বদলে যাচ্ছে কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা

Loading

সময় ডেস্ক ঃ অবশেষে বদলে ফেলা হচ্ছে কক্সবাজারের বহুল আলোচিত সমালোচিত মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা। প্রশাসনিক পরিবর্তনের পর এবার নতুন করে মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য ভিত্তিক তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে পুলিশ। একাধিক মামলা রয়েছে বা কারাগারে বন্দি, তাদের পাশাপাশি নেপথ্যে মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্তদেরকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছেন রেঞ্জ ডি আই জি।

কক্সবাজারে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা কতো সেটা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। দুবছর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭৩ জন শীর্ষস্থানীয় ইয়াবা গডফাদারের একটি তালিকা তৈরি করে। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে আরো ১৭৯ জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম যোগ করা হয়।

সবশেষ এই ২৫২ জনসহ কক্সবাজারের ৮টি থানায় মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ১ হাজার ১৫১ জন। কিন্তু শুরু থেকেই এই তালিকা নিয়ে রয়েছে আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি নানা অভিযোগ।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, ‘তদন্তে দেখা গেছে মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় নাম আছে কিন্তু তারা আসলে জড়িত না।’

দেশে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। তথ্যসূত্র বলছে, মিয়ানমার থেকে এই সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই অবস্থায় মাদক পাচার রোধে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভূক্ত করে তালিকা তৈরির জন্য থানাগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডি আই জি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা ইতিপূর্বে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেই আমরা নতুন করে তালিকাভুক্ত করবো।’

গত দু’বছরে জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানের নামে পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর হাতে বন্দুকযুদ্ধের শিকার হয়েছে অন্তত ২১৪ জন। এর মধ্যে ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হলে মাদক বিরোধী এই অভিযান নিয়েই প্রশ্ন উঠে।

এর মাঝে আমূল পরিবর্তনের পর গত সপ্তাহে যোগ দিয়েছেন কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারসহ ১৫০৭ জন সদস্য।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নেপথ্যে কি আছে। সম্মুখে করা আছে। পুরো নেটওয়ার্কটাই আমরা আবিষ্কার করার চেষ্টা করবো।’

পুলিশ গত বছর তালিকাভূক্ত ১২৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করালেও ইয়াবার পাচার বন্ধ না হয়ে বহুগুণ বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।