সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় বেশকয়েকটি অবৈধ মশার কয়েল তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে কাজ করছে ১০ থেকে ১৪ বছরের শিশুরা। যারা ভিবিন্ন নামে বেনামে মশার কয়েল উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।
অথচ কোন অনুমোদনই নেই কারখানাগুলোর । প্রতিটি প্যাকেটের মোড়কে বি,এস,টি,আই সিল ব্যবহার করলেও নেই বিএসটিআই-এর কোন অনুমোদন।
শিশু শ্রমিকদের দিয়ে মাত্রারিক্ত বিষাক্ত ডি-এলেথ্রিন মিশিয়ে নিম্ন মানের উৎপাদিত এইসব কয়েল স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাÍক ক্ষতিকর হওয়ায়, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে কারখানা গুলোর আশপাশের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোন সাইনবোর্ড ছাড়াই কারখানাগুলো বিষাক্ত ডি-এলেথ্রিন মিশিয়ে অতি গোপনে দিনে ও রাতে মশার কয়েল তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করে সরজমিনে কারখানাগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা কাজ করছে কারখানাগুলোতে। সেখানে হরেক রকমের নাম দিয়ে তৈরি হচ্ছে মশার কয়েল ।
মশার কয়েল প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। তবে হরেক রকমের কো¤পানির নাম ও ঠিকানা মোড়কে ব্যবহার করলেও তৈরি হচ্ছে সাভারের বলিয়ারপুর কুন্ডা কোটাপাড়া ও দাসপাড়া এলাকায় ,সব একই জায়গায় একই জিনিস দিয়ে। আর প্রতিটি মোড়কে বিএসটিআই-এর সিল লাগানো রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, কারখানা গুলোতা ছোট ছোট শিশুরাও কাজ করে , তিনি চার হাজার টাকা বেতন পায় , আর শিশুদের বেতন কম।তাই শিশু শ্রমিক বেশী ।
তবে কারখানাটির অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে না পারলেও বিএসটিআইয়ের কোন অনুমোদন নেই বলে জানান তিনি ।
তিনি আরো জানান নিজেরাই বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে কয়েল তৈরি করেন । এক শিশু শ্রমিক জানায়, এখানে কাজ করি বেতন পাই, এছাড়া আর কিছু জানি না। তবে কারখানা গুলোর মালিক মোঃ খালেক ও মোঃ মজিবর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে কারখানা গুলোর অনুমোদন না থাকার কথা স্বীকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করেই কারখানা গুলো পরিচালনা করছেন বলেও জানান তাহারা ।
বলিয়ারপুর ও কোন্ডা এলাকায় অনুমোদনবিহীন আরো বেশ কয়েকটি কয়েল তৈরির কারখানা রয়েছে।
এদের অনেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শুধু লাইসেন্সের আবেদন কপি ঝুলিয়ে, কেউবা আবার চেয়ারম্যানের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে। তাদের নেই কোন পরিবেশের অনুমোদন ,কিংবা কেমিষ্ট্ বা ল্যাবরেটরি।
তবে সাধারণ জনগণের প্রশ্ন সাভারে বিষাক্ত কয়েলসহ ভেজাল পণ্য তৈরির কারখানা কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই অবইধ্য কারখানা গুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? এদের বিরুদ্ধে দ্রুতব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।