25 C
Dhaka, BD
Tuesday, February 25, 2025

সাভারের হেমায়েতপুরে বিএনপির কর্মসূচি পালিত

সাভার প্রতিনিধি: দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচারের দাবিতে ও ১৫ আগস্ট উপলক্ষে নাশকতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে সাভার হেমায়েতপুর এলাকসয় কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর থেকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তেতুলঝোড়া ইউনিয়ন বিএনপি সহ সভাপতি শাহ আলম বাদল এর উদ্যোগে তিন শতাধিক জনগণ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সাভারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে স্থাপনাসহ বৈধভাবে ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধ ও জোড় পূর্বক দখল চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ধামরাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ মাসুম আহমদের বিরুদ্ধে। সে ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে

ক্ষমতার পালা বদলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার দখলদারি কর্মকাণ্ডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

গত বৃহস্পতিবার ৮ আগষ্ট মোঃ আবুল কালাম আজাদের দখলীয় সম্পত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুম আহমদ তার শশুর মৃত মোঃ নাজির হোসেন এর ওয়ারিশগণ সুরাইয়া সুলতানা গংদের নামে জোড় পূর্বক অবৈধভাবে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে বর্তমান দখলদারদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

জানা যায়, সাভারের ব্যাংক কোলনী এলাকার (ছাপড়া মসজিদের কাছে) ছোট বলিমেহের মৌজার বিআরএস ৩৫৬৮ নং দাগের ৫ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ ।
এদিকে গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এ নেতা উল্লেখিত জমিতে রাতের আঁধারে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন। যদিও সে জমির মালিকানার স্বপক্ষে আইনানুযায়ী বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ মাসুম আহমেদ বলেন, এটা আমার শ্বশুরের সম্পদ এখানে আমি কোনোভাবেই ইনবলভ না। আবুল কালাম সাহেব ওই সম্পদ জোরপূর্ব সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে চেষ্টা করছেন।

বর্তমান ভোগ দখলীয় মালিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তফসিলী সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২০১২ সাল থেকে আমি ভোগদখল করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে অবৈধ মালিকানা দাবিদার সুরাইয়া সুলতানা গংরা আদালতে পিটিশন মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই মামলায় সাভারের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড), সার্ভেয়ার ও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী আমি বৈধ মালিক প্রমাণিত হয়েছি। এর স্বপক্ষে সকল প্রকার প্রমাণাদি আমার কাছে আছে। এমতাবস্থায় আমার জান-মালের নিরাপত্তায় অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ এস এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, পিটিশন মামলার বিবরণ অনুযায়ী তফসিলি সম্পত্তি আমি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে তদন্ত করিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোঃ আবুল কালাম আজাদ ওই জমির বৈধ মালিক। এতে অবৈধ দখল বা প্রবেশের চেষ্টা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

সাভারে সন্ত্রাস নৈরাজ্যর প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল (ভিডিও)

https://youtu.be/6kYZS4S5230?si=nwjlfvxWOqJBH2W8

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে বিএনপি জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস নৈরাজ্যর প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীবের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা।

মিছিলটি ঢাকা আরিচা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন,সারা দেশে বিএনপি জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাস করে দেশের মানুষের উপর হামলা করছে।

তাদেরকে দেশের মানুষ সামাজিক ভাবে প্রত্যাখান করেছে বলেও বলেন তিনি।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে,সাভার পৌর মেয়র আব্দুল গণি,তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর,ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন,আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন,ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্ল্যাসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাভারে আন্দোলন ও কারফিউ-তে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে চলমান আন্দোলন ও কারফিউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের অসহায় ও দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

শুক্রবার ২৬ জুলাই সকালে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের জয়নাবাড়ি স্কুল মাঠ প্রাঙ্গনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন,’ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর। এসময় ওই এলাকার প্রায় পাঁচশত অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি, সমাজের বিত্তবানদের ও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

এ সময় দুস্থ অসহায়দের মাঝে, পাঁচ কেজি চাল ,এক কেজি তেল, এক কেজি পেয়াজ ১ কেজি আলু ও দুই কেজি করে ডাল দেওয়া হয়।
খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইউপি সদস্য ফিরোজ কাজল সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়কে রাতে ঢালাই সকালেই উঠে গেছে কার্পেটিং

হুমায়ুন কবির,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জ উপজেলায় এলাকাবাসীর বাঁধা-নিষেধ উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে রাস্তার কাজ কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। দায়সারা ভাবে কাজ করায় পরদিন সকালে থেকে জুতার সঙ্গে উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এ নিয়ে অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। ফলে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন যানবাহন ও পথচারীরা। আর বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি রেগে যান বলে জানান এলাকাবাসী।

ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকার উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলামকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর যোগসাজশে কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ধূলামিশ্রিত পাথর ব্যবহারের সময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও তা মানা হয়নি। তবে কাজ শেষে বিল পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রকৌশলীরাই সহযোগিতা করেছেন। জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর থেকে বাঘমারা পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ২০ লাখ টাকায় ওই রাস্তার ১ হাজার মিটার অংশ ১৫ মিলিমিটার সিলকোড কার্পেটিং করার কাজ পায় ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আব্দুস সামাদ নামে এক ঠিকাদার। নিয়ম না মেনে এলজিইডিসহ বাস্তবায়নকারী দপ্তরকে ম্যানেজ করে এবং এলাকাবাসীর বাধাঁ উপেক্ষা করে গত ২৯ জুন রাতের বেলায় বৃষ্টির মাঝে সেই রাস্তায় কার্পেটিং এর কাজ করেন ঠিকাদারের লোক জন।

পরদিন সকালে এলাকার লোক জন সেই রাস্তা দিয়ে হাটলে জুতার সাথে উঠে আসে সিল কোড করা নতুন কার্পেটিং। বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করা হয় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে। অভিযোগের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকার উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলামকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। লোকজন রাস্তা দিয়ে হাঁটলে জুতার সঙ্গে উঠে আসে ওই সড়কের কার্পেটিং। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারের লোকজন স্থানীয়দের বাঁধা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে রাস্তায় নিম্নমানের পিচের কার্পেটিংয়ের কাজ করেছে। যা হাত দিয়ে টান দিলে বা পা দিয়ে ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসীরা ।

স্থানীয় রায়হান নামে এক যুবক বলেন, এই রাস্তার কাজে শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়ে আসছে। রাস্তার কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে হাত দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা এলাকার লোকজন ঠিকাদারকে ভালোভাবে কাজ করতে বললে তিনি কোনো কথা শোনেননি।পথচারী লিমন হোসেন বলেন, কোনো গাড়ি এসে ব্রেক করলে রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা চাই, ভালোভাবে এই রাস্তার কাজ আবাও করা হোক। যাতে রাস্তাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তিনি আরও বলেন,ঠিকাদার দায়সারা ভাবে রাস্তার কাজ করে শান্তির বদলে এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বৃদ্ধ বলেন, সরকার এতো টাকা খরচ করে রাস্তা করেছে, সেখানে এলজিইডি ও ঠিকাদারের দুর্নীর্তির কারণে সব টাকা এখন পানিতে । হাত দিয়ে রাস্তার কার্পেট তুলা যাচ্ছে, এ পথ দিয়ে ভারি যানবাহন কিভাবে যাবে। সরকার রাস্তা করতে কি কম টাকা দেয়? এলজিইডি- ঠিকাদারের জন্য সরকারের বদনাম। নিম্নমানের পাথর, ইট, বালু, খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী করে ঠিকাদার চলে গেছে। আয়মরা এই অনিয়মের বিচার চাই। বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি। পরের দিন দেখা যায় জুতার সঙ্গে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

বাঘমারা গ্রামের মুক্তারুল, পলাশ, লায়লী বেগম সহ বেশ কয়েকজন জানান, রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় ঠিকাদারের লোক জন রাস্তার কাজ করে। এলাকার দু-একজন রাতের বেলা কাজ করতে বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি। পরের দিন দেখা যায় জুতার সাথে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে রাস্তার বেশির কার্পেটিং উঠে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইঞ্জিনিয়ারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

গত কয়েকদিনে রাস্তার বেশির ভাগ কার্পেটিং উঠে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, কোন সমস্যা হলে এলজিইডির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কাজ করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে দেখার পর বলা যাবে কি হয়েছে। পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, তার কাছে এলাকাবাসী ওই সড়কের সংস্কারকাজ টিকসই হয়নি বলে অভিযোগ করেন। এ অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, কোনো সমস্যা হলে এলজিইডির সঙ্গে কথা বলে কাজ ঠিকঠাক করে দেব।

এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস জানান, আমরা চেষ্টা করি ভালভাবে কাজ বাস্তবায়ন করে নেয়ার। এলাকার মানুষ অভিযোগ করে ছিল। তখন কাজ ভালই হচ্ছিল। এখন কেন কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে খতিয়ে দেখা হবে।

কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে বিএনপি:ওবায়দুল কাদের

বিএনপি কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৩রা) জুলাই বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝাড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ডে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষে সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরো, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলন গতবার ছিল, এখনও রয়েছে। বিএনপি এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। কিন্তু পরের কাঁধে ভর দিয়ে আন্দোলন করে জয়ী হওয়া যায় না। খালেদা জিয়া ৩ হাজার পিস জামদানি শাড়ি দিয়ে এসে জানায় গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গেছেন। কোন মুখে বিএনপি নেতারা এখন তিস্তার কথা বলেন?’

এসময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমদ এমপির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ আসনের এমপি মোঃ সাইফুল ইসলাম । সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল আলম সমর। ঢাকা ১৯ এর সাবেক এমপি ডাক্তার এনামুর রহমান ।

আলোচনা সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন, ঢাকা জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মানববন্ধন

হুমায়ুন কবির,ঠাকুরগাঁও-ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় অসহনীয় লোডশেডিং ও পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজির প্রতিবাদে লোডশেডিং থেকে রেহাই পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এলাবাসির ব্যানারে সোমবার (১ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন রায়, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইত্তেশাম উল হক মিম,উপজেলা জাসদের সভাপতি সলেমান আলী, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্তাজা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি বিষ্ণুপদ রায়, পীরগঞ্জ অন লাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বাদল হোসেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকতার বানু, সাংবাদক নুরনবী রানা,পল্লী বিদ্যুতের প্রাহক সরকার আলমগীর,কলেজ শিক্ষার্থী মো: শাহিনসহ অনেকে।

মানববন্ধনে বত্তারা অবিলম্বে বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

প্রসঙ্গত: বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে ছাত্র,শিশু বয়স্করাসহ সকল শ্রণি পেশার মানুষ।

সাভারের হেমায়েতপুর রাতের আধাঁরে প্রাচীর ভেঙ্গে বালু ভরাটসহ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে রাতের আঁধারে প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগদখলে থাকা ব্যক্তি মালিকাধীন জমির সীমান প্রাচীর ভাংচুর করে ভালু ভরাটসহ স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে নুরানী কনসট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী জমির মালিক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (১৫৪৩৮/২০২২) দায়েরসহ সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও বন্ধ হয়নি নির্মান কাজ।

তাই বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিনে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার বিলামালিয়া মৌজায় অবস্থিত ওই জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক লাগোয়া জমিতে ঢুকতেই তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক মিটারসহ দুটি গ্যাস সংযোগ রয়েছে। যেখানে বেশ কয়েক বছর আগে রাবার রোল ইন্ড্রাস্টিজ ছিলো।
অভিযোগ উঠেছে রাতের আধাঁরে জমিটির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দুই একর জমিতে বালু ভরাট করে স্থাপনা নির্মান কাজ চলমান রেখেছে নুরানী কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। প্রায় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী দিয়ে দিনে-রাতে সমানে তরিঘরি করে এই নির্মানকাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জমির মালিকদের।

জমির মালিক হাজী সাজ্জাদ হোসেন রাজধানী টেলিভিশনকে জানান, প্রায় ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে ক্রয় সুত্রে মালিক হয়ে ভোগদখলে থাকা অবস্থায় হঠাৎ রাতের আধাঁরে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে দুই একর জমিতে বালু ভরাট করে একটি চক্র। এঘটনায় আমারা মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (১৫৪৩৮/২০২২) দায়ের করেছি।

কিন্তু চক্রটি আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জোরপূর্চক নির্মান কাজ চালাচ্ছে। এঘটনায় আমরা সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং আগের চেয়ে অধিক লোকবল নিয়ে দিনে-রাতে সমানে কাজ করে যাচ্ছে নুরানাী কনস্ট্রাকশন। বালু ভরাটের সময় আমরা তাদের বাঁধা প্রদান করেছি। কিন্তু তারা আমাদের বাঁধা অমান্য করে কাজ করছে।

জোরপূর্বক কাজ করার অভিযোগের বিষে জানত চাইলে নুরানী কনস্ট্রাকশনের সাইট ম্যানেজার খোরশেদ আলম খোকন বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাজ করার ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী এখানে ভবন নির্মানের কাজ করছি। জমিটি নিয়ে আদালতের রিট হলেও আমাদেরকে কাজ করতে বলেছে ইঞ্জিনিয়ার সবুজ। আইনের উর্দ্ধে কেউ না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাজ বন্ধ করতে বললে আমরা কাজ বন্ধ রাখবো।

নির্মান কাজের দায়িত্বে থাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী সবুজ বলেন, ডিসি অফিস থেকে পিডি অফিসে জমিটিতে স্কুল নির্মানের জন্য বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পিডি অফিস এসে আমাদেরকে জমিটি মৌখিকভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর আমার নির্মান কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করি। এটা কার জমি, কিভাবে একর করা হয়েছে, জমিতে কোন রিট এবং মামলা রয়েছে কিনা সেটা আমাদের জানা নাই। এবিষয়ে কেউ আমারদের সাথে যোগাযোগও করেনি। জমি নিয়ে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে ডিসি অফিসে কথা বলেন।

এব্যাপারে জানতে অতিরিক্ত ঢাকা জেলা প্রশাসক (এল.এ) পারভেজ চৌধুরীর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি। কখন কল করলে কথা বলা যাবে জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলে লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে আবারও চেষ্টা করা হলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সাভারে খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোর শাস্তিসহ ভেজাল খাদ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

সাভার প্রতিনিধিঃ খ্যাদ্যে ভেজাল প্রয়োগ বন্ধের দাবিতে সাভারে মানববন্ধন কর্মসূচী ও আলোচনাসভা করেছে বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা কারিতাস। এসময় ভেজাল বিরোধী বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান লেখা ফেস্টুন, ব্যানার ও ক্যাপ পরিধান করে মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করে কিশোর কিশোরী, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কারিতাস উদ্যম প্রকল্পর নেটওয়ার্ক ফোরাম এর সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। বুধবার দুপুরে সংস্থাটির উদ্যম প্রকল্পের উদ্যোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজালাখ ফার্মের সামনে খ্যাদ্যে ভেজাল প্রয়োগ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, খাদ্যে ভেজাল দেয় যারা, জনগনের শত্রু তারা, খাদ্যে ভেজাল প্রয়োগকারীরা কখনো কারো বন্ধু হতে পারেনা। সুস্থ্য জীবন যাপনের লক্ষ্যে ভেজালমুক্ত খাদ্যের বিকল্প নাই। ভেজাল খাদ্য খেয়ে শিশু থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষ নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছে। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি পরিবার এবং সামাজিক ভাবে প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার জন্য আহবান জানান।

মানববন্ধন শেষে কারিতাস উদ্যম প্রকল্প সাভার কার্যালয়ে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক নেটওর্য়াক ফোরামে বক্তারা বলেন, একদিকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য উর্ধগতি এবং অন্যদিক খাদ্যে ভেজালের কারনে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সহ সকল বয়সের মানুষ রেহাই পাচ্ছে না ভেজাল খাদ্যের ছোবল থেকে। খাদ্যে ভেজাল গোটা জাতিকে নীরবে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রশাসনকে নৈতিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, ব্যবসায়ীদের লোভের মাত্রা কমাতে হবে। সব শ্রেণীর মানুষের লোভ ত্যাগ এবং ব্যবসায়ীদের ভালো মানসিকতাই পারে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ করতে। বক্তারা খাদ্যে ভেজাল বন্ধের দাবিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বক্তারা আরও বলেন, ভেজাল শব্দটাই নেতিবাচক। তা যদি খাদ্যের বেলায় হয়, তাহলে ভীতির সঞ্চার তৈরী হয়। তাই ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারকে আরো কঠিন অবস্থানে যেতে হবে। ভেজাল খাদ্য তৈরীতে সম্পৃক্তকারীদের কোনক্রমেই ছাড় দেওয়া যাবে না। ভেজাল রোধে দরকার ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা, প্রচার মাধ্যমের দায়িত্বশীলতা, প্রতারণামুলক বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সব ধাপে নজরদারি, ভেজালবিরোধী আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজালকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবিসহ ভেজাল খাদ্য বন্ধের দাবিতে সর্বস্তরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার আহবান জানান।

আয়োজিত মানববন্ধন ও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক নেটওর্য়াক ফোরামে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাভার উজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক কারিতাস উদ্যম প্রকল্প ইনচার্জ ফরিদ আহাম্মদ খান, সুমন জন রোজারিও, সমাজ সেবক মনির হোসেন, অব্দুর রাজ্জাক, কামরুল হাসান, আবুল কালাম আজাদ, জান্নাতুল ইসলাম ফেরদৌসী প্রমুখ।

সিংগাইরে সন্ত্রাসী রাজু শেখের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিংগাইরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজু শেখ নামের এক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শুক্রবার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে সিংগাইর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- ঢাকার সাভারের উত্তর চাপাইন এলাকার রাজু শেখ, সিঙ্গাইরের নয়াপাড়া গ্রামের আবুল হাশেম, জসিম উদ্দিন, রাজিব হোসেন এবং শ্যামল হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমি কেনা বেচা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী প্রিয়ারজান বেগমের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল এই জাকির হোসেনের।

আর সন্ত্রাসী রাজু শেখ পিয়ার জানের মেয়ের স্বামী বলে জানান স্থানীয়রা।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর এই সন্ত্রাসী রাজু শেখ রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে হামলা চালিয়ে ছিল জাকির হোসেনের ফার্নিচারের কারখানা সহ তিনটি বসত বাড়িতে, এই সময় লুটপাট সহ ঘরবাড়ি ও জাকির হোসেনের কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় নারীসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

ওই চাঞ্চল্যকর ওই ডাকাতির ঘটনায় ১২-১৪জনের নামে মামলা মামলা হয়। তাতে অনেকে গ্রেফতার হলেও এই সন্ত্রাসী রাজু শেখ কে গ্রেফতার করতে পারেননি থানা পুলিশ।

তারি বিরোধের জেরে, বৃহস্পতিবার সিংগাইরের ভূমদক্ষিণ এলাকা থেকে জাকিরকে কৌশলে জোরপূর্বক প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যান আসামিরা। অপহরণকারীরা তাকে প্রাইভেটকারে করে ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে বেদম মারধর করেন। এ সময় সন্ত্রাসী অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এতে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন রাজি না হলে, অপহরণকারীরা তাকে আবারও হাত পা চোখ বেঁধে বেদম মারধর করে। এরপর তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা নিয়ে নেন অপহরণকারীরা। পরে জাকির হোসেন তার নিজের ভাইয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের বিকাশ নম্বরে ১৭ হাজার টাকা পাঠান। পরে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেন।

এছাড়া সন্ত্রাসী রাজু শেখের বিরুদ্ধে নারী চক্র দিয়ে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীকে ফাঁসানোর অভিযোগ রয়েছে।

তবে স্থানীয়দের দাবি, রাজু শেখকে যদি আগের মামলা গ্রেপ্তার করা হতো তাহলে এমন ঘটনার পুনাবৃত্তি হতো না।

সিংগাইর থানার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি এ ঘটনায় মামলার হয়েছে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াধীন ।

সর্বশেষ আপডেট...