ঝালকাঠিতে বিজয়ের মাসের শুরুতে শহীদের স্মরণে বধ্যভূমিতে নির্মিত হচ্ছে স্মৃতিস্তম্ভ

Loading

সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির সবচেয়ে বড় বধ্যভূমিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে বিজয়ের মাসে নির্মিত হতে যাচ্ছে শহীদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ।০২/১২/২০১৯ইং তারিখ সোমবার সকালে জেলা শহরের সুগন্ধা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় শহীদ স্মরণী সড়কের পাশে পবিত্র কোরআান তেলোয়াত মধ্যে দিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং নির্মান কাজের সফলতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের বেইজ ঢালাই শুরু করা হয়।

এ বিষয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় প্রবীণরা জানান, ঝালকাঠি জেলার বর্তমান পৌর খেয়া ঘাট সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে অবস্থিত বদ্ধভূমিটি সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি।

একাত্তরের নয়মাস অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে লাইনে দাড় করিয়ে পাক-বাহিনী ও তাদের দেশীয় এজেন্ট রাজাকাররা গণহত্যা চালায়। এখানে কমপক্ষে দশ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

ঝালকাঠি জেলা পরিষদের অর্থায়নে শহীদ স্মৃতি ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ কালীন ঝালকাঠির অবস্থান সম্পর্কে জানতেই নির্মাণ হচ্ছে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ।

এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের ঢালাই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দোয়া মোনাজাতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মোহাম্মদ শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার, নারী নেত্রী শারমিন মৌসুমী কেকা, ঝালকাঠির বধ্যভূমি সংরক্ষণ সংগঠন হৃদয়ে একত্তর এর সাংগঠনিক উপদেষ্টা সাংবাদিক পলাশ রায়, সভাপতি হাসান মাহামুদ, পৌর কাউন্সিলর হুমায়ুণ কবির, সাবেক ছাত্র নেতা ইদ্রিস মল্লিক, ছাত্র নেতা মাইনুল ইসলাম মান্নাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ঝালকাঠি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম বলেন, আপতত দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে কাজ শহীদ স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদ থেকে আরো অর্থ বরাদ্ধের মাধ্যমে শহীদ স্মৃতির এ স্তম্ভ সাজিয়ে তোলা হবে।