ঝালকাঠিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২১ কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ
সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক ২০১৯ সম্মেলন শেষে শহরের অতুল মাঝি খেয়াঘাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।পৌর কাউন্সিলর ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির খান এবং যুবলীগ নেতা কামাল শরীফের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।১২/১২/২০১৯ইং তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় একজন গুলিবিদ্ধসহ দুই গ্রুপের ২১ জন আহত হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। গুলিবিদ্ধ পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খান ফারসু(৩৫)কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ছয়জন। তারা হলেন- বাবুল হোসেন (৩৮), মিরাজ হোসেন (৩৫), আবির খান (১৭), রিয়াজ মৃধা (৩৯), শাহিন মাঝি (১৯) ও রুবেল খান (৩০)।
এছাড়াও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে সালাউদ্দিন, ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াস শরীফ, সুমন ও সবুজকে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পালবাড়ি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিরাজ হোসেন, আবির খান, শাহিন মাঝি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল শেষে মিছিল নিয়ে আমরা বাড়ি যাইতেছিলাম । এ সময় পালবাড়ির অতুল মাঝি খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে কামাল শরীফের নেতৃত্বে তার দলবল আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় কামাল শরীফ গুলি ছুড়লে কাউন্সিলর ফারসুর পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন আমাদের ১৫ থেকে ১৬ জন আহত হয়।
কামাল শরীফ এ ঘটনার বিষয়ে জানান, আমি জেলা সম্মেলনে ছিলাম। সম্মেলন শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার ভাইসহ ১২ থেকে ১৩ জনের ওপর হামলা চালায় হুমায়ুন কমিশনারের লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রতিপক্ষরা পিস্তল, রামদা নিয়ে এ হামলা চালায়। হামলায় আহত আমিসহ সবাই শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এই সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম জানান, বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহত ২১ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ ছিল। তার পা থেকে বুলেট বের করা হয়েছে। আরও কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, দুই গ্রুপের ব্যক্তিগত আক্রোশের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কেউ গুলিবিদ্ধ হবার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।