আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং ছাটাইকৃত শ্রমিকদেরকে চাকুরীতে পুর্নবহালের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তৈরী পোশাক শ্রমিকরা। শনিবার সকালে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় পেন্টাফোর্থ এ্যাপারেলস কারখানার প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। একপর্যায়ে স্থানীয় পাবনা গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা তাদের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে আন্দোলনে যোগ দেয়। পরে শিল্প পুলিশের সদস্যরা মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দিয়ে বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, শনিবার সকাল ৮ টায় আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার পেন্টাফোর্থ এ্যাপারেলস কারখানার প্রায় পাঁচ শতাধিক কারখানায় প্রবেশ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে কর্নপাত না করায় বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় শ্রমিক ছাটাই বন্ধ ও ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকুরীতে পুর্নবহলের দাবীতে পাশর্^বর্তী পাবনা গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরাও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগী শ্রমিক শেফালি আক্তার অভিযোগ করেন, প্রতি মাসে পাবনা গামেন্টর্স লিমিটেড ও পেন্টাফোর্থ এ্যাপারেলস কারখানার কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত তারিখে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে কালেক্ষপণ করে। এসময় শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বেআঈনিভাবে কয়েক ধাপে মাসিক বেতন প্রদান করেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে গত সোমবার বকেয়া এক মাসের বেতনের দাবিতে কর্মবিরতী পালন করা হলে আজকে বেতন পরিশোধের তারিখ দিয়েও বেতন দেয়নি মালিকপক্ষ।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক সানা শামীনুর রহমান বলেন, বকেয়া বেতনের দাবিতে পেন্টাফোর্থ কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নামলেও তারা কোন বিশৃঙ্খলা করেনি। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে তাদের বেতন পরিশোাদের আশা দিলে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সড়ে যায়। এছাড়া যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থি্বাস-নিয়ন্ত্রাসকারখানাটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরন এলাকার ব্যারেকচার ভ্যান টাউন নামক একটি তৈরি পোশাক কারখানায় বকেয়া ছুটি এবং ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। তবে কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় কর্মবিরতী শেষে শান্তিপূর্নভাবে বাড়ি চলে যায় শ্রমিকরা।