কটিয়াদীতে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই একাত্তরের গণহত্যার শিকার অনেক শহীদের
মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ):
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার আড়িয়াল খাঁ নদীর তীর সংলগ্ন বধ্যভূমিতে স্থাপতি স্মৃতিস্তম্ভে নাম নেই একাত্তরের গণহত্যার শিকার অনেক শহীদের।
এতে তরুণ প্রজন্ম গণহত্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারছেনা। তাই স্থানীয় জনগন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের লোকজন বাদ পড়া নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করে আসছে।
১৯৭১ সালের পাকহানাদার বাহিনী হাতে পৌরসভাধীন যারা শহীদ হয়েছেন তার মধ্যে মাত্র ৭ জনের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখা হয়েছে।বাদ পড়েছেন অনেকে।তারা হলেন- বিদ্যাসুন্দর দাস(৭০)ও তার ছেলে সঞ্জিত দাস(১৫),সুরেশ চন্দ্র নাথ (৪০),অশ্বিনী মিস্ত্রী (৩৫),মিহির লাল রায় (৪৩),ক্ষেত্রমোহন ঘোষ (৬০) ও বিনোদ রায় (৩০)। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আনুষ্ঠানিক কোন স্বীকৃতি না পাওয়াই ও বধ্যভূমিতে নাম অন্তর্ভূক্ত না হওয়াই শহীদ পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শহীদ বিদ্যাসুন্দর দাসের ছেলে দিলীপ কুমার দাস(৬৮)বলেন,স্বাধীনতাযুদ্ধে বাবা ও ছোট ভাইকে পাকহানাদার বাহিনী নিমর্মভাবে হত্যা করেছে।বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী সরকার ক্ষমতায় আছে।তাই স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের কাছে স্মৃতিস্তম্ভে বাদ পড়া শহীদের নাম অন্তর্ভূক্তের আবেদন করছি।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত বলেন,বাদ পড়া শহীদের নাম স্মৃতিস্তম্ভে লেখার জন্য বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে বলেছি। দ্রæততম সময়ের মধ্যে বাদ পড়া শহীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন,বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত,এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।