ধামরাইয়ে নিন্মমানের খাদ্য খেয়ে ১২শ মুরগির মৃত্যু খাদ্যবিক্রেতার নামে থানায় অভিযোগ ।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ঢাকার ধামরাইয়ের বালিয়াপাড়া জালসা গ্রামে নিন্মমানের খাদ্য খাইয়ে ১ হাজার ২০০ লেয়ার মুরগির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খামার মালিক মহিউদ্দিন। তিনি নিম্ন মানের পোট্রি খাদ্য বিক্রেতার বিরুদ্ধে রাতে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ধামরাইয়ের বালিয়াপাড়া জালসা গ্রামের মনি পোট্রি খামার মালিক মহিউদ্দিন তার খামারে দুই হাজার লেয়ার মুরগি পালন করে আসছেন। এসব মুরগির খাদ্য তিনি ধামরাইয়ের বাথুলি বাজারের আব্দুল খালেকের দোকান থেকে লাকী ফিড নামে এ খাদ্য ক্রয় করেন। গত ২২ অক্টোবরও তার দোকান থেকে ১৩ বস্তা খাদ্য কিনেন তিনি। ওই বস্তার খাদ্যগুলো ভেজা ও নিম্মমানের ছিল। ওই খাবার খাওয়ানোর পর থেকেই মুরগির গলাফুলে যায় এবং পাতলা পায়খানা করতে থাকে। এরপরই খামারের মুরগি মারা যেতে থাকে। এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকরাও খামারের মুরগির চিকিৎসা দেওয়ার পরও প্রতিদিনই ৭০ থেকে ১০০টি করে মুরগি মারা যাচ্ছে। আজ রোববার পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ মুরগি মারা গেছে।
পোট্রি খামার মালিক মহিউদ্দিন জানান, নিম্নমানের খাদ্য বিক্রেতা আব্দুল খালেককে বিষয়টি জানানোর পরও তিনি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তার ভেজা ও নিম্নমানের খাদ্য খাওয়ানোর পরই খামারের প্রায় এক হাজার ২০০ মুরগি মারা গেছে। এতে আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় খাদ্য বিক্রেতা আব্দুল খালেককে আসামি করে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি।
এব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই আরাফাত হোসেন বলেন,খাদ্য খেয়ে মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে খাদ্য বিক্রেতা আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রাণি সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ভেজাল খাদ্য খেলে মুরগি কলেরাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে মরা মুরগি পরীক্ষার পরই বলা যাবে খাদ্য বিষক্রিয়ায় না অন্য কোন কারণে মুরগিগুলোর মৃত্যু হয়েছে।