সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যুরোঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের মত রাজশাহীতে চলছে কঠোর লকডাউন।
১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সরকার ঘোষিত এই লকডাউনের তৃতীয় দিনেও কড়াকড়ি ছিল রাজশাহীতে। লকডাউনের বিধিনিষেধ না মানায় রাজশাহীতে ১১৭ জনকে সাজা দেয়া হয়েছে।
রাজশাহীর জেলা নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহীতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা রাজপথে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়াও আছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তিনি জানান, পুলিশ-র্যাব ছাড়াও সেনাবাহিনী চার প্লাটুন, বিজিবি চার প্লাটুন ও আনসার সদস্য তিন প্লাটুন মাঠে রয়েছে। এছাড়াও নগরীতে চারটি ও জেলার প্রতিটি উপজেলায় দুইটি করে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য।
আবু আসলাম আরও জানান, লকডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় শনিবার রাজশাহীতে ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৪০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এর মধ্যে রাজশাহী নগরীর ৪১ জনের ২১ হাজার ৯০০ টাকা এবং জেলার নয়টি উপজেলায় ৭৬ জনের ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা। দন্ডবিধি- ১৮৬০; সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এর আগের দিন রাজশাহীজুড়ে ৬৬ জনকে জরিমানা করা হয় একই কারণে। তাদের কাছ থেকে ৬৭ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নামের রাজশাহী র্যাবের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান তালুকদার। এ সময় তিনি লকডাউনে র্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এছাড়াও মানুষকে সচেতন করতে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে প্রচার চালান।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনাভাইরাস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত চলমান লকডাউন কার্যকরের জন্য র্যাব-৫ এর দায়িত্বপূর্ণ পাঁচটি জেলায় নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের মাধ্যমে জনসমাগম প্রতিহত করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিধিনিষেধ ভঙ্গকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান র্যাব-৫ এর প্রধান।