১ম পর্ব: যশোরের বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে গত সোমবার(৮/০৪/১৯ইং) অনুমানিক ১ টার সময় ২১ বিজিবি ধাওয়া দিলে ৩০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল ফেলে পালিয়ে যায় শরিফুল ইসলাম(৩৫)নামে এক মাদক বহনকারী।
বুধবার(১০/০৪/১৯ইং) তারিখ সাড়ে ১২ টার দিকে এসআই মিজান মাদক বহনকারী পলাতক আসামী শরিফুলকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় এনে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে বিপুল অংকের টাকা দাবী করেন। তার কিছুক্ষন পরে এসআই মিজান মাদক বহনকারী শরিফুলের স্ত্রী কহিনুর বেগমের কাছে মুঠো ফোনে কথা বলে টাকা আনতে বলে। তা-নাহলে এসআই মিজান রিমান্ডের ভয় ভীতি দেখান।
সেই মোতাবেক শরিফুলের স্ত্রী কহিনুর বেগম নগদ ১৪ হাজার টাকা এসআই মিজানকে দেওয়ার জন্য কাগজ পুকুর বাজারের শ্রমিক টোল ঘরের পিছনে অপেক্ষা করেন। এসআই মিজান কিছুক্ষন পরে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে কহিনুর তাকে রিমান্ডের ভয় দেখানো টাকা পরিশোধ করেন। কহিনুর সাংবাদিকদের বলেন, আমার সংসার খুব অভাবের বলার পরেও ওই অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা কোনো কথা কর্নপাত করেননি। অনেক কাকুতি মিনুতি করার পর সে যাওয়ার সময় আমার ক্ষুদার্থ সন্তানকে ৫০ টাকা খাওয়ার জন্য দিয়ে যায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মিজানের মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিমের কাছে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমিতো কিছু জানিনা কিন্তু কি কারনে কেনো এমন করলো আমি না জেনে কিছুই বলতে পারবো না।