30 C
Dhaka, BD
রবিবার, মে ১১, ২০২৫

কালো আঙুর খেলে কী হয় ?

আঙুর ফল নানা রঙের হয়ে থাকে। লাল, কালো, সবুজ। তবে সব রংয়ের আঙুরের মধ্যে কালো আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। কালো আঙুরের গুণ জানলে সত্যি অবাক হতে হয়। স্বাস্থ্য, ত্বক, চুল বা চোখ সব কিছুর জন্যই উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ছোট্ট এই কালো ফলটি। আর এজন্যই আঙুরকে ‘কুইন অব ফ্রুট’ বা ‘ফলের রাণী’ বলা হয়।

১. ক্যানসার প্রতিরোধ: ব্রেস্ট, লাং, প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধ করে কালো আঙুর।

২. হার্ট ভালো রাখে: কালো আঙুর খেলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল ভালো হয়। এর ফাইটোকেমিক্যাল হার্টের পেশিকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

৩. দৃষ্টিশক্তি: দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত আঙুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: কালো আঙুর আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। বলা হয় যে, কালো আঙুর মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়।

৫. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কালো আঙুর।

৬. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা: কালো আঙুরের ফ্ল্যাবনয়েডস, খনিজ, অরগ্যানিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দূর করে। দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৭. ত্বক: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর কালো আঙুর ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে বলিরেখা, কালো ছোপ, শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় কালো আঙুর খান ও ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ করুন।

৮. চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর: কালো আঙুরের বীজ পেস্ট করে, অলিভ অয়েলে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই চুল পড়ার সমস্যা কমায় ও চুল সাদা হয়ে যাওয়াও প্রতিরোধ করে।

৯. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কালো আঙুরে পাওয়া সাইটোকেমিক্যালগুলো হৃত্‍পিণ্ডের জন্য ভাল এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।

১০. ওজন হ্রাসে সহায়ক: কালো আঙুর ওজন হ্রাসে সহায়তা করতে পারে। এর জন্য আপনাকে এটি নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। এগুলোর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন সরিয়ে দেয় এবং এইভাবে ওজন কমায়।

সতর্কতা-

১. দাঁত বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা থাকলে কালো আঙুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২. রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ খান যারা, তাদেরও কালো আঙুর খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

সাভারে “স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ”এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে (ভিডিও)

 

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ সাভারে “স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ”এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার, সকাল ৯ টায় সাভারের হেমায়েতপুর , বাগবাড়ীমোড় ‘স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এলাকার বালুর মাঠে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও স্ট্যান্ডার্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক

মোঃ রাকিবুল ইসলাম শাকিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি বক্তব্য কালে বলেন, ‘নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। অভিভাবকদের উচিত ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাসহ অন্যান্য গঠনমূলক সহশিক্ষায় নিয়োজিত করা।’

এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিপুলসংখ্যক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নব উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন।

সাদা কাপড়ে মাটির নিচেই যেতে হবে, দুনিয়ায় কেউ চিরস্থায়ী নই : সারজিস

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা দুনিয়ায় কেউ চিরস্থায়ী নই। সবাইকে একদিন বিদায় নিতে হবে। দিন শেষে একটা সময় কয়েক গজ সাদা কাপড়ে মাটির নিচেই যেতে হবে।’

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বামনকুমার এলাকার রাখলদেবীহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিজ দাদার তজির উদ্দীনের জানাজায় গিয়ে এ কথা বলেন সারজিস। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাদার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

এ সময় দাদার জন্য দোয়া প্রার্থনা করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক আরও বলেন, দাদার এই জানাজাকে শুধু জানাজা না মনে করে একটি শিক্ষা মনে করি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে কিছু রীতিনীতি আছে, কেউ মারা গেলে ৩ দিন, ১০ দিন বা ৪০ দিন পর একটি দোয়ার দাওয়াতের আয়োজন করা হয়। আমি এ বিষয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলে দেশের বড় বড় আলেমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, নবীর আমল থেকে এমন কোনো নিয়ম বা সংস্কৃতি ছিল না। এতে লাভের কোনো দিক নেই, তবে গুনাহের কোনো উপলক্ষ তৈরি হয়ে যেতে পারে। তো আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, আমাদের দাদা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাই আমরা এমন কিছু করবো না, যা ইসলামের রীতিনীতি ছিল না।

জানাজায় এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সারজিসের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

উল্লেখ্য, সারজিস আলমের দাদা তজির উদ্দীন সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার সময় নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

সাদপন্থিরা আগামী বছর টঙ্গীতে ইজতেমা না করার শর্তে এবার অনুমতি পেলেন

আগামী ১৪, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি টঙ্গী ময়দানে তাবলিগ জামায়াত বাংলাদেশ (মাওলানা সা’দ এর অনুসারী)-এর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত দেয়া হয়েছে, আগামী বছর থেকে টঙ্গী ময়দানে তারা ইজতেমা ও তাবলিগি কার্যক্রম করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।

উপসচিব আবু সাঈদ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টঙ্গী ময়দানে আগামী বছর থেকে ইজতেমা এবং তাবলীগি কার্যক্রম না করার শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এ বছর দ্বিতীয় পর্বে শুধুমাত্র ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি সা’দপন্থিরা বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে, বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনটি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১. তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজামের অনুসারীরা (মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের) ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইজতেমা ৫ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন করে ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন।
২. তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সা’দ সাহেবের অনুসারী)-এর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আগামী ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব তারা ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন।

তবে আগামী বছর থেকে তাদের বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগি কার্যক্রম টঙ্গীস্থ ইজতেমা ময়দানে করতে পারবেন না। এই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ইজতেমা করতে পারবেন।

৩. আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা ময়দান শুরায়ী নেজামের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, শনিবার তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে। আর আগামীকাল বুধবার প্রথমপর্বের ২য় দফার আখেরি মোনাজাত হবে বেলা ১২টায় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ইজতেমা মাঠ নিয়ন্ত্রণে নেবে পুলিশ। শুক্রবারও পুলিশের কাছেই থাকবে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে নাজমুল করিম খান বলেন, এবার মোনাজাতের সময় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সকলের প্রতি অনুরোধ মোনাজাতের সময় রাস্তায় কেউ বসবেন না।
তিনি বলেন, প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের ইজতেমা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়। পুরো মাঠে ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। পেট্রোল, মোবাইল এবং চেকপোস্ট ডিউটির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মাঠের ভেতরে আমাদের সদস্যরা সাদা পোশাকে কাজ করছেন। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের মতো আমরা সবার সহযোগিতায় দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমাও সুন্দরভাবে করতে চাই।

আগামীকাল বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা।

সাভারে বি’এন’পির সভাপতিসহ আহত ৩০ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারে বনগাঁও এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটির জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এঘটনায় সাভার থানা বিএনপির সভাপতিসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

বুধবার (২৯ জানুয়ারী) দুপুরে বনগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাঁম এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটির বিএনপির সমর্থিত লোকজন ও থানা বিএনপির সাইফুল ইসলামের সাথে সংঘর্ষ হয়।

আহতের মধ্যে সাইফুল ইসলাম, কমর উদ্দিন, খন্দকার মোস্তাক আহমেদ রনি, আজমত আলী, মোশারফ হোসেন, ডালিম, ওয়াসিম উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, সায়েম মোরশেদ, মকবুল হোসেন, রাহুল, আমজাদ আলীকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাঁম এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটিতে চাঁদা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সাভার থানা বিএনপির সভাপতি ও বনগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন সাইফুল হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এ ঘটনায় নর্থ সি ইকো সিটি এমডি আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার আবাসন কোম্পানীতে সাইফুল ইসলাম ৪০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। এর আগেও দুই বার চাঁদার দাবিতে আমার কোম্পানির অফিস ভাঙচুর করে, এঘটনায় আমি একটা মামলাও করি। আজ আবারও চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সেই নিজে ভাড়া করা লোক দিয়ে সেখানে হামলা করে। এসময় আমার ১০ জনকে মারধর করে অফিস ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়।

সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফউদ্দিন সাইফুল বলেন, ওই আবাসন কোম্পানীতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সবসময় আড্ডা দেয়। তারা সক্রিয় হয়ে মিছিল করতে পারে তাই আমরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে একটি পক্ষ মানববন্ধন করেছে। সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানান, বনগ্রাঁম এলাকায় নর্থ সি ইকো সিটি নিয়ে সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও অপর একটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের জের হিসেবে মারামারি হয়েছে। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আগাছা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জামায়াত আমিরের

সব আগাছা-পরগাছা নির্মূল না হওযা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বরিশালে দলের জেলা ও মহানগরের কর্মী সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, গণহত্যাকারী সিন্ডিকেট দল বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা চাই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হোক, তাদের দলের বিচার হোক।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো নিজেদের দেশপ্রেমিক দাবি করেন; তো দেশপ্রেমিক হলে আসেন না। বিচার মোকাবিলা করুন। আমাদের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়েছেন। আপনারা তো প্রকাশ্যে গণহত্যা চালিয়েছেন।’

জামায়াত প্রধান বলেন,‘স্বাধীনতার পর থকে বিভেদ তৈরি করে দেশটাকে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে অনেকেই জীবন দেয়। কিন্তু এভাবে বুক পেতে জীবন দেয়া আবু সাঈদের ঘটনা বিরল। আবু সাঈদ মুক্তির মহানায়ক। জুলাই-আগস্টে শহীদরা যে জন্য জীবন দিয়েছেন সেই লড়াইটা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন; তারা এখন জিন্দা শহীদ।

বরিশালের অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিয়ে তিনি বলেন‘ভোলার গ্যাস সারা দেশে যাক; তবে সবার আগে বরিশালে আসুক। আর একটি সেতু বরিশাল থেকে ভোলায় যাক। ভোলাসহ পুরো বরিশাল বিভাগকে উন্নত দেখতে চাই। আমাদের যদি আল্লাহ সুযোগ দেন তাহলে বরিশালবাসীর সব দাবি পূরণের চেষ্টা করব। আর যদি বিরোধী আসনেও থাকি তবে আপনাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।’

কর্মী সম্মেলনের সভাপতি বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, ঈদগাঁ মাঠে যাতে সম্মেলন হতে না পারে তার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সব বাঁধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠান সফল করা হয়েছে।

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন,‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ইসলাম নির্মূল করার উদ্দেশ্যে সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। তারপরও জামায়াত নেতারা পালিয়ে যাননি।’

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, বিভেদ নয়, ঐক্য ধরে রাখতে হবে। জনমত তৈরি করে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে। আগামী নির্বাচন ফেয়ার হতে হবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব নয়, বরং সুসম্পর্ক রয়েছে: ডা. তাহের

সম্মেলনে সনাতনী ধর্মের মানুষের পক্ষে বক্তব্য দেন অসিম কুমার হালদার। তিনি বলেন, ‘এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বেশি কিছু চায় না, তারা চায় শুধু শান্তি। ৫ আগস্টের পর আমার এলাকায় হিন্দুদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। আমাদের খোঁজ রেখেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।’

এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, জমায়াতে ইসলামীর ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার, বরগুনা জেলা আমির মাওলানা মহিববুল্লাহ হারুন, পটুয়াখালী জেলা আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, ভোলা জেলা আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, ঝালকাঠি জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, বরিশাল মহানগর ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি কামরুল আহসান হাসান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক কবির আহমেদ, শিবিরের বরিশাল মহানগর সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, জেলা সভাপতি আকবর হোসেন প্রমুখ।

গায়েবি ও রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার ফেব্রুয়ারির মধ্যেই : আসিফ নজরুল

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া গায়েবি ও রাজনৈতিক মামলা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক ও গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মামলায় লাখ লাখ মানুষ আসামি রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে।’

এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে সারা দেশে যত মামলা রয়েছে সব প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। একইসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আওতায় বিচারপতি নিয়োগে প্রধান বিচারপতিকে প্রধান করে ছয় সদস্যের ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, ‘জুলাই আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার বিচার এবং আগামী নির্বাচন আয়োজন সাংঘর্ষিক বিষয় হবে না। বিচার কাজের জন্য প্রয়োজনে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।

সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় এমন কোনো বিষয় অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে না বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি)
দুপুরে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় মাদক, চুরি ও জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরশেদুল হক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিম উদ্দিন, সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রহিম, বিজিবি সদস্য কোম্পানি কমান্ডার মোতালেব হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি আতাউর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মিজানুর রহমান,সেক্রেটারি রজব আলী, পৌর বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান আলী, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল‌ হোসেন,আবুল‌ কালাম, আবুল কাশেম, আতিকুর রহমান বকুল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা তারেক মাহমুদ প্রমুখ।

এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার সৈকতের জনসমুদ্রে হারানো ৬ শিশুকে খুঁজে দিল পুলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি ঃ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নোনাজলে মেতেছিলেন ভ্রমণপিপাসুরা। কী নোনাজল কী বালিয়াড়ি, ৩ কিলোমিটার সাগরতীর জুড়ে কানায় কানায় মানুষ। সবখানে বিরাজ করছে আনন্দ-উৎসব। তবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সৈকতের লাইফগার্ড কর্মীরা।

শুক্রবার বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়; শান্ত সাগরে ঢেউয়ের গর্জন, তার মাঝে মানুষের উল্লাস। নোনাজলে সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি টিউবে গা ভাসিয়ে মেতে ওঠা। আর মাঝে মাঝে জেড স্কী করে সমুদ্রের নীল জলরাশি দেখতে ছুটে যাওয়া।

এ তো গেল নোনাজলে মানুষের আনন্দ উৎসব। বালিয়াড়িতেও রয়েছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সুন্দর মুহূর্তটুকু ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঘুরছেন ঘোড়ার পিঠে কিংবা বিচ বাইকে।

ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক ইব্রাহীম বলেন, শুক্রবার তো অনেক মানুষ। সাগরতীরে হাঁটার মতোও সুযোগ হচ্ছে না। তবে অনেক পর্যটক হওয়াতে বেশ আনন্দ হচ্ছে আর ভালো লাগছে।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রুপা হায়দার বলেন, ‘কর্মব্যস্ত জীবনে সব সময় কক্সবাজার আসা হয়ে ওঠে না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনকে কেন্দ্র করে দুদিনের জন্য কক্সবাজার আসা। কক্সবাজার আসা হয় মূলত মানসিক প্রশান্তির জন্য।’

আরেক পর্যটক রোহান বলেন, ‘শীতকাল চলছে তাই কক্সবাজার ছুটে আসা। এখানে ঘোড়ার পিঠে, বিচ বাইক ও জেড স্কীতে চড়তে এবং ছবি তুলতে বেশ ভালো লাগছে।’পর্যটকের ভিড়ের মাঝে ঘটছে শিশু নিখোঁজের ঘটনাও। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতায় হারিয়ে যাওয়া শিশুদের উদ্ধার করে হস্তান্তর করা হচ্ছে অভিভাবকদের কাছে।

পর্যটক রফিক আহমেদ বলেন, ‘৬ বছরের ছেলেকে তার মায়ের হাতে দিয়ে গোসলে নেমেছিলাম। কিন্তু তার মায়ের হাত থেকে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেক পর ছেলেকে ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে অভিযোগ দিতে এসে পেয়েছি।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসা শিশু সাবিহা (৭), টাঙ্গাইল কাজীপুরের আনিসা অরিন (৭), চট্টগ্রাম ডাবলমুরিংয়ের বিনয়(১১), জিবরান (১১), ঢাকা মোহাম্মাদপুরের আয়েশা সিদ্দিকা (১২) ও শিশু আরাফ (৫) হারিয়ে যায়। পরে তাদের অভিভাবকদের খুঁজে বের করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। হারানো সন্তানদের ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন তাদের অভিভাবকরা। তারা ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

কক্সবাজার রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, ঘুরতে এসে বিচে হারিয়ে যাওয়া শিশুদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরাও অত্যন্ত খুশি। ছুটির দিনে অধিক পর্যটকের আগমনে আমরাও সচেষ্ট হয়ে কাজ করছি। তবে এখন পর্যটকদেরও সচেতনতার সঙ্গে বাচ্চাদের সঙ্গে রেখে চলাচল করতে হবে। পর্যটকদের সেবায় সর্বদাই আমরা সব ইতিবাচক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকব। এদিকে শীত মৌসুমে হঠাৎ করে সাগরে বেড়েছে ঢেউয়ের তীব্রতা। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে লাইফ গার্ড কর্মীরা।

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘প্রচুর পর্যটক। সৈকতের শৈবাল থেকে কলাতলী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সৈকতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যার মধ্যে বেশিভাগই পর্যটক সমুদ্রস্নান করছে। তবে সাগরের ঢেউয়ের তীব্রতা বেশি থাকায় পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে সতর্ক রয়েছি। টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ, বালিয়াড়ি টহল ও বোট নিয়ে সাগরের নোনাজলে সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে।’

এদিকে বঙ্গোপসাগর হয়ে প্রতিদিনই কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাচ্ছে পর্যটকবাহী ৫টি জাহাজ।

এস আলমের চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার ব্যাংক থেকেই দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি লুটপাট করেছে এস আলম গ্রুপ। এর মধ্যে শুধু চটপটির দোকান দেখিয়ে ঋণের নামে ২৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে গ্রুপটি। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র।

বিগত সরকারের সুবিধাভোগী গ্রুপটির দুর্নীতির ফিরিস্তি খুঁজতে দুদকের গঠিত টাস্কফোর্সের অনুসন্ধান প্রতিবেনে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর চটপটির দোকান। দেখতে ছোটখাটো হলেও এই প্রতিষ্ঠান ও দুটি রোস্তোরাঁর মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে কমপক্ষে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমি নওরোজ হলেও প্রকৃত অর্থে ঋণের টাকা যায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলমের পকেটে।

এই অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় দুর্নীতিবাজ ধরতে এখনও দুদকের তৎপরতা বাড়েনি।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁর বিপরীতে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলমের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক মো. সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে।

ইতোমধ্যে বিএফআইইউ থেকে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দুদকের তথ্য বলছে, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে নামে-বেনামে লুটপাট করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে এক লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ও ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে। এসব নিয়ে টাস্কফোর্সের পাশাপাশি দুদকের একাধিক টিম কাজ করছে।

যদিও দুদকের আইন বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম মনে করেন, বড় দুর্নীতিবাজ ধরার ক্ষেত্রের সক্রিয়তায় এখনও ঘাটতি রয়েছে।

মঈদুল ইসলাম বলেন, ‘সেই সময়কার দুদক এটা (এস আলম গ্রুপ) ধরতে পারেনি বা ধরবার চিন্তাই করেনি সরকারি প্রভাব থাকার কারণে। এখন পট পরির্তন হয়ে গেছে। এখনকার সরকার ও বাইরের পরিবেশ সবটাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সে দিক থেকে দুদকের যে তৎপতরা সেই ক্ষিপ্র গতি দেখছি না। দুদক যেন কেমন ঢিলেমি করছে।’

ইতোমধ্যে বন্ধ হওয়া এস আলমের আটটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে দুদক।

সর্বশেষ আপডেট...