মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন ধামরাই :- ধামরাইয়ের ছোট কালামপুর আদর্শ গ্রাম এলাকায় ৩য় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকায় একই এলাকার হৃদয় হোসেন(২৩) কে আসামী করে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-০৯। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত ধর্ষণকারী ও তার পরিবার পালিয়ে যায়।
গতকাল রোববার (৪ আগষ্ট) দুপুরে ছোট কালামপুর আদর্শ গ্রাম এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষিতা উপজেলার কালামপুর এলাকার মেয়ে (টুম্প ছদ্মনাম)(১০)।
সরেজমিনে গিয়ে অনুুুুসন্ধা জানা যায় , ধামরাইয়ের ছোট কালামপুর আদর্শ গ্রাম এলাকার প্রবাসী আব্দুল হালিমের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৩) একই এলাকার ওই তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রায়ই বিরক্ত করতো।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার দাদি জানায়, হৃদয় আমার নাতনিকে প্রায়ই হাত ধরে টানাটানি ও বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে বিরক্ত করতো! গতকাল রোববার (৪আগষ্ট) দুপুরে এলাকার নদীতে গোসল শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে হাত ধরে টেনে জোড়পূর্বক হৃদয় তার বাড়িতে বাড়ান্দার কোঠায় নিয়ে যায়।
পরে পাশের বাড়ির নুর মুহাম্মদের স্ত্রী শহর বানু বিষয়টি জানতে পেরে হৃদয়ের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষিতার কান্নার শব্দ শুনতে পায় এবং দরজা খুলতে বলে।
শহর বানুর কথামতো ধর্ষক হৃদয় হোসেন দরজা খুলে কথা কাটাকাটি করে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। তারপর শহর বানু ওই স্কুল ছাত্রীর হাত ধরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন।
ধর্ষিতার পরিবার ওই স্কুল ছাত্রীর কাছে সব ঘটনা জানতে পেরে ধামরাই থানায় আসেন এবং হৃদয় হোসেনকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ সাহা জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য রাতভর অভিযান চালিয়েছে,আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে, ধর্ষনকারী ও তার পরিবার বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর জানায়, ধর্ষক হৃদয় কিছুদিন আগে বিয়ে করেছে। এরপরও তার চলাফেরা উশৃংখল ছিল। সে প্রায়ই ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েদের উত্যাক্ত করতো,আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।