নিখোঁজের তিন দিন পরে সাভারে ধলেশ্বরী নদী থেকে স্থানীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হুমায়ন কবির সরকারের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
রোববার সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রামের শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন ও পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে এঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ওই হুমায়ন কবির ভরারী এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
এর আগে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মোঃ হুমায়ন কবির সরকারকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পানপাড়া বংশী নদীর পারে বালির মাঠে নিয়ে যায় এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ী পারভেজ বাহিনীর লোকজন।
পরে সেখানে মাদক ব্যাবসায়ী পারভেজ বাহিনীর ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল তাকে রামদা দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে সন্ত্রাসীরা লাশটি একটি ট্রলারে করে বংশী নদীতে গুমকরে রাখে।
ট্যানারী পুলিশ ফাড়ির ওসি গোলাম নবী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী পাভেজ বাহিনীর লোকজন তাকে হত্যা করে লাশটি বংশী নদীতে ফেলে দেয়।
পরে রবিবার সকালে তিন দিন পর বংশী নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এর আগে ট্রলারের মাঝিসহ মোট ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সাভার ফায়ার সার্ভিস এর ষ্টেশন অফিসার লিটন আহমেদ জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার মারামারি ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন।পরে গতকাল সকালে ফায়ার সার্ভিস পানপাড়া এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে তল্লাশী চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,এফ,এম সায়েদ জানান, বৃহস্পতিবার মারামারি ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন হুমায়ন কবির। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয় প্রতিপক্ষ পারভেজ ও তার সহযোগিতারা কবিরকে জখম করে নদীতে ফেলে হত্যা করেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে বলেও ধারনা দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এঘটনায় নিহতের স্বজন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।