প্রচ্ছদঅপরাধরপ্তানী প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকার টিআই আনোয়ার ও মতিনের চাঁদাবাজির বিচার চেয়ে “ডিআইজির...
রপ্তানী প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকার টিআই আনোয়ার ও মতিনের চাঁদাবাজির বিচার চেয়ে “ডিআইজির কাছে অভিযোগ
বিপ্লবঃ ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকা (DEPZ) পুলিশ বক্সের টিআই আনোয়ার হোসেন ও মতিন নামের একজন ব্যক্তির বিচার চেয়ে ডিআইজি বরাবর অভিযোগ করলেন একজন ভুক্তভোগী।
তিনি অভিযাগে বলেন, আমি পূর্বে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করতাম করোনা -কালীন সময় চাকুরী হারিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বেকার অবস্থায় গ্রামের বাড়ীতে থাকি।
অবশেষে কোন কূল কিনারা না পেয়ে আর্থিক সংকটে পড়ে আমি গত ০৩ আগস্ট ২১ইং তারিখে ঢাকা জেলার নিকটস্থ শিল্পনগরী আশুলিয়ায় আসি জীবিকার সন্ধানে পরিবারের সদস্যদের মুখে আহার তুলে দিতে।
এখানে এসে কোন চাকুরী না পেয়ে ঘরে আমার ছোট্র শিশু (৩ বছর) থাকায় চক্ষু লজ্জার ভয়কে দূরে ঠেঁলে দিয়ে একটি গ্যারেজ থেকে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ভাড়ায় নিয় চলাতে থাকি।বেশ ভালোই চলছিলো দিনকাল এই গাড়ীই ছিল আমার পরিবারের লোকজনদের মুখে আহার তুলে দেবার একমাত্র উৎস।
গত ১৮ আগস্ট রোজ বুধবার পাবনারট্রেক ক্লাব থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ৯:২০ মিনিট দিকে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকা (DEPZ) অস্থায়ী ইজিবাইক স্ট্যান্ডে যাত্রী নামিয়ে দিতে গেলে, টিআই আনোয়ার হোসেন ও মতিন নামের একজন ব্যক্তি এসে আমার গাড়ীর চাবি উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে তাদের কাছে যেয়ে গাড়ীর চাবি চাইলে ও আমার অপরাধ সম্পর্কে জানতে চাইলে কিছু না বলেই আমার কাছে (১৫০০) টাকা দাবি করেন । আমি টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে তাহারা আমার গাড়ি টির চাবি দেননি। পরবর্তীতে (৫০০) টাকা সংগ্রহ করে দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমার উপর, তারপর ধারকর্জ করে আমি (১০০০) টাকা দিতে গেলে আরও ক্ষিপ্ত ও খারাপ আচারণ করে গাড়ী রেকারে দিয়ে দেন ।
শুধু আমারই নয় এমন অজস্র ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটিয়ে থাকেন (DEPZ) জোনের ট্রাফিক বক্সের টিআই আনোয়ার ও উনার সহযোগী মতিন।
টিআই আনোয়ার হোসেন এর মাটরসাইকেল নিয়ে দাঁপিয়ে বেড়ানোর ভিডিও ফুটেজ ও গাড়ী থামিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ভিডিও ফুটেজ ও রয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী (আলমাস) এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন,শুধু আমি না টিআই আনোয়ার ও উনার পোষা চাঁদাবাজ মতিনের জ্বালায় অতিষ্ঠ এখানকার অটোরিকশা চালক ও ইজিবাইক চালক সকলেই।
তাই আমি বিচার চেয়ে ঢাকা জেল “ডিআইজি”
,ডিএন্ডপিএস, ঢাকা ও পুলিশ সুপার, ঢাকা বরাবর একটি অভিযোগ করেছি।
আমি আশাবাদী ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমরা সবাই সঠিক বিচারই পাবো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।