পুঠিয়ার বানেশ্বরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নানা বিড়ম্বনা ট্রাফিক পুলিশ বক্স অতি জরুরি প্রয়োজন
পুঠিয়ার বানেশ্বরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নানা বিড়ম্বনা ট্রাফিক পুলিশ বক্স অতি জরুরি প্রয়োজন
বিভাগীয় ব্যুরো চিফ, রাজশাহী
দেশের চাকা সচল রাখতে একনাগাড়ে ৮ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে নানা বিড়ম্বনা। গাড়ির চালক ও পথচারীদের বেশির ভাগেরই রয়েছে আইন ভাঙার প্রবণতা। ধুলোবালি, রোদ-বৃষ্টি, ঝড় ও শব্দদূষণ ট্রাফিক পুলিশের নিত্যসঙ্গী। দিন-রাত রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গাড়ির বিকট শব্দে কিডনি, হৃদযন্ত্র, কান, মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জটিল সমস্যা হয় বলে অভিমত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
এ কারণে ট্রাফিক পুলিশের কিছু সময় পর পর রেস্টের প্রয়োজন হয়। আর এ জন্যই বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশের বসার জন্য ট্রাফিক পুলিশ বক্স তৈরি করা হয়েছে। একটানা দাঁড়িয়ে থাকার পর কিছুক্ষণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বসে একটু রেস্ট নেবেন ট্রাফিক পুলিশ।
সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করছেন। তারপরও পুলিশের সঙ্গে অমানবিক ও বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশকে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি দেওয়া প্রয়োজন। এক ঘন্টা ডিউটি করে ০৫ মিনিট রেষ্ট করবে সে জায়গা নেই। রাজশাহী হইতে ঢাকা, বানেশ্বর হইতে চারঘাট রোডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুঠিয়া থানার বানেশ্বর ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত। পুঠিয়া থানার বানেশ্বরে ট্রাফিক পুলিশ বক্স গত ০৫ আগষ্টে ভেঙ্গে, পুড়িয়ে দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে ও কাজের সুবিধার্থে বানেশ্বর ট্রাফিকে পুলিশ বক্স প্রয়োজন।। বানেশ্বরে ট্রাফিক পুলিশ বক্স অতি জরুরি প্রয়োজন।
রাজশাহীর দূর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
রাজশাহীর দূর্গাপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও গণহত্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ মার্চ ২০২৫ইং সোমবার বেলা ১১:৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন এর সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুই দিন যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপনের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় গ্রাম আদালত ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
এসময়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনিসুর রহমান,
প্রাণীসম্পদ অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা কৃষি অফিসার সাহানা পারভিন লাবনী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রুহুল আমিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার নুরে শেফা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম, দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আ ন ম রাকিবুল ইউসুফ, সমবায় অফিসার আজগর আলী, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার , রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।
আলুর রাজ্যে আলুর দামে ধস কৃষক পাচ্ছে না উৎপাদন খরচ কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ।
আলুর রাজ্যে আলুর দামে ধস কৃষক পাচ্ছে না উৎপাদন খরচ কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ।
বিপুল ক্ষতির মুখে আলুর রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাজশাহী বগুড়া রংপুরের হাজারও কৃষকেরা আলুর দাম না পেয়ে মুখে মুখে উঠেছে ধস ধস। তবে না পাচ্ছে উৎপাদন খরচ সে কারনেই কপালে পড়েছে ঋণের দুঃশ্চিন্তার ভাজ। জমিতে আলুর কেজি এখন ১০ টাকা আবার হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে আলুতে এতো ধস। রাজশাহীতে আলু তোলা শুরু করার পরপর জোরে সোরে উঠেপড়ে লেগেছে সিন্ডিকেট চক্র তাদের জন্যই আলুর দামে ধস। এবার আলুর দাম একেবারেই কম। তবে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে জমিতে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি দরে। কৃষকরা বলছেন, গত এক দশকে আলু দাম এতোটা কম হয়নি। ফলে এ বছর উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ আলু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে আলু চাষিরা। ক্রেতা না থাকায় কৃষকেরা না পারছে জমি থেকে আলু বিক্রি করতে, আবার বুকিং না থাকায় হিমাগারেও না পারছে রাখতে এ চরম বিপাকে পড়েছে মধ্য বর্তী কৃষকেরা। মধ্যবর্তী কৃষকদের একটাই অভিযোগ আলুর অস্বাভাবিক দরপতন উঠানামার পেছনে আলু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের বড় হাত রয়েছে। তাছাড়া কৃষকেরা আরো দাবী করেন হিমাগার মালিকদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধ ও নাসকতার সাথে জড়িত এ ধরনের ব্যক্তিদের কাছে আছে অগাত টাকা তারা প্রতি বছর মাঠে নেমে আলু কিনতো কিন্তুু এবার তিন চার স্তর ফড়িয়া দালাল দিয়ে হাত বদলের পর আসল মালিকদের হাতে পড়ছে সেই সোনার আলু আর এ কারনেই কৃষকদের আলু বিক্রিতে এতো ধস। ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে হিমাগার ভাড়া ছিল ৪ টাকা। এবার এক লাফে সংরক্ষণ ভাড়া বাড়িয়ে আট টাকা করা হয়েছে এর কারনেও আলু বিক্রিতে এতো ধস। হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সু-কৌশল করে হিমাগারের অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন করে রেখেছে। এ বছর অধিকাংশ সাধারণ কৃষক আলু রাখার জন্য হিমাগারে কোনো বুকিং সংগ্রহ করতে পারেনি। এখন জমি থেকে আলু তুলে সাধারণ কৃষক না পারছে হিমাগারে দিতে না পারছে বাড়িতে রাখতে। ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পানির দরে আলু কিনে নিচ্ছে জমি থেকে। অসহায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকায় আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ভুক্তভোগী আলু চাষিরা আরও বলছেন এবার সাধারণ কৃষকরা হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ফলে রাজশাহীর আলু চাষিরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও না উঠায় ব্যাংক ও মহাজনী ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তানোরের কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা দমদমা গ্রামের আলু চাষিদের সাথে সরাসরি কথা হলে তারা বলেন,এবার আবাদ মৌসুমে বীজ আলুর দাম ছিলো দ্বিগুণ এক বিঘা জমিতে আলু আবাদে ব্যয় হয়েছে নিম্নে ৬৫ হাজার টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ৭৫ হাজার টাকা। বিক্রি সংরক্ষণ নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাজশাহী হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এদেরকেও অনেক কৃষকেরা দুসছেন, হঠাৎ করে নিজ খেয়াল মতো হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি করাকে।
রাণীশংকৈলে ৫০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ,দেড় লাখ খরচ, বিক্রি ৭ লাখ,চমক চাষি ইসরাফিলের
রাণীশংকৈলে ৫০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ,দেড় লাখ খরচ, বিক্রি ৭ লাখ,চমক চাষি ইসরাফিলের
(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
প্রমমবারের মতো ৫০ শতক জমিতে দেড় লাখ টাকা খরচে স্ট্রবেরি চাষ করে ৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে ব্যপক স্বাবলম্বী ও চমক দেখিয়ে আলোচিত হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল ইসলাম। স্ট্রবেরি চাষ করে ভাগ্যবদলের স্বপ্নকে সত্যে পরিনত করেছেন এই কৃষক। অল্প পুঁজি ও স্বল্প শ্রমে অধিক ফলন, বাজার চাহিদা ও দাম ভালো হওয়ায় প্রথমবারেই স্ট্রবেরি চাষে তিন গুণ লাভে ভাগ্য বদলিয়েছে ইসরাফিল। সরেজমিনে স্ট্রবেরি ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশে স্ট্রবেরি ক্ষেতে পরিচর্যা ও বিক্রির জন্য স্ট্রবেরি তুলছেন কৃষক ইসরাফিল। ওই এলাকায় নতুন এই ফসলের আবাদ দেখতে চাষাবাদে আগ্রহী কৃষক ও স্থানীয়রা প্রতিদিন ভিড় করছেন তার ক্ষেতে। তার প্রতিবেশী অতুল রায় জানান,দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিনই অনেকে স্ট্রবেরি ক্ষেত দেখতে আসেন। তার এই উদ্যোগ দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন স্ট্রবেরি চাষে। আরেক প্রতিবেশী জয়নাল আবেদীন বলেন, স্ট্রবেরি দামি ফল। লাভ দেখে আগামীতে আমারও ২০ শতাংশ জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করার ইচ্ছে আছে। ইসরাফিলের স্ট্রবেরি ক্ষেত দেখতে আসা আব্দুল মোমিন জানান, এই ফলের নাম শুনেছি, দেখিনি। স্বচক্ষে দেখলাম, খেলাম। খেতে বেশ সুস্বাদু। স্ট্রবেরি চাষি ইসরাফিল বলেন,পরীক্ষামূলক ভাবে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারা এনে ৫০ শতক জমিতে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন তিনি। তার এই জমিতে প্রায় ৮ হাজার উন্নত জাতের স্ট্রবেরি গাছ রয়েছে। এতে বীজ-পরিচর্যাসহ সবমিলিয়ে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। প্রথম দিকে প্রতি কেজি দুই হাজার টাকা দরে ২০০ কেজি স্ট্রবেরি তুলে ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করছেন। বর্তমানে বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রতি কেজি ভালো মানের স্ট্রবেরির পাইকারী দাম প্রায় ৫০০-৭০০ টাকা। এখনো ক্ষেতে আরো প্রায় ১৫ মন, মানে ৬০০ কেজির মতো স্ট্রবেরি রয়েছে। এক মাসের মধ্যে এটাও প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবে। সব মিলিয়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার স্ট্রবেরি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ইসরাফিল। বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এসে তার ক্ষেত থেকে স্ট্রবেরি নিয়ে যাচ্ছেন। সর্বসাকুল্যে ৫০ শতক জমিতে ৪০ থেকে ৫০ মন স্ট্রবেরি উৎপাদন সম্ভব বলে তিনি জানান। অল্প পুঁজি ও শ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে স্ট্রবেরি চাষের কথা ভাবছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত স্ট্রবেরির চারা রোপণ করা যায়। আগাছা নিড়ানো ও কীটনাশক স্প্রে করে পরিচর্যা ও নিবিড় যত্নে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে থোকায় থোকায় ফল আসা শুরু হয়। ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফল আহরণ ও বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সহীদুল ইসলাম জানান,”এ উপজেলা স্ট্রবেরি চাষে বেশ উপযোগী। কিন্তু স্ট্রবেরি একটি সংবেদনশীল ফল ও অল্প সময়ের জন্য তাজা থাকে। তাই বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরি চাষ ও বাজারজাতকরণ বড় চ্যালেঞ্জ। চাষি ইসরাফিল সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল হয়েছেন। বাজারে এর অনেক দাম ও ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। কৃষি বিভাগ তাকে সহায়তা দিয়েছে। তার সফলতা দেখে অন্যান্য কৃষকরাও স্ট্রবেরি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা
পুলিশ সদস্যদের সম্মুখ সারির মানুষ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, শৃঙ্খলা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব। আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুলিশ বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পুলিশ আগে খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিল, এখন পুলিশকে আলোময় বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা পালন করতে হবে।
নির্বাচন যতই কাছে আসবে ষড়যন্ত্র ততই তীব্র হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাই সতর্ক থাকতে হবে পুলিশকে। আমরা যুদ্ধাবস্থায় আছি, এইটা মনে রেখে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই যুদ্ধাবস্থার সুযোগে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করবে ষড়যন্ত্রকারীরা।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ একটা মস্তবড় সম্ভাবনার দেশ। সেটাকে আমরা বাস্তবতায় নিতে পারিনি। নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে। এই সম্ভাবনাকে যেন আমরা হেলায় না হারাই। যারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এমন দেশের পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ ও সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ফারজানা ইসলাম।
রাজশাহীতে মোহনপুর উপজেলায় মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার।
রাজশাহীতে মোহনপুর উপজেলায় মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার।
রাজশাহীতে তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলায় ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশী ক্ষেত্র বিলে মস্তক বিহীন উদ্ধার করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনগণে ও প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
রাজশাহীর মোহনপুুরে সইপাড়া হইতে তানোর সড়কে সাবেক সংসদ আয়েন উদ্দিনের পুকুর থেকে পূর্বপ্বার্শে বক্সকালভার্টের দক্ষিণপাশের বিলকুমারি বিলের ডোবায় মস্তক বিহীন লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোহনপুর থানা পুলিশের টিম লাশ টি উদ্ধারে কাজ করছেন।
ধারণা করা হচ্ছে গত ৯ মার্চ রাতে নিজ জমিতে পানি সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ আলতাফ (৫২) ।
তার নিজ জন্মস্থান মোহনপুর উপজেলায় ধুরুল ইউনিয়ন।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত ৯ মার্চ রবিবার আলতাফ রাতে নিজ ফসলি জমিতে পানি সেচ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
গতকাল ১৬ মার্চ সকাল আনুমানিক ১১:৩০ মিঃ এ মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করেন মোহনপুর থানা পুলিশ।
ফের পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার, ঢামেকে ভর্তি
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটিবাজার সংলগ্ন নয়াবাজার গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মো. রবিন (১৫) নামে এক কিশোরকে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করেছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গত রাতে ধর্ষণের অভিযোগে অসুস্থ অবস্থায় কেরানীগঞ্জ থেকে ওই শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওসিসিতে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ অবগত আছে।
রোববার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ওই শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে ২১২নং ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে শিশুকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন চিকিৎসক।
শিশুটির ফুফু বলেন, আমার ভাতিজি নার্সারিতে পড়ে। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলার সময় রবিন তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরে রক্তক্ষরণ হলে তার বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারে। তাকে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে রাতে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত রবিনকে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করেছে। শিশুর বাবা রাত থেকে এখন পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ থানাতেই আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মামলা না হলে বা পুলিশ না এলে শিশুর চিকিৎসা ঠিকভাবে হবে না। তাই আমরা আপনাদের মাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরতে চাই এবং এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
আমরা থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা বলেছে সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মেডিকেলে আসবে। আমাদের শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি আছে বলেও জানান তিনি।
ধর্ষণ নিয়ে বক্তব্যে ব্যাপক সমালোচনা, ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ
‘ধর্ষণ’ শব্দ এড়িয়ে চলার বিষয়ে বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ধর্ষণকে বৃহত্তর পরিসরে নির্যাতন হিসেবে অভিহিত করেছি। আমার বক্তব্যে কেউ মনঃক্ষুণ্ন হলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
এর আগে ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ শব্দ ব্যবহার করতে শনিবার গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি দুটো শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ধর্ষণ। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নিপীড়ন’ বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।’
যেসব ঘটনা জনমনে আতঙ্ক বা ভয় সৃষ্টি করে, তা কম দেখানোর অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এটা আপনারা করবেন, আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব। তবে যদি একটু “রিজনেবল” করে দেখানো যায়।’
তার এই অনুরোধের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।
শেখ মো. সাজ্জাত আলী ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি মনে করেন, বিষয়টি কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তার (ডিএমপি কমিশনার) এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত, প্রত্যাহার করা উচিত।
‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করুন, এখনই!’ শীর্ষক মানববন্ধনে ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। রোববার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে টিআইবি।
এদিকে রোববার রাতে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধর্ষণ ধর্ষণই, তা ৮ বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী যে কোনো বৃদ্ধাকেই করা হোক না কেন। এই ধরনের জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নামেই ডাকা উচিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না।
লাপাত্তা ভারতীয় ঠিকাদার, ১৫৩ কোটির হাইটেক পার্কের ভবিষ্যৎ কী?
সাত মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে ময়মনসিংহ হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজ বাকি রেখেই পালিয়ে যায় ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এতে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা, তেমনি কাজ বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে ১৫৩ কোটি টাকার নির্মাণসামগ্রী।