সাভারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ

Loading

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার সাভারে স্থাপনাসহ বৈধভাবে ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধ ও জোড় পূর্বক দখল চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ধামরাই পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ মাসুম আহমদের বিরুদ্ধে। সে ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ইসলামপুর এলাকার মোঃ নুরুল ইসলাম এর ছেলে

ক্ষমতার পালা বদলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার দখলদারি কর্মকাণ্ডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে স্থানীয় নেতা কর্মীরা মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

গত বৃহস্পতিবার ৮ আগষ্ট মোঃ আবুল কালাম আজাদের দখলীয় সম্পত্তিতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুম আহমদ তার শশুর মৃত মোঃ নাজির হোসেন এর ওয়ারিশগণ সুরাইয়া সুলতানা গংদের নামে জোড় পূর্বক অবৈধভাবে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে বর্তমান দখলদারদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

জানা যায়, সাভারের ব্যাংক কোলনী এলাকার (ছাপড়া মসজিদের কাছে) ছোট বলিমেহের মৌজার বিআরএস ৩৫৬৮ নং দাগের ৫ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ ।
এদিকে গত ৫ আগষ্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এ নেতা উল্লেখিত জমিতে রাতের আঁধারে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন। যদিও সে জমির মালিকানার স্বপক্ষে আইনানুযায়ী বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ মাসুম আহমেদ বলেন, এটা আমার শ্বশুরের সম্পদ এখানে আমি কোনোভাবেই ইনবলভ না। আবুল কালাম সাহেব ওই সম্পদ জোরপূর্ব সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে চেষ্টা করছেন।

বর্তমান ভোগ দখলীয় মালিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তফসিলী সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২০১২ সাল থেকে আমি ভোগদখল করে আসছি। কিছুদিন পূর্বে অবৈধ মালিকানা দাবিদার সুরাইয়া সুলতানা গংরা আদালতে পিটিশন মামলা করে। তদন্ত শেষে ওই মামলায় সাভারের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড), সার্ভেয়ার ও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী আমি বৈধ মালিক প্রমাণিত হয়েছি। এর স্বপক্ষে সকল প্রকার প্রমাণাদি আমার কাছে আছে। এমতাবস্থায় আমার জান-মালের নিরাপত্তায় অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মোঃ এস এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, পিটিশন মামলার বিবরণ অনুযায়ী তফসিলি সম্পত্তি আমি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে তদন্ত করিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মোঃ আবুল কালাম আজাদ ওই জমির বৈধ মালিক। এতে অবৈধ দখল বা প্রবেশের চেষ্টা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।