শার্শায় চাতাল শ্রমিকের পাঁচ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ চাতাল মালিকের বিরুদ্ধে
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গাতিপাড়ায় চাতালে কর্মরত এক শ্রমিকের পাঁচ বছরের শিশু মেয়েকে চাতাল মালিক হাফিজুর (৬০) কর্তৃক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে মা বাবা। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা ওই শ্রমিককে জোর করে সাদা কাগজে কাজ না করার শর্তে লিখে নিয়ে গোপনে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাতাল শ্রমিকের পাঁচ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঘটলেও সোমবার সকালে তা প্রকাশ পেয়েছে। অভিযুক্ত চাতাল মালিক হাফিজুর সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জিওলিতলা গ্রামের ইদ্রিস আলী মোড়লের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গাতিপাড়ায় পাশাপাশি দুটি চাতাল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছে হাফিজুর। ওই চাতালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ঘুগরোখালী গ্রামের সাহাদত হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার দিন সালমা খাতুন চাতালে মিলিংয়ের কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে অন্য চাতালে এসে দেখতে পান তার পাঁচ বছরের মেয়ে কান্নাকাটি করছে। এ সময় তার মেয়েকে চাতাল মালিক হাফিজুর প্যান্ট পরাচ্ছেন। বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় মা মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষা করে অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থা দেখতে পান। হাফিজুর সালমা খাতুনকে এ মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় যে বিষয়টি যেন জানাজানি না হয়। কাউকে জানালে জীবননাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় চাতাল মালিক হাফিজুর। পরে মা সালমা এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বাধায় আর যাওয়া হয়নি। তাদের আটকে রেখে শনিবার সকালে সন্ত্রাসীরা জীবননাশের ভয় দেখিয়ে বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সাদা কাগজে আর কাজ করব না বলে লিখে নিয়ে গোপনে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা চাতালে গেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আয়নাল বলেন, সব সাংবাদিককে আমার জানা। সকালে থানা থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিল। পুলিশ-সাংবাদিকরা হাফিজুরের কিছু করতে পারবে না আমি থাকতে। এসব ঘটনা আমি কত মীমাংসা করেছি। আমার স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাটি আমি যেভাবে চাপা দিয়েছি, আর এটা তো ধর্ষণ।
চাতাল মালিক হাফিজুরের কাছে শিশু ধর্ষণের কথা জিজ্ঞেস করা হলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, যশোরে কর্মরত এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা আমার বোন হয়। আপনারা চেনেন কি না?
শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। তদন্তের পর এ ব্যাপারে বলতে পারব।