেন, সরকার এতো টাকা খরচ করে রাস্তা করেছে, সেখানে এলজিইডি ও ঠিকাদারের দুর্নীর্তির কারণে সব টাকা এখন পানিতে । হাত দিয়ে রাস্তার কার্পেট তুলা যাচ্ছে, এ পথ দিয়ে ভারি যানবাহন কিভাবে যাবে। সরকার রাস্তা করতে কি কম টাকা দেয়? এলজিইডি- ঠিকাদারের জন্য সরকারের বদনাম। নিম্নমানের পাথর, ইট, বালু, খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে ঠিকাদার চলে গেছে। আয়মরা এই অনিয়মের বিচার চাই। বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি। পরের দিন দেখা যায় জুতার সঙ্গে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

বাঘমারা গ্রামের মুক্তারুল, পলাশ, লায়লী বেগম সহ বেশ কয়েকজন জানান, রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় ঠিকাদারের লোক জন রাস্তার কাজ করে। এলাকার দু-একজন রাতের বেলা কাজ করতে বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি। পরের দিন দেখা যায় জুতার সাথে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে রাস্তার বেশির কার্পেটিং উঠে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইঞ্জিনিয়ারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

গত কয়েকদিনে রাস্তার বেশির ভাগ কার্পেটিং উঠে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, কোন সমস্যা হলে এলজিইডির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কাজ করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে দেখার পর বলা যাবে কি হয়েছে। পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, তার কাছে এলাকাবাসী ওই সড়কের সংস্কারকাজ টিকসই হয়নি বলে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, কোনো সমস্যা হলে এলজিইডির সঙ্গে কথা বলে কাজ ঠিকঠাক করে দেব।

এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস জানান, আমরা চেষ্টা করি ভালভাবে কাজ বাস্তবায়ন করে নেয়ার। এলাকার মানুষ অভিযোগ করে ছিল। তখন কাজ ভালই হচ্ছিল। এখন কেন কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে খতিয়ে দেখা হবে।

সর্বশেষ আপডেট...