উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা চর নুরানী তালিমুল কোরআন হিফজুল মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রাবাস ভাংচুরেরএ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সামছুল হক তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ও ওই গ্রামের মৃত সেকেন্দার বাদশার ছেলে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর আগে ২ একর ২৭ শতাংশ জমি স্থানীয় সুলতান, তফাজ্জল গং দের কাছে ক্রয় করেন আতিকুর রহমান। এরপর সেই জমিতে মাটি ভরাট করে একটি নুরানী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জমির মালিকানা দাবি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল হক। করোনা ভাইরাসের কারণে মাদ্রাসা ও ছাত্রাবাসটি বন্ধ থাকার সুযোগে মাদ্রাসার জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেন। এরই একপর্যায়ে গত ৩০ জুন সকালে ইউপি সদস্যের নির্দেশে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে হামলা চালায়। এসময় তারা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রাবাসটিতে তার লোকজন দিয়ে ব্যাপক লুটপাট করেন। এছাড়াও ওই ইউপি সদস্যের লোকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের থাকার ঘর ভাংচুর করে মাটিতে ফেলে দেয়। শিক্ষার্থীদের আসবাবপত্র, চেয়ার-টেবিল ভেঙে তছনছ করে দেয়। এতে মাদ্রাসাটির প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ঘটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সামছুল হক জানান, আমি ক্রয়সুত্রে জমির মালিক। তাই আমি স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমিটি দখল করেছি।
মাদ্রাসার পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, প্রায় ৭ বছর আগে মূল মালিকের কাছে জমিটি ক্রয় করি। এরপর সেখানে একটি নুরানী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ভুয়া কাগজের বলে সেখানে ভাংচুর চালিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল জামান জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।