মাগুরার শ্রীপুরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার নির্মাণ শ্রমিক বিনা বিচারে হাসপাতালের বেডে কাতড়াচ্ছে

Loading

আশরাফ হোসেন প্লটু , মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুরের মহেশপুর এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার জাহাঙ্গীর আলম (৩৮) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক বিনা বিচারে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম ঝিনাইদহ জেলার মগরখালী গ্রামের নূরুল আসলামের ছেলে।

আহত জাহাঙ্গীর আলম জানায়, সে প্রায় দেড় বছর যাবৎ ঝিনাইদহের লিটু মিয়া
ও মনিরুল ইসলাম এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসাদুজ্জামান কনষ্ট্রাশন সাইড
ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। অত্র কনষ্ট্রাশন আওতায় চরমহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার তলা ভবন নির্মাণের তার তদারকি কাজ চলমান রয়েছে ।

এই কাজ চলাকালীন সময়ে এ এলাকার দাউদ শেখ নামে একজন বাহিরাগত লোক তার কাছে এসে প্রায় টাকা, লোহার রডসহ অন্যান্য উপকরণ দাবি করে
আসছিল। কয়েকদিন আগেও সে কাজের সাইডে এসেও তার সাথে অযথা
ঝামেলা করে যায়। পরে স্কুল কমিটি ও শিক্ষকগণ বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার নিরসন করে দেন। নিরসন হতে না হতেই ঐই মুহুর্তেই এলাকার রবিউল শেখ, মহিদুল মৃধা, ইকবাল শেখ, সুজন শেখ, রাসেল শেখ, রাজু শেখসহ আরো ৮-১০ চিহ্নিত উচ্ছৃঙ্খল যুবক লোহার রড,হাতুড়ী ও চাইনিজ কুড়াল,হকিষ্টিক নিয়ে শিক্ষকদের কক্ষে ঢুকে শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের সম্মুখে জাহাঙ্গীর আলম শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্যরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় শ্রীপুুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ।

সে এখন মাগুরা সদর হাসপাতালেই গায়ের তীব্র ব্যাথা যন্ত্র্রনায়
বেডে কাতরাচ্ছে । জাহাঙ্গীর আলম আরোও জানায়, এক সপ্তাহ আগে শ্রীপুুুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও অদ্যবধি কোন মামলা হয়নি । এদিকে মামলা না হলেও অভিযুক্তরা তাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে । তার বাড়ি অন্য জেলায় হওয়ায় সে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবর রহমান বলেন,
কিছুদিন পূর্বে একজন পাগলের সাথে জাহাঙ্গীরের ঝামেলা হওয়ায় সে
পাগলকে কিছুটা মারধর করেছিল আর এঘটনাকে কেন্দ্র করেই এলাকার কিছু
ছেলেরা তাকে রড দিয়ে পিটিয়েছে । এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ
দেয়নি । এবিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা
হবে।