পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চলছে শ্বশুর-বউমা ভোট যুদ্ধ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে তৃতীয় দফা নির্বাচন আগামী২৮নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রার্থিতা যাচাই বাছাই প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার বৈচুনা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে টেলিনা সরকার হিমু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তার বিপরীতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন তার আপন মামা শ্বশুড় সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী চৌধুরী। নির্বাচনী মাঠে চলছে শ্বশুর- বউমার তমুল ভোট যুদ্ধ, মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দু’জনই। এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা ধরণের প্রতিশ্রতি। চেয়ারম্যান পদে শ্বশুর-বউমা’র নির্বাচনী লড়াইয়ে উপজেলায় বেশ সাড়া ফেলেছে।
বিষয়টি এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। শ্বশুর-বউমা প্রার্থী হওয়াটাকে আনন্দ ভরেই গ্রহন করেছেন ইউনিয়নের ভোটাররা।
টেলিনা সরকার হিমুর স্বামী নুরে আলম সিদ্দিকী দুলাল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারী দুলালের অকাল মৃত্যু হয়।
এবার চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী করেছেন প্রয়াত নেতা দুলালের স্ত্রী হিমু সরকারকে। হিমু আ’লীগের প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় আ’লীগ ছাড়াও দলের উপজেলা এবং জেলার নেতারা অংশ নিচ্ছেন তার নির্বাচনী প্রচারণায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠ দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
অপর দিকে আইয়ুব আলী চৌধুরীও সব দল মতের মানুষকে সাথে নিয়ে দিন রাত গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় তার একটা প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সেটি কাজে লাগাতে চেষ্টা করছেন তিনি।
এবারের তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বৈরচুনা ইউনিয়নে জমে উঠেছে শ্বশুড়-বউমা’র নির্বাচনী লড়াই । কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না।
বৈরচুনা বাজারের মোটরসাইকেল শো রুমে মালিক ইব্রাহীম খলিল বলেন, তাদের ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে শ্বশুড়-বউমা লড়ছেন। এতে বেশ মজা পাচ্ছি আমরা। এ নিয়ে ভোটারদের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই।
মুদি দোকানদার মোশারফ হোসেন ও আব্দুল হক বলেন, কেউ কম না। লড়াই হচ্ছে বাঘে – বাঘিনীতে।
আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী হিমু সরকার বলেন, সুখে-দুঃখে এলাকারবাসীর পাশে থাকতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা রাখি জনগন আমাকেই নির্বাচিত করবে।
অপর দিকে শ্বশুর আইয়ুর আলী চৌধুরী বলেন, আমি এর আগে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। জনগন আমায় চিনেন। সব সময় জনগনের পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকতে চাই।
শ্বশুড়-বউমা ছাড়াও ওই ইউনিয়নে চেয়াম্যান পদে আরো ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার তকদীর আলী জানান ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫১জন সাধারন সদস্য পদে ৩৩৫ সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৮ নভেম্বর পীরগঞ্জ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৯০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।