ঢাকা—আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকার সালেহপুর সেতুর একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রকৌশলী ও পরামর্শকগণ দুর্ঘটনা রোধে সেতুটির ঝুঁকিপূর্ণ লেনটি বন্ধ রেখে অপর লেনটি চালু রেখেছে।
এতে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে ঢাকা-আরিচা মাহসড়কের ঢাকাগামী ও মানিকগঞ্জগামী দু’টি লেনেই যানজটের সৃষ্টি হতে থাকে।
সর্বশেষ রাত ১২টার দিকে জানা গেছে, ঢাকাগামী লেনে হেমায়েতপুর থেকে সালেহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার ও আরিচাগামী লেনে সালেহপুর থেকে শ্যামলী পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি বুধবার দুপুর আনুমানিক ১টা থেকে লেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়কে অবস্থিত এই সেতুটির একটি লেন বন্ধ থাকায় মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। মহাসড়কের তুরাগ এলাকা থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, এতে ভোগান্তিতে পরেছেন মহাসড়কে চলাচলরত সাধারন মানুষ। বিষয়টি ১৩ জানুয়ারি বুধবার রাতে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ—বিভাগীয় প্রকৌশলী মারুফ হাসান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা—আরিচা মহাসড়কের সাভার থেকে ঢাকাগামী পথে সেতুটির পুরাতন অংশে, যেটি মূলত ৭০ এর দশকে নির্মিত হয়েছে, সেই অংশের গার্ডারে বেশকিছু ফাটল দেখা দিয়েছে, যেটি যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের প্রকৌশলী ও পরামর্শকদের নিয়ে সেতুটি পরিদর্শন শেষে ঝুঁকিপূর্ণ অংশের লেনটি বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়ে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি সংস্কারের মাধ্যমে অতি দ্রুত সেতুটির ওই লেনটি পুনরায় সচল করা সম্ভব হবে, তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরও বিশদভাবে ফাটলগুলো পর্যালোচনা করে চুরান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরণের কোন সেতু নির্মানের পর তার আয়ুষ্কাল ৫০ বছর ধরা হয়। সেক্ষেত্রে ৭০ এর দশকে নির্মিত এই সেতুটির ওই লেনের আয়ুষ্কালও শেষের দিকে। আমরা এমনিতেও সেতুটি পূর্ননির্মানের উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তবে কিছু জটিলতার কারনে কাজটি এখনো শুরু করা যায়নি।’ ঢাকা জেলা পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক (প্রশাসন) মোঃ আব্দুস সালাম ‘ফাটলটি সম্পর্কে আগেই জানতে পেরেছিলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ১৩ জানুয়ারি বুধবার দুপুর আনুমানিক ১টা থেকে সেতুটির একটি লেন বন্ধ রেখে অপর লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করানো হচ্ছে। ঝুঁকি এড়াতে ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে সার্বক্ষনিক পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাসহ পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।’
এ ব্যপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা সময়ের খবর ২৪ কে বলেন, যানজট নিরসন করে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করা হচ্ছে৷ মহাসড়কটি দিয়ে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জেলার পরিবহন চলাচল করাতে অল্প সময়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। তবে দ্রুত যানচলাচল স্বাভাবিক করা হবে।