নিষেধাজ্ঞা মধুমতির অবৈধ স্থাপনার মূল হোতা হাজী আব্দুল বাতেন ( পর্ব ১ )ভিডিও
স্টাফ রিপোর্টারঃ আদালত থেকে অবৈধ ঘোষিত সাভারের আমিনবাজার এলাকার মধুমতি মডেল টাউনে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক ভবন। আদালতের রায় অনুযায়ী প্রকল্পের ভরাট করা মাটি অপসারণ করে ৬ মাসের মধ্যে যেখানে জলাভূমিগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কথা ছিল সেখানে এখন দেদারছে চলছে বড় রড় ভবন সহ বিভিন্ন কলকারখানা তৈরির কাজ ।
আর এসব সকল কাজের মদত দিচ্ছে ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর যুগ্নসাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল বাতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলছেন, বাতেন হাজীর ছত্র ছায়ায় মধুমতি মডেল টাউনের সকল কাজ চলে ।
তিনি অবৈধ ঘোষিত মধুমতি মডেল টাউনে , নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মাটি ভরাট,জমি দখল , ও ভিবিন্ন ভবন নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করছেন ।
সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা গেছে, মধুমতি মডেল টাউনের চারিদিকে ঘিরে লাগানো গাছগুলো অনেক উঁচু হয়ে উঠেছে। ফলে মধুমতি মডেল টাউনে একটি আড়াল তৈরি হয়েছে। এই আড়ালকেই পূঁজি করে সেখানে চলছে রাত দিন নির্মাণ সহ জমি ভরাটের কাজ।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর যুগ্নসাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল বাতেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড করে আসছেন ।
উল্লেখ্যঃ বন্যার পানিপ্রবাহ এলাকা ভরাট করে মধুমতি মডেল টাউন প্রকল্প বাস্তবায়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা। প্রকল্পটি রাজউকের অনুমোদিত নয় বলেও সেখানে জানানো হয়।
ওই রিটের শুনানি করে ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট প্রকল্পটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। পরে ২০১২ সালের ৭ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকে। এরপর মেট্রো মেকার্স ও জমির মালিকদের পক্ষ থেকে মোট পাঁচটি রিভিউ আবেদন করা হয় সর্বোচ্চ আদালতে।
সেসব আবেদনের ওপর শুনানি করে আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, আবদুল মতিন খসরু, ফজলে নূর তাপস, আবদুস সাত্তার ও নিখিল সাহা। অন্যদিকে বেলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহম কবির।
আইনজীবীরা জানান, আপিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মেট্রো মেকার্সের দুটি এবং প্রায় আড়াই হাজার প্লট মালিকদের সংগঠন মধুমতি মডেল টাউন প্লট ওনার্স ফাউন্ডেশনের পক্ষে আরও একটি আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়া প্লট মালিক আনসার উদ্দিনসহ আরও ৫৫ জন প্লট মালিকের পক্ষে এবং আবদুস সাত্তারসহ ১৮ জন প্লট মালিকের পক্ষে আরও দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়। সর্বোচ্চ আদালত এগুলো খারিজ করে দেয়ায় আগের সিদ্ধান্তই অনড় থাকল।