ঝালকাঠিতে ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে অটোরিকশার শ্রমিকরা খাদ্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ

Loading

সৈয়দ রুবেল, ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠিতে ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে অটোরিকশার শ্রমিকরা খাদ্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চালকরা একমাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মহীন হয়ে পড়েছে।মহামারী করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে না খেয়ে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে চরম মানবিক জীবন যাপন করছে । তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে দেয়নি কোন খাদ্য সামগ্রী।

এমন অবস্থায় ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে শ্রমিকরা।

৩০/০৪/২০২০ইং তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী সরকারি ত্রাণ ও খাদ্যের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করে।

এসময় শ্রমিকরা জানান, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঝালকাঠিতে ২৫ মার্চ থেকে সকল যোগাযোগ ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আমরাও জনস্বার্থের কথা ভেবে খাবারের কথা চিন্তা না করে গাড়ি চালানো বন্ধ রাখি। বাস শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিক, হ্যান্ডেলিং শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকরা খাদ্য সহায়তা পেলেও আমাদের কেউ কোন সহায়তা দেয়নি। ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা গারি বন্ধ করে রাখি। ক্ষুধার তাড়নায় রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামতে হবে, তাছাড়া আমাদের আর কোন পথ নেউ।

জেলা অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ও অটোরিক্সা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু সাইদ খান জানান, ২৫ মার্চ করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন থেকে জনসাধারনের চলাচলে কঠোর নির্দেশনা জারী করে। এতে সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। শুরু হয় অঘোষিত লকডাউন। কয়েকজনের করোনা সনাক্ত হবার পরে ১৭ এপ্রিল থেকে সদর উপজেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন প্রত্যেক শ্রমিকের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছে যাবে। তা শুনে আমরা আশ্বস্ত হইছিলাম। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হলেও আমরা অটোশ্রমিকরা কিছুই পাইনি। মানুষে পাইছে আমরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছি। জেলা প্রশাসনের কাছে গেলে পৌরসভার কথা বলে আবার পৌরসভার কাছে গেলে জেলা প্রশাসনের কথা বলে। আমরা এ কোন নাটকে পড়লাম। যদি আমাদের খাদ্য সহায়তা না দেয়া হয় তাহলে আমরা (আগামীকাল) শুক্রবার থেকে রাস্তায় গাড়ি চালানো শুরু করবো বলেও ঘোষণা দেন সম্পাদক আবু সাইদ খান।