ঝালকাঠিতে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানে জাল, নৌকা সহ ইলিশ মাছ জব্দ
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস অধিদপ্তর কতৃক মা ইলিশ সংরক্ষনের জন্য নদীতে ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, বহন করা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেব গন্য করে ২২দিনের নিশেধাজ্ঞা জারি করে। আর এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঝালকাঠির বিভিন্ন নদীতে কারেন্ট জাল ফেলে ইলিশ নিধনের সময় ঝালকাঠিতে ইলিশ নিধন বিরোধী অভিযানে মাছ ধরার কাজে ব্যবহারিত নৌকা, কারেন্ট জাল সহ ইলিশ মাছ জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন।
মৎস অধিদপ্তর কতৃক মা ইলিশ রক্ষায় ও দেশে মৎস সম্পদ রক্ষার্থে ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ, ক্রয়-বিক্রয়, বহন, বিপনন থেকে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন থেকেই ঝালকাঠিতে মা ইলিশ রক্ষায় সুগন্ধা নদীতে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা পুলিশ, জেলা মৎস্য বিভাগ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ব্যাপক কারেন্ট জাল উদ্ধার করে জনসম্মুখে পুড়ে ফেলে।
আর তারই ধারাবাহিকতায় অভিযানের তৃতীয় দিন ১১/১০/২০১৯ইং শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার ব্যবহারিত পাঁচটি নৌকা, ৪০ হাজার মিটার জাল সহ ৩০০ কেজি ইলিশ জব্দ করে। এবং অভিযান টেরপেয়ে জেলেরা তাদের নৌকা ও জাল রেখে পালিয়ে গেলে তাদের কাউকে আটক সম্ভব হয়নি।
একদিকে অভিযানের সংবাদে জেলেরা পালিয়ে গেলেও অপরদিকে নদীতে ফেলে রাখা জেলেদের দুটি নৌকা, ১০ হাজার মিটার জাল ও প্রায় ১০০কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত জাল পুরাতন কলেজ খেয়াঘাটে পুড়িয়ে ফেলে এবং নৌকা দুটি ভেঙে ফেলা হয়।
একইদিন দুপুরে আনুমানিক ১টার সময় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) নলছিটি উপজেলাধীন মাটিভাংগা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছ ধরা কাজে ব্যবহারিত তিনটি নৌকা এবং ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, প্রায় আনুমানিক ২০০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেন। অভিযান শেষে অবৈধ কারেন্ট জাল ঝালকাঠি পুরাতন কলেজ খেয়াঘাট এলাকায় এনে পুড়িয়ে ফেলা সহ জব্দকৃত নৌকা তিনটিও ভেঙে ফেলা হয়।
এ বিষয় জেলা প্রশাসক মোঃ জোহের আলী জানান, ইলিশ সংরক্ষন তথা মা ইলিশ রক্ষায় ঝালকাঠির নদী গুলোতে নির্ধারিত দিনে ইলিশ সংরক্ষন অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদীতে কোন জেলে থাকতে পারবেনা। যারা মাছ শিকার করতে নামবে তাদের ধরে আইনের আওয়তায় এনে বিচার করা হবে।
পরে অভিযানে জব্দকৃত ইলিশ মাছ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরন করা হয়।
উল্লেখ্য ইলিশ সংরক্ষনের জন্য মৎস অধিদপ্তর কতৃক ঘোষনার পর ইলিশ নিধন বন্ধের প্রথম দিন থেকে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার গভীর রাতে অভিযান পরিচলনা করে নদীতে ফেলানো অবস্থায় কয়েক হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেন।