বিএনপির গণমিছিল, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি

Loading

ক্ষমতাসীনরা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে অভিযোগ করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিএনপির গণমিছিলপূর্ব সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন দলের শীর্ষ নেতারা। আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ গণমিছিলের আয়োজন করে। মিছিলকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদী ব্যানার আর প্ল্যাকার্ড হাতে দলটির নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর ছিল রাজপথ। নগরীর দুই প্রান্তে এই গণমিছিল হয়।

রাজধানীর উত্তরে গুলশান-১ থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে মহাখালী কাঁচাবাজারে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির বেশ কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য।

গণমিছিলপূর্ব সভায় নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার ভারতসহ বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকারের লোকজন ভারত হয়ে নেপালে গিয়ে এক ‘মহাপুরুষের’ কাছ থেকে পানিপড়া নিয়েছে। ওখানে নাকি কে একজন মহাপুরুষ থাকে! তার কাছ থেকে পানিপড়া আনতে গেছে। আরে ওই পানিপড়ায় কোনো কাজ হবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের দাবি তাদের কাছে কোনো মূল্য নেই। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, চলমান আন্দোলন সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর আন্দোলন। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

এদিকে, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে সায়দাবাদ হয়ে খিলগাঁও রেলগেট গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সমস্য।

এর আগে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি নেতারা বর্তমান সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না দাবি করে বলেন, সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নেই।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে ৪টা জায়গায় সমাবেশ দিলাম, হায়েনার মতো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোর ওপর আক্রমণ করেছে।’

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার পক্ষে যে শক্তি এই আন্দোলনকে সমর্থন করবে, তারা বাংলাদেশের বন্ধু।

এ ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি দাবিতে শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীতে পদযাত্রায় অংশ নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন বিএনপি নেতারা।