28 C
Dhaka, BD
শনিবার, জুলাই ১৯, ২০২৫

ধামরাই কুল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কদম আলী সরকারের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা।

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) ঢাকা জেলা ধামরাই উপজেলায় জমি দখলের উদ্দেশ্য কুল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কদম আলী সরকারের বাড়িতে মুলফত আলী, রেজাউল করিম, মুসতাক, মোয়াজ্জেম হোসেন বহিরাগত সন্ত্রাসী একই গ্রামের উহাব মিয়া, ইব্রাহিম, ওয়ার্ড মহিলা মেম্বারের ছেলে ইমরান সহ ১০-১৫ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্রসহ হামলা চালায়।
এসময় সন্ত্রাসীরা আক্রান্তের বাড়ির গাছ কেটে নেয় । চেয়ারম্যান কদম আলী সরকারের ছেলে মর্তুজ আলীর পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করাই ছিলো মূল উদ্দেশ্য। বিগত ৩ মাস যাবত এই সন্ত্রাসীরা নানা ভাবে ভুক্তভুগিকে হুমকি দিয়ে আসছিলো, যার প্রেক্ষিতে তিনি ধামরাই থানায় সাধারন ডায়রি করেন।
এর পর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা এর সমাধানের চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের মধ্যস্থতা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। ভুক্তভুগি আদালতের শরণাপন্ন হন এবং বিজ্ঞ আদালত বিবাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
এর পরেও সন্ত্রাসীরা আদালতের নোটিশ উপেক্ষা করে আবার হামলা চালায় এবং বাদীকে মিথ্যা মামলার চেষ্টা করছে।
মর্তুজ আলীর বড় ছেলে ঢাকা জেলা তাঁতীলীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়াতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও জমি দখলের জন্য বিবাদীগণ চিনহিত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী হওয়া সত্ত্বেও কিছু আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।

বেনাপোল পাঁচভুলোট গ্রাম থেকে গাঁজাসহ আটক-১

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল পাঁচভুলোট সীমান্ত থেকে ভারতীয় ১ কেজি গাঁজাসহ হাবিবুর রহমান (৩০) নামে এক মাদক বহনকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার(২৫/০৭/১৯)তারিখ সকালে হাবিবুর রহমানকে বিজিবি সদস্যরা আটক করে।আটক মাদক বহনকারী হাবিবুর রহমান শার্শা উপজেলার পাঁচভুলোট গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে।

২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, অগ্রভুলাট বিওপি’র টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচভুলোট গ্রামের এক ঘেরে অভিযান চালিয়ে ১ কেজি গাঁজাসহ মাদক বহনকারী হাবিবুর রহমানকে আটক করে। তিনি আরো বলেন, আটক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

সাভারের হেমায়েতপুরে মবিল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।ভিডিও সহ ।।

বিপ্লব সাভার : সাভারের হেমায়েতপুরে নাসরিন অটো মোবাইল নামক একটি মবিলের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে হেমায়েতপুরের নাসরিন অটোমবিল কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ।

আগুন নেভানোর সময় বয়লার বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত কারীরা হলেন নুর মোহাম্মদ (২৬) , ভজন সরকার (৩৭) ও পংকজ (২৩) কে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি ইউনিটসহ চারটি ইউনিট কাজ করেছে ।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন আহমেদ বলেন,হেমায়েতপুরের নাসরিন অটোমবিল কারখানায় হঠাৎ আগুন লাগলে,অটোমবিল কারখানায় ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আহম্মেদ আমাদের প্রথমে জানান । পরে আমরা্ সাভার থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি ।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে চাইলে সময়ের খবর ২৪ কে তিনি বলেন ,এটি মবিল কারখানা এখানে মবিল তৈরির কাজ চলছিলো , তার ভিতরেই এলপি গ্যাস ও অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে লোহা কাটার কাজ চলছিলো , এখান থেকে আগুনের সূত্র পাত হয়েছে বলে ধারনা করছি ।
এসময় ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় চেয়ারম্যান জানাব ফকরুল আলম সমর সহ ঝাওচরের ইউপি-মেম্বার জনাব শাহআলম , টেনারী পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মোঃ ইবারত ও সাভার থানার এস,আই নাজমুল হুদা ।

ধামরাইয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আগুন দিল সাবেক স্বামীর বর্তমান শ্বশুরবাড়িতে।

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন (ধামরাই প্রতিনিধি) ঢাকার ধামরাই উপজেলায় কুল্লা ইউনিয়নে কুল্লা গ্রামে খোকন মিয়ার বাড়ীতে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ২ ঘটিকার সময় আগুন দিয়েছে তারই মেয়ের জামাই মোঃ আজিম(৩২) এর তালাকপ্রাপ্ত বউ নাছিমা আক্তার,তার গ্রামের বাড়ী গোয়ার পাড়া, পানদন খারা, থানা -মানিকগঞ্জ জেলা-মানিকগঞ্জ আলালউদ্দিনের মেয়ে। ঘটনা সুএে জানাযায় আজিম ১০ বছর আগে খোকন মিয়ার মেয়েকে বিবাহ করে তাদের সংসারে দুটি সন্তান আছে।

আজিম পরে গোপনে নাছিমা আক্তার কে বিবাহ করেন এবং আজ থেকে দু’বছর আগে নাছিমা কে তালাক দেয় এবং কাবিনের টাকা পরিশোধ করে, কিন্তু নাছিমা সেই সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে খোকন মিয়ার মেয়ে কে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার বাচ্চাদের ছবি দিয়ে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য দিয়ে ফেসবুকে ছাড়ে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় খোকন মিয়ার বাড়িতে নাছিমা আক্তার রাত ২ ঘটিকায় আগুন দেয় তখনই খোকন মিয়ার পরিবার টের পেয়ে বাহিরে এসে দেখতে পারে তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে আগুন দেখে তারা চিৎকার দিলে গ্রামবাসী এসে আগুন নিবায় এবং নাছিমা পালানোর চেষ্টা করে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ভোররাতে নাসিমাকে গ্রামবাসী আটক করে।
নাসিমা স্বীকারোক্তি দেয় আমি আগুন দিয়েছি ভুল করেছি এরপর আর এই ধরনের ঘটনা করবো না আমাকে আপনারা মাফ করে দেন।
ওই ওয়ার্ডের শহিদুল মেম্বার সাথে কথা বলে জানা যায় নাছিমা এর আগেও বিভিন্নভাবে তাদের উত্ত্যক্ত করতো নাছিমাকে আমরা বলেছি তোমার সাথে তো আজিমের তালাক হয়ে গেছে তাহলে তুমি এরকম করতেছ কেন সে কোনভাবেই মানে না সে পূনরায় আজিমের সাথে সংসার করতে চায়।
কিন্তু এই প্রস্তাবে আজিম রাজি না হওয়াতে সেই শত্রুতার জের ধরে ২৫ জুলাই রাতে নাছিমা এ ধরনের নিশংস ঘটনা ঘটায় পরে গ্রামবাসী তাকে আটক করে সকালে থানায় ফোন দেই এবং থানায় থেকে পুলিশ এসে নাসিমাকে থানায় নিয়ে যায় আমরা গ্রামবাসী এর উপযুক্ত বিচার চায়।

ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় বেনাপোলে ২ নারী আটক ।

বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি : ভারত থেকে অবৈধ পথে দেশে ফেরার সময় রুদ্রপুর ক্যাম্পের বিজিবি’র সদস্যরা রুদ্রপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে লায়লা খাতুন (৩০) ও সাবিনা খাতুন (২৫) নামে দুইজন নারীকে আটক করেছে। তবে এ সময় পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।মঙ্গলবার (২৩/০৭/১৯)তারিখ রাতে তাদের দুইজনকে আটক করা হয়।
আটক লায়লা নড়াইল জেলার কালিয়া থানার নয়াগ্রামের মৃতঃ তারা মিয়া শেখের মেয়ে ও ছাবিনা টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি থানার বাবলা গ্রামের আবু হানিফের মেয়ে।
২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে, রুদ্রপুর বিওপির একটি টহল দল শার্শা থানাধীন পশ্চিম রুদ্রপুর আম বাগানের মধ্যে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
আটককৃত নারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ধর্ষণ মামলার আসামি বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আটক ।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ধর্ষণ মামলার আসামি কামরুল হাসান জয়কে (৩৩) আটক করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।

বুধবার (২৪/০৭/১৯)তারিখ বিকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।আটক কামরুল হাসান জয় কিশোরগঞ্জের কুলিয়াচর উপজেলার পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, ভারতে যাওয়ার জন্য সে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দেয়। এ সময় তথ্য যাচাই করে দেখা যায় সে ধর্ষণ মামলার আসামি। পরে তাকে গ্রেফতার করে পোর্টথানা পুলিশে তুলে দেওয়া হয়।

বেনাপোল পোর্টথানার এএসআই শাহিন ফরহাদ জানান, তার নামে কিশোরগঞ্জের কুলিয়াচর থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে। ওই থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে তাকে নেওয়ার জন্য।

প্রেরক:
মোঃ রাসেল ইসলাম
বেনাপোল,যশোর
মোবাঃ ০১৯৯০৫৪৫৩৫৮

পদ্মাসেতু যারা চায় না, তারাই শিশুবলি আর ছেলেধরা গুজবের হোতা -তথ্যমন্ত্রী ।

পলাশ মাহমুদ ঢাকা ঃ পদ্মাসেতু যারা চায় না, তারাই শিশুবলি আর ছেলেধরা গুজবের হোতা’, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে পদ্মাসেতু নিয়ে সাম্প্রতিক শিশুবলি আর ছেলেধরা গুজব নিরসন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

গুজবের সূত্রমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দিতে হবে তারাই গুজব ছড়িয়েছিল যারা পদ্মাসেতু চায় না, দেশের উন্নয়ন চায় না। যারা এই সরকার পদ্মাসেতু করতে পারবে না বলেছিল, তারাই পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দিতে হবে বলে গুজব ছড়িয়েছে। পদ্মাসেতুতে শিশু বলি দিতে হবে বলে যে ঘৃণ্য ও অনভিপ্রেত গুজবটি ছড়ানো হয় সেটির কারণেই কিন্তু ছেলেধরা আতঙ্ক তৈরি হয়।’
‘আমরা জানি গত কয়েকদিন ধরে সমগ্র বাংলাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়ানোর ফলে নিরিহ মানুষ গণপিটুনির শিকার হয়েছে এবং যেখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো সবই হত্যাকান্ড’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা সবাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং একইসাথে এ ধরণের গুজব যাতে না ছড়াতে পারে তার জন্য নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আপনারা জানেন যে ঘটনার সত্যতা হচ্ছে, পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে বলে ছড়ানো গুজবের প্রেক্ষিতেই কিন্তু ডালপালা ছড়িয়ে এই হত্যাকান্ড করা হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেধরা বলে অনেকের ওপর হামলা করা হয়েছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত, ন্যাক্কারজনক, আইনবহির্ভূত। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি, এই গুজব ছড়ানোর কারণে ইতিমধ্যে ৪৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমি সে পরিচয় প্রকাশ করবোনা।’
গুজবের বিস্তাররোধে সরকারের ব্যাপক তৎপরতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তবে এটিকে সূত্র ধরে যে কাজগুলি হচ্ছে এগুলো কখনো হওয়া উচিত নয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা এই গুজব প্রতিরোধে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জনগণকে সর্তক করার জন্য তথ্য অধিদফতর থেকে তথ্য বিবরণী দেয়া হয়েছে এবং রেডিও, টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমে এগুলো প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও দেশব্যাপী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
গুজব নিরসনে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানাবো এ ধরণের গুজবে কান না দেয়ার জন্য। এখনও পর্যন্ত ‘ছেলেধরা’ নামে যে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে, একটি ঘটনাও সত্য প্রমাণিত হয়নি। যারা এ ধরণের আতঙ্ক ছড়াবে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক গতকাল দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত নেতাদের সাথে বিষয়টি আলোচনা করেছেন। যারা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দলীয়ভাবে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। দলের প্রচার সম্পাদক হিসেবে আমি দলের সকল নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সোচ্চার হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দেরি হয়েছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কথাটি সঠিক নয়, প্রথম থেকেই কিন্তু মাইকিং করা হচ্ছিল। যেখানে যেখানে গুজব ছড়িয়েছে সেখানে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবং পদ্মা সেতুতে শিশু বলি দিতে হবে গুজব যখন ছড়ানো হয়, তখন থেকেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছিল। এটির পিছনে যে ষড়যন্ত্র আছে, সেটি ভাবার বিষয়, দেখার বিষয়।
মীর আকরাম/ সিনিয়র তথ্য অফিসার/তথ্য মন্ত্রণালয়

গুজবে কান দিবেন না,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আস্থা রাখুন,ধামরাই থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন (ধামরাই প্রতনিধি) সম্প্রতি দেশে পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষে মাথা লাগবে এমন গুজবে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, এতিম হচ্ছে আরেকটি শিশু, এমত অবস্থায়, সারাদেশে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এবিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক পরিস্বরে তদন্ত করে, এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এটি সম্পূর্ণভাবে গুজব।
পদ্মা সেতুতে শিশুর কাটা মাথা ও রক্ত লাগবে, এমন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্ধেহে অনেককে গনফিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে তাই ধামরাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষে ঢাকা জেলা পুলিশের নির্দেশে ধামরাই থানার পক্ষ হতে বিভিন্ন প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ধামরাইয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্কুল-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ত্যাগের বিষয়টি শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক নিশ্চিত করণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনার কেউ গুজবে কান দিবেন না।
পদ্মা সেতু নির্মানে মানুষের মাথা লাগবে গুজবের বিরুদ্ধে জন সচেতনা তৈরীর জন্য ধামরাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্রসাহার লিফলেট বিতরন ও বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সচেতন মূলক বক্তব্য রাখেন।ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা,সম্প্রতি গুজবে কাউকে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাই এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন কোন মানুষকে সন্দেহ হলে থানায় সংবাদ দিবেন। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং ছেলে ধরা নিয়ে যদি কাউকে সন্দেহ হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় যোগাযোগ করবেন।
এবিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার চন্দ্র ইনচার্জ(ওসি) দীপক সাহা জানান, সম্প্রতি পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এমন ঘটনা গুলো কেন্দ্র করে দেশে যেসব অপৃতিকর ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনা গুলো শুধু মাত্র গুজব থেকে ঘটেছে, এর সাথে বাস্তবিক কোন মিল নেই।
তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যারা এসব গুজব রটাচ্ছে তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য।প্রত্যেক এলাকায় কোনো অপরিচিত ব্যক্তির চলাফেরায় সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তা অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
সন্দেহ ভাজন কোন কিছু সর্ম্পকে অবহিত হলে আইন নিজের হাতে না তুলে পুলিশকে অবহিত করুন।তবে মানুষের মাঝে ব্যাপক ভিতি বিরাজ করছে, বিশেষকরে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী গার্ডিয়ানদের মধ্যে।

রাণীশংকৈলে ছেলে ধরা গুজব ছড়ানোর দায়ে যুবক গ্রেফতার ।

হুমায়ুন কবির রাণীশংকৈল (ঠাকুরগঁাও) সংবাদদাতা ঃ ফেসবুকের মাধ্যমে ঠাকুরগঁাওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ছেলেধরা গুজব ও আতংক ছড়ানোর দায়ে এক যুবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

 

জুলাই বুধবার দুপুরে পুলিশ পৌর এলাকা থেকে, বেনুরায় অধিকারি বিনয় (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

বিনয় লেহেম্বা গ্রামের দ্বিজেন্দ্র নাথ অধিকারির ছেলে ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
জানা গেছে , গত ২২ জুলাই সোমবার আসামি বিনয় তার ফেসবুক আইডি – বিনয় কুমার রাজ বি.কে. থেকে রাণীশংকৈল মীরডাঙ্গীতে ২ জন ছেলেধরা একটি ছেলের গলাকাটতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছে মর্মে একটি পোস্ট দেয়।
এ নিয়ে এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ মীরডাঙ্গী বাজার থেকে ঐ ছেলেধরা সন্দেহে নীলফামারি ডোমারের রশিদুল ইসলামের (২৭) ও দিনাজপুর বলেয়া গ্রামের সাকিব (২৫) নামে ২ ব্যাক্তিকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে রশিদুল পেশায় ঘটক ও সাকিব একজন মানসিক রোগী বলে পুলিশ নিশ্চিত হন এবং তাদেরকে ছেড়ে দেন। কিন্তু বিনয় কুমারের পোস্টটি ফেসবুকে থেকে যায়।
পুলিশ তল্লাসি করে ২৪ জুলাই বুধবার দুপুরে বিনয়কে পৌর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন – ২০১৮ তে ঐ দিনই একটি মামলা দায়ের করা হয় মর্মে ওসি আব্দুল মান্নান জানান।

২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাউডার আটক করলো বেনাপোল কাস্টম হাউস ।

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোলে প্রথমবারের মত অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২০০ কেজি পাউডার ভায়াগ্রা চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ।
বুধবার(২৪/০৭/১৯)তারিখ এক প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বেনাপোল কাস্টম ক্লাব এ অনুষ্ঠিত এই প্রেসব্রিফিং এর নেতৃত্ব দেন বেনাপোল কাস্টম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, চালানটি ধরাপড়ার কিছুদিন আগে অসাধু একটি চক্রের অবাধে আমদানিযোগ্য পন্যের আড়ালে অপঘোষনার মাধ্যমে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে ভায়াগ্রা আসবে এমন একটি গোপন সংবাদ আমার কাছে এসে পৌছে। সে আলোকে সন্দেহজনক কতিপয় পন্য চালান এ দপ্তরের সতর্ক নজর দারীতে রাখা হয়। এ সন্দেহের তালিকার শীর্ষে ছিল “ফ্লেভার” ঘোষনায় আমদানিকৃত একটি পন্য চালান। চালানটি’র বিবরনীতে দেখা যায়।
আমদানিকারক- রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল, ১৫৩/৩ কাঁঠাল বাগান, ক্রিসেন্ট রোড, কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫ (বিন নং : ০০১৪৮৬৪৩৭)। এলসি নং- ২৯৬৬১৯০১০০৩৬, তারিখ: ০২/০৪/২০১৯ খ্রি।মেনিফেস্ট নং- ১৩৬১৩ বি-বি, তারিখ: ১০/০৪/২০১৯ খ্রি।বিল অব এন্ট্রি নং- সি-২৫৫৭৭, তারিখ: ১৩/০৪/২০১৯ খ্রি।ঘোষিত পণ্য-ফ্লেভার – ৫০০ কেজি।প্রাপ্ত পণ্য- ফ্লেভার (৫০০ কেজি), সাদা পাউডার (২০০ কেজি), সিরিঞ্জ (১,৯৪,০০০ পিস) , ইমিটেশন জুয়েলারি (১১০.৭৭ কেজি), শাড়ি (৩০৩ পিস), ওড়না (১৪ পিস), কামিজ (১০ পিস), সালোয়ার (০৯ পিস), থ্রী-পিস (৩৮ পিস), শার্ট (১৯ পিস), প্যান্ট (১২২ পিস)।
দশটি অপঘোষিত পণ্য পাওয়া গেলেও এটিকে স্বাভাবিক আমদানিযোগ্য পণ্যের চালানই মনে হয়েছে। মূলত, বৈধ পণ্যের আড়ালে আমদানিযোগ্য পণ্য অপঘোষণা দিয়ে অপঘোষণার জরিমানা ও শুল্ককর পরিশোধের দোহাই দিয়ে কাস্টমস কর্মকতাদের বোকা বানিয়ে পাউডার ভায়াগ্রা পাচারের অপচেষ্টা করে।পরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোপন সংবাদ দাতা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য তাগিদ দেন। তোলা হয় “ফ্লেভার” ও পাউডার জাতীয় পন্যের প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা।অধিক সতর্কতার জন্য কাস্টম হাউসের নিজস্ব অত্যাধুনিক ল্যাবে রমন স্পেক্ট্রোমিটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।
সতর্ক পরীক্ষা শেষে ফ্লেভার সঠিক পাওয়া গেলেও ২০০ কেজি পাউডার পরীক্ষায় ভায়াগ্রার উপাদান আছে বলে সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক আকস্মিক দাবী করেন। একাধিকবার পরীক্ষা করেও একই ফলাফল পেয়ে রিপোর্ট দেন। ডঈঙ প্রদত্ত সেই রমন স্পেক্ট্রোমিটারের পরীক্ষায় ঠেকে যায় ভারত থেকে খাবারের ফ্লেভারের আড়ালে আমদানিকৃত আলোচ্য পাউডার ভায়াগ্রা।
চালানটির আমদানিকারক ও খালাসের কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।ফলে সাময়িক ভাবে সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টার প্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেট...