রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে কয়েকটি ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা জরিমান, দুই বছরের কারাদণ্ড ।
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজধানীর হাতিরপুল বাজারে ওষুধ সরবরাহকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার নকল ওষুধ জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে এমন চিত্র। চোখে ব্যবহারের ড্রপ, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী থেকে শুরু করে ভিটামিন জাতীয় ওষুধ নকল করে সারা দেশের খুচরা বাজারে ছড়িয়ে দিতো চক্রটি।
জীবন রক্ষাকারী এসব ওষুধ নকলভাবে তৈরি করে বিদেশী নামীদামি ব্র্যান্ডের নামে বাজারজাত করত প্রতিষ্ঠানগুলো। এই চক্রের সাথে কিছু চিকিৎসক জাড়িত আছে বলে জানায় র্যাব।
রয়েছে ওষুধের মোড়কে মেয়াদ বসানোর যন্ত্র। রয়েছে পুরান ঢাকায় তৈরি বিদেশি ব্র্যান্ডের প্যাকেট। ইচ্ছেমত বসানোর মূল্য তালিকা। এভাবেই নকল বিদেশী ওষুধ তৈরি করছে সিলভ্যান ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠানটি।
সিলভ্যান ট্রেডিং এর সত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একবারে সবটা বিক্রি হয় না, তাই ওই ফাইলটা আমরা ছোট করে বিক্রি করি। তবে এই ওষুধের অনুমোদন নেই, এটা আমার অপরাধ।
এসব অভিযোগে সিলভ্যান ট্রেডিং এর মালিক ও প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারিকে গ্রেফতার করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওষুধ প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে এসব পণ্য রোগীরা ব্যবহার করলে, প্রাণঘাতী যে রোগ দেখা দিতে পারে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, ওরা বলছে, এইগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করে প্যাকেট করছে। বিদেশ থেকে যে ওষুধ আসে, সেগুলো ইনটেক হয়ে আসে। একজন রোগী রোগ ভালো হওয়ার জন্য ওষুধ খায়। সেই রোগীর রোগ ভালো হবে না। এখানে ওষুধের যদি খারাপ কিছু হয়, তাহলে খারাপ কিছু হতে পারে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম বলেন, দুঃখজনক চিত্র এখানে বেরিয়ে আসছে, আমরা কিছু ডিসপেনশারির তালিকা পেয়েছি। যারা আসলে এই ওষুধগুলো এখান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এবং আমাদের কিছু চিকিৎসক এই ওষুধগুলো জেনে না জেনে প্রেসক্রিপশনে লিখে। এবং কিছু কমিশনও তারা পায়। অনৈতিক কারণ এই প্রতিষ্ঠানের মালিককে ২০ লাখ টাকা জরিমান, দুই বছরের দণ্ড দেয়া হয়েছে।
ওষুধের দোকানে এসব পণ্য পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়াররি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।