ধামরাইয়ে জহিরুল হত্যা কারীদের ফাঁসি চায় তার পরিবার

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই(ঢাকা)থেকেঃ-ধামরাই উপজেলা কুল্লা  ইউনিউনের ১ নং ওয়ার্ডের আফছান খানের ছেলে জহিরুল ইসলাম জহুকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।

জহিরুল ইসলাম স্থানীয় জয়পুরা বাজার ম্যাক্সি স্ট্যান্ডে  সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিল। ঘটনাটি ঘটে ২৫/০৩/২০২০ ইং তারিখে বেলা ১.৩০ ঘটিকার সময়। জহিরুলের বোন মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে  বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা  মামলা করেন মামলা নং ১৩৫/২০২০ তার পরিবারের দাবি জহিরুলের সাথে আসামি গনের পূর্ব শত্রুতা ছিল এবং বিভিন্ন ভাবে খুন করার হুমকি প্রদান করতো।

আসামি হানু মাদবরের নির্দেশে আসামী সাইজা ও দিলদার জহিরুল ইসলামকে বাড়ী হইতে ডাকিয়া নিয়া জয়পুরা উত্তর বাজারে শহিদুলের ডেকোরেটরের দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। অতঃপর আসামি আহম্মদ জোরপূর্বক জহিরুলকে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ায় আসামি আব্দুল কুদ্দুস, জাহিদ, রবিন, দিলদার, বাদশা, মোঃ জনি, দেইলা, জুলহাস এবং আজি জহিরুল কে দেওয়ালের সাথে চাপিয়া ধরে রাখে এবং আসামী  জানি ও বাবুল পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জহিরুলকে শরীরের চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে এবং শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। জহিরুলের মৃত্যু নিশ্চিত করিয়া আসামি গন ডেকোরেটর দোকানের পিছনে টিউবলের পাড়ে ফেলে রেখে যায়, স্থানীয় লোকজন জহিরুল কে টিউবল পাড়ে পড়ে থাকতে দেখে  ডাক চিৎকার দেয় ।

এ অবস্থায় আসামি গন কাউকে  কিছু বুঝতে না দিয়ে সুকৌশলে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে গাড়িতে উঠে পরবর্তীতে কোন হাসপাতালে নানিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সন্ধ্যা সময় বাড়িতে নিয়ে এসে বলে জহিরুল  ইসলাম  মারা গেছে। জহিরুলের বোন মোরশেদা বেগম জানান, আমি ওই স্থানের স্থানীয়  লোকজনের কাছে জানতে পারি জহিরুলকে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে ও চেতনা নাশক ইনজেকশন পুশ করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে।অতঃপর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলা গ্রহন না করিয়া ঘুরাইতে থাকে।পরবর্তীতে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি।বর্তমানে মামলা পিবিআই তদন্ত ধীন আছে।

মোরশেদা বেগম বলেন সরকারের কাছে আবেদন করি আমার ভাইয়ের মামলা সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত করে এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান।  আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।