ঢাকার ধামরাইয়ে পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় ৪ সন্তানের জননীকে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরের দিকে উপজেলার বানেশ্বর গ্রাম থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্হানীয় সুএে যানা যায় , উপজেলার খাতরা গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে সালমা (৪৭) এর সঙ্গে একই উপজেলা বানেশ্বর গ্রামের কয়েদ আলীর ছেলে নুর মুহাম্মদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান হয়। দুই মেয়েকে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্বামী নুর মুহাম্মদ এর মধ্যে বিদেশেও যায়। ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ভালর মধ্যেই স্বামী কুমিল্লার একটি মেয়ের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে তাকে বিয়ে করে। স্বামীর বিয়ের ঘটনা জানার পর তাদের সংসারে মধ্যে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। আবার বিদেশ যাবে তার দিনক্ষণও হয় নূর মুহাম্মদের। গতবুধবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলবে এ দিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সালমাকে গভীর রাতে গলাটিপে হত্যা করে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকে স্বামী নূর মুহাম্মদ।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যার আলামত পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেইসাথে পাষন্ড স্বামী কে গ্রেফতার করে। এব্যাপারে নিহতের মেয়ের জামাই বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ময়না তদন্তের পর বলা যাবে আসল ঘটনা কি।