প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হবে-বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বেসামরিক বিমান পরিবহন, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এভাবেই বিমান চলাচল অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে নতুন ধরণের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সেদেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। কাউকে সন্দেহ হলে তার পিসিআর ল্যাব টেস্ট করা হবে।
মাহবুব আলী বলেন, করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও ব্যবস্থা করা হবে। আর বিদেশ ফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে তাদের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হবে।
বিদেশ ফেরত সব যাত্রীদের পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আর দেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক সেবা ও আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতিযোগিতার বাজারে সক্ষমতার প্রমাণ দিতে যাত্রী হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, কানাডা, লন্ডনসহ বিভিন্ন রুটে বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের হওয়া জরুরি। যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রয়েছে।
এর আগে প্রায় ৪০ মিনিটব্যাপী বিমানবন্দরের নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দুবাইগামী একটি বিমানের ভেতর থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চৌকস কর্মকর্তারা অংশ নেন।