ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফীর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।
দু’টি মামলার মধ্যে লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা এবং হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কাফীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো: রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রিমান্ডে তার কাছে জানতে চাওয়া হবে ৫ আগস্ট আশুলিয়ার ঘটনায় কী পরিস্থিতি হয়েছিল। কার নির্দেশনায় গুলি করে লাশ ভ্যানে তোলা হলো এবং কার নির্দেশে আগুন দেয়া হলো।
এর আগে সোমবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহিল কাফীকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ সদস্য কয়েকটি লাশ একটি ভ্যানে তুলে সেগুলো ব্যানার দিয়ে ঢাকছেন। পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরপরই ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানার কাছে এ ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
গুগলের জিওলোকেশন উপাত্ত ও আশপাশের ছবি বিশ্লেষণ করার পর পুলিশ সূত্র ভিডিওটির তারিখ ও অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরোর ফ্যাক্ট-চেকিং প্রধান কদর উদ্দিন শিশির গণমাধ্যমকে জানান, বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কাছে থানার সামনের একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
সাধারণ পোশাক ও পুলিশের হেলমেট-বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা অন্য পুলিশ সদস্যরা বেশিরভাগই একই পুলিশ শাখার।