26 C
Dhaka, BD
বুধবার, জুলাই ৯, ২০২৫

শার্শায় প্রতিপক্ষের আঘাতে দম্পত্তি আহত মামলা না করার হুমকি

যশোরের শার্শায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দম্পত্তিকে মারাত্ত¡ক ভাবে পিটিয়ে জখম করেছে বেপরোয়া প্রতিবেশি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের নারকেল বাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় আহত দম্পত্তিকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্বজনরা।
হাসপাতাল ও আহতদের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে নারকেল বাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাই ও তার স্ত্রী মুসলিমা খাতুন দম্পত্তি আত্মীয়র বাড়ীতে বেড়াতে যান।

ফিরে এসে তাদের পোষা ছাগলের মৃত বাচ্চা দেখতে পান। এ ঘটনায় প্রতিবেশি সইরুননেছার কাছে মৃত বাচ্চার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি তারা কিছুই জানে না বলে জানান। উক্ত ঘটনার জের ধরে শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশি বেপরোয়া সইরুননেছা ও তার ছেলে আবু হানিফ ভাই নজরুল ইসলাম এবং বোন মরিয়ম মিলে আব্দুল হাই ও তার স্ত্রীকে বেদম ভাবে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাত্ব জখম করে।

পরে আহত দম্পত্তিকে স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মশিউল আলম জানান, আহত আব্দুল হাইকে মাথায় ৪টা শেলাই দেওয়া হয়েছে এবং তার স্ত্রীকে মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিটিরে কারনে যখম হওয়ায় তাদের দু’জনকেই চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। এব্যাপারে নারকেল বাড়িয়া গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বর ফারুখ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি কিছুটা শুনেছি। শনিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে খোজখবর নিবো এবং উভয় পক্ষের জবান নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলবো।

জানতে চাইলে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, ঘটনাটি লোক মারফত শুনেছি। এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্তা নিবো। এদিকে আব্দুল হাই ও মুসলিমা খাতুন চরম আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে তারা জানান। তারা বলেন সইরুননেছা পেশায় একজন সুদের ব্যবসায়ী। তার ছেলে আবু হানিফা মাদক ব্যবসায়ী। তারা উল্টো মামলা করার ভয়ভীতি দেখিয়ে চলেছে এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে আব্দুল হাইকে রেফ কেস দিয়ে ফাশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই দম্পত্তি।

সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধন-সমাবেশ

বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধ্বসের ৬ষ্ঠ বছরে ২৪ শে এপ্রিলকে গার্মেন্টস শ্রমিক দিবস ঘোষনা, শ্রমিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, সাভার-আশুলিয়া-ধামরাই শিল্পাঞ্চল কমিাটর উদ্যোগে সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট-শিল্পাঞ্চল কমিটির সভাপতি এডভোকেট সৌমিত্র কুমার দাশের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রানাপ্লাজা ধ্বসের ৬ বছর হতে চলছে এখনও ভবন ধ্বসে হত্যাকান্ডের ফলে নিহত ১১৩৬ জন শ্রমিক পরিবার তাদের স্বজন হত্যার বিচার পায় নাই। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ভবন মালিকসহ গার্মেন্টস মালিকদের বিচারের নামে কালক্ষেপনের কৌশল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের রক্ষার আয়োজন চলছে। একের পর এক কথিত দুর্ঘটনায় দেশের সবচেয়ে বেশি (৮৬ভাগ) বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী খাতের মুল কারিগর শ্রমিকরা প্রান হারালেও গার্মেন্টস সেক্টরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, মাত্র ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দিয়ে মালিকদের শ্রমিক হত্যার দায় থেকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। যার ফলে মালিকরা দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হওয়ার সাহস পাচ্ছে। তাই অবিলম্বে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরন আইএলও কনভেনশন অনুযাযী ৪৮ লক্ষ টাকা করাসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করে আইন প্রনয়ন ও আহত শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরন এবং পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আহমেদ জীবন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, সাভার পৌর সাধারন সম্পাদক কাওসার আহমেদ, আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি মিলন মিয়া, সহ-সভাপতি সাইদ মিয়া ও রানা-প্লাজার আহত শ্রমিক মাসুমা আক্তার, সবুজ মিয়া প্রমুখ।

এসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায়,মিজানের সাংবাদিকদেরকে হুমকি ।

বেনাপোল পোর্টথানার এসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বেনাপোল সহ বিভিন্ন সংবাদকর্মীদেরকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী বলে হুমকি প্রদান ও মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন।

এতে করে সচেতন মহলসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন এসআই মিজানের বিরুদ্ধে সত্য ঘটনা প্রকাশ করার পরেও যদি তার দ্বারা সাংবাদিকরা এমন হুমকির মধ্যে থাকে তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সাথে সাথে তারা আরোও আশংকা প্রকাশ করেন যে এস আই মিজান কতৃর্ক যে কোন সময় এসকল সংবাদকর্মী বিভিন্ন ধরনের ঝামেলায় পড়তে পারেন। খুব দ্রæত এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠ তদন্ত করলে আসল রহস্য ও সত্য ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিভিন্ন সাংবাদিক ও সাধারন মানুষ।

এম কে টেলিভিশনের সম্পাদক বেনাপোল পোটর্ থানার এসআই মিজানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা, কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করেছেন।একপর্যায়ে তিনি বলে ফেলেন এটা তার ব্যক্তিগত দন্ডের কারনে কিছু সাংবাদিক লেখা-লেখি করছে।সে দ্বাম্ভিকসুরে বলেন বিষয়টি নিয়ে আমার উপর মহল তদন্ত করবেন বলে আর কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মোবাইলের লাইনটি কেটে দেন।

গত ১১ই এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন ভার্ষনে শিরোনামে বিজিবি’র মামলার পলাতক আসামীর রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে এসআই মিজানের ঘুষ বানিজ্য ১২ই এপ্রিল শিরোনামে এসআই মিজান মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী ও ১৩ই এপ্রিল শিরোনামে ১২ লাখ টাকা দাবী এসআই মিজানের চাঁদাবাজির শিকার হলেন সরকারী কর্মচারীর নিউজ বের হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু সালেহ মাসুদ করিমের কাছে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নামে মিজান দারোগার এমন হুমকি ও মিথ্যা বদনাম দেয়া প্রসংঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে যেমন কর্ম করবে তেমন ফল তারই ভোগ করা লাগবে, তিনি বলেন আমি কাজে বাইরে অবস্থান করছি আর কিছু জানার থাকলে তদন্ত ওসির সাথে কথা বলতে বলেন।

এসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকদেরকে হুমকি ও মিথ্যা অপবাদ

বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোল পোর্টথানার এসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বেনাপোল সহ বিভিন্ন সংবাদকর্মীদেরকে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী বলে হুমকি প্রদান ও মিথ্যা অপবাদ দিয়েছেন।এতে করে সচেতন মহলসহ অন্যান্য সংবাদকর্মীরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন এসআই মিজানের বিরুদ্ধে সত্য ঘটনা প্রকাশ করার পরেও যদি তার দ্বারা সাংবাদিকরা এমন হুমকির মধ্যে থাকে তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সাথে সাথে তারা আরোও আশংকা প্রকাশ করেন যে এস আই মিজান কতৃর্ক যে কোন সময় এসকল সংবাদকর্মী বিভিন্ন ধরনের ঝামেলায় পড়তে পারেন। খুব দ্রæত এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠ তদন্ত করলে আসল রহস্য ও সত্য ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিভিন্ন সাংবাদিক ও সাধারন মানুষ।

এম কে টেলিভিশনের সম্পাদক বেনাপোল পোটর্ থানার এসআই মিজানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা, কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করেছেন।একপর্যায়ে তিনি বলে ফেলেন এটা তার ব্যক্তিগত দন্ডের কারনে কিছু সাংবাদিক লেখা-লেখি করছে।সে দ্বাম্ভিকসুরে বলেন বিষয়টি নিয়ে আমার উপর মহল তদন্ত করবেন বলে আর কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মোবাইলের লাইনটি কেটে দেন।

গত ১১ই এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন ভার্ষনে শিরোনামে বিজিবি’র মামলার পলাতক আসামীর রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে এসআই মিজানের ঘুষ বানিজ্য ১২ই এপ্রিল শিরোনামে এসআই মিজান মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী ও ১৩ই এপ্রিল শিরোনামে ১২ লাখ টাকা দাবী এসআই মিজানের চাঁদাবাজির শিকার হলেন সরকারী কর্মচারীর নিউজ বের হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু সালেহ মাসুদ করিমের কাছে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নামে মিজান দারোগার এমন হুমকি ও মিথ্যা বদনাম দেয়া প্রসংঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে যেমন কর্ম করবে তেমন ফল তারই ভোগ করা লাগবে, তিনি বলেন আমি কাজে বাইরে অবস্থান করছি আর কিছু জানার থাকলে তদন্ত ওসির সাথে কথা বলতে বলেন।

জাবিতে সেফুদা কে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ এসে সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননা করায়‌ এবং ধর্মীয় অনু ভূতিতে আঘাত দেওয়ায় সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদা কে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাবির (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীরা।

আজশুক্রবার (১৯এপ্রিল) দুপুর ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদ দেশেএই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি ও বক্তব্য তুলে ধরে।

৪২তম আবতর্ণের মনিরুল ইসলাম মহিম (প্রত্নতত্ত্ব) বলেন,“সেফুদা পবিত্র কোরআন শরীফ এর পাতা ছিঁড়ে কমোডে ফেলে,সে একটি জঘন্য অপরাধ করেছে, সেই ইসলামকে জঘন্য ভাষায় গালি গালাজ করেছে , সে এইদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে , তাই আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাকে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় , সেই সাথে তাকে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি”।

৪৬ তম আবতর্ণের ইয়া হিয়া জিসান (ইতিহাস) বলেন,“ সবার ইমত প্রকাশের অধিকার আছে কিন্তু অন্যকার ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় অধিকার তাকে কেউ দেয়নি, তার কারনে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে , তাই আমরা সকলে তাকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি”।
৪৬ তম আবতর্ণের জহিরুল ইসলাম ফয়সাল (বাংলা) বলেন,“সেফুদার কারনে আমাদেরদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, শুধু তাই নয় সেফুদা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে , সেমদনিয়ে লাইভে এসে তরুণ সমাজকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে , সে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এদেশের মুসলমানদের ব্যাহত করেছে, বাংলাদেশ সরকার যেন দেশের ভাব মূর্তি রক্ষার জন্য তাকে আইনের অধীনে নিয়ে আসে”।
অপর দিকে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা চারদফা দাবি উত্থাপন করে,দাবি গুলোহলো:
১.সেফাতুল্লাহ ওরফে সেফুদাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।।
২.সেফুদা যদি মানসিক ভার সাম্যহীন হয় তবে সরকার যেনতাকে দেশেফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
৩.আর সেফুদা যদি মানসিক ভারসাম্যহীন না হয়ে ভন্ড হয়, সরকার যেন তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়।
৪.ইউটিউব সহ সকল সোশ্যালমিডিয়ায় তার প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে গতকালবৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে কোরআনের পাতা ছিড়ে ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে, কোরআনের উপর স্যান্ডেল দিয়ে পিটিয়ে মুসলিমদের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন সেফাতুল্লাহ। এরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সাধারন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বেশিরভাগ মানুষ তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন যেন ভবিষ্যতে কেউ কোন ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে না পারে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনায় সেফাতউল্লাহ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। ফেসবুকে নানান ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৯০ সাল থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় অবস্থান করছেন সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। লেখা-পড়া করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে,তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র ছিলেন বলে নিজেকে দাবি করেন।
সেফাত উল্লাহর স্ত্রী জানান, ২৮ বছর আগে দেশ ছাড়েন তিনি। তারপর থেকেই পরিবার থেকে তিনি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। পরিবারের দাবি, বর্তমানে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত। আর তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন বিব্রত।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে সেফাত উল্লাহ’র স্ত্রী বলেন, ‘সবাই, আত্মীয়-স্বজনের কাছে আমাদের মুখ নাই। কেমন লাগতেছে আমরা জানি। এখন এগুলো কি বন্ধ করার কোনো পথ নাই? ইউটিউব কি এগুলো কোনো প্রতিকার করতে পারে না? আর উনি তো সিজোফ্রেনিয়া রোগী।’

এদিকে সেফাতউল্লাহ আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ভিয়েনাতে তিনি চাকরি করছেন। তিনি যদি আসলেই সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাহলে কীভাবে চাকরি সামলাচ্ছেন? তিনি একাই একটি বড় বাসায় থাকেন। পরিপাটি হয়ে অফিসে যান। অনেকেই দাবি করছেন, অতিরিক্ত মদ পানের জন্যই এমন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন তিনি। তার প্রচুর মদ পানের প্রমাণ মেলে ফেসবুক লাইভে। প্রায়ই লাইভে তাকে মদ পান করতে দেখা যায়।

পরিবেশ সংরক্ষণে পাঁচ দফা দাবি জাবির জে.ইউ আর্থ সোসাইটির ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ সংরক্ষণ ওব্যবস্থাপনা উন্নতির জন্য পাঁচ দফা দাবির স্মারকলিপি দিয়েছে জাবি(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) আর্থ সোসাইটি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাতে এই স্বারকলিপি তুলে দেন।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি, সবুজ শ্যামল ও সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের একটি মনোমুগ্ধকর আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে বর্জ্যময় ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাস্টবিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজের ঘাটতি রয়েছে। জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে। বৃক্ষনিধন ও গাছ পোড়ানো হচ্ছে। আবাসিক হল, অনুষদ, লাইব্রেরী, টিএসসি স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করা জরুরী।

স্বারকলিপিতে আরো বলা হয়, আমাদের উপলদ্ধি জাবি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) প্রশাসনের জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছাড়া এ ক্যাম্পাসের পরিবেশের মান উন্নত বা রক্ষা সম্ভব নয়।

তাই আমরা প্রশাসনের নিকট পাঁচ টি দাবি তুলে ধরছি-

১। ক্যাম্পাসের বটতলা, শহীদমিনার, ক্যাফেটেরিয়া, ব্যবসা অনুষদ, টারজান,
মুরাদচত্বর, টিএসসি ও সপ্তম ছায়ামঞ্চ পর্যন্ত ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে।

২। শহীদ মিনার, সংশপ্তক চত্বর, সপ্তম ছায়ামঞ্চ, মুক্তমঞ্চকে ‘ঢ়ড়ষষঁঃরড়হ ভৎবব ধৎবধ’ ঘোষণা করতে হবে। মাসের ১টি দিনকে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস ডে’ ঘোষণা করতে হবে।

৩। লেকগুলোকে পুনঃখনন, লেকের পাড়ে বৃক্ষরোপণ ও বেড়াপ্রদান করতে হবে।

৪। বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, হলক্যান্টিন ও টিএসসি বর্জ্যকে যথাসময়ে পরিচ্ছন্ন করার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসের সম্মুখে মহাসড়কেও কোনময়লা রাখা যাবে না।

৫। দয়াকরে, চারা গাছ ও ঘনবন নিধন করবেন না। পরিপক্কগাছ কাটার পূর্বেও উপযুক্ত কারণ দেখালে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অবগত হবে। অহেতুক ঘাস ও আগাছা পরিষ্কার করণ কিন্তু জীববৈচিত্র্য রক্ষার মাধ্যমে ক্যাম্পাসের সার্বিক সৌন্দর্য
বৃদ্ধির জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়া আগামী ২২ এপ্রিল ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ কে উপলক্ষ করে ২৪ এপ্রিল র‌্যালির মাধ্যমে উদযাপিত হবে দিবসটি। এ দিবসে প্রশাসনিকভাবে “নো প্লাস্টিক ডে” ঘোষণা করতে অনুরোধ করছি।

স্বারকলিপি গ্রহণ কালে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে নোটিশ করেছি এ বিষয়ে।”

স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সভাপতি মোজাম্মেল আহমেদ তানভী, সাধাণ সম্পাদক মো. নয়ন খান, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মান্নান আহমেদ, দর্শন বিভাগের রিজভী, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অনিমা সহ আরও অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় নিমন্ত্রন পেলেন শার্শার উদ্ভাবক মিজান ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(উন্নয়ন)খুলনা’র ১৭/৪/২০১৯ইং তারিখের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় যশোরের শার্শার দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজানকে উপস্থিতির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

আগামী ২৩ ও ২৪ শে এপ্রিল সার্কিট হাউস খুলনার সম্মেলন কক্ষে ইনোভেটরদের উদ্ভাবিত ইনোভেশনকে শোকেসিং করার নিমিত্তে¡ এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হইয়াছে। এতে জেলার শ্রেষ্ট ০৩(তিন)টি ইনোভেশনকে শোকেসিং করা হবে। ঐ একই চিঠিতে জেলা প্রশাসক গনকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

দুদিন ব্যাপী ঐ অনুষ্ঠানে ইনোভেটরদের ইনোভেশন মডেল,বুকলেট/লিরেট,ক্লোচার্ট এবং ভিডিও সহ উপস্থিতির আবশ্যকতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মান্দায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা ।

নওগাঁর মান্দায় ‘স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (ঝউএ) বাস্তবায়ন’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএনও’র হলরুমে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুশফিকুর রহমান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম হাবিবুল হাসান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ফারুক হোসেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, উপজেলা ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা আল ইমরান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, বিএমডিএর সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের সহযোগিতায় কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৮০জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে এসডিজি ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বেনাপোলে র‌্যাব-৬ এর অভিযানে গাঁজা সহ আটক ১ ।

যশোর র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বুধবার রাতে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন শাখারীপোতা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৭০ গ্রাম গাঁজা ও ১ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে । এ সময় গাঁজা গাছ চাষ কারী মোঃ রাসেল হোসেন (২৭)কে হাতেনাতে আটক করেন।আটক রাসেল বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শাখারীপোতা গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে।

যশোর র‌্যাব ক্যাম্প থেকে জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ছুরত আলম এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন শাখারীপোতা, (বাগান পাড়া) সাকিনস্থ শাখারীপোতা বাজারের পূর্ব পাশে আটক আব্দুস সোবাহান পাটোয়ারী এর বসত বাড়ীর ভিতরে দক্ষিন দুয়ারীর একচালা টিনের ঘরের শয়ন কক্ষে তোষকের নিচ হতে ও ঘরের পিছনে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী/কুখ্যাত গাঁজা গাছ চাষ কারী মোঃ রাসেল হোসেন (২৭), পিতা মোঃ আব্দুস সোবাহন পাটোয়ারী, গ্রামঃ শাখারীপোতা, (বাগান পাড়া), থানাঃ বেনাপোল পোর্ট, জেলা যশোর (ক) সাদা পলিথিনের ২৭০ গ্রাম গাঁজা, (খ) সবুজ রংয়ের জীবন্ত তাজা গাঁজার গাছ-০১ টি (কাঁচা গাছের ওজন ৭০ গ্রাম) গাঁজা গাছ চাষ কারীকে সহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।

প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন যাবত গোপনে মাদক ব্যবসা এবং গাঁজা গাছ চাষ করার সাথে তিনি জড়িত। বিভিন্ন আইন শৃংখলা রক্ষাকরী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে যুব সমাজ ধংসকরাী মাদক দ্রব্যের ব্যবসা করে আসছে।পরবর্তীতে তাকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ধারা ৩৬(১) এর সারণির ক্রমিক ১৮(ক) ও ১৯ এর (ক) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধার কৃত আলামত সহ ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে ।

দেশে চলমান নারী নিপীড়ন ওবিচারহীনতার বিরুদ্ধে,প্রতিবাদে গায়ে কাফন জড়িয়ে ১ ঘণ্টা ।

সম্প্রতি ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির উপর যৌন নিপীড়ন ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন তুলেছে। দেশে চলমান নারী নিপীড়নের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, প্রতিনিয়ত এদেশে নারী নিপীড়ন বাড়ছে। এই নিপীড়ন এবং বিচারহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীর শাহবাগে গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন ছয় নারী। তাদের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক তরুণী।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে দাঁড়িয়ে ধর্ষিত হয়ে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি’-এমন একটি প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। তরুণীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ড লেখা ছিল; “আমি ‘মানুষ’ বিচারহীন রাষ্ট্রে খুন ও ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভিক্টিম পক্ষ।”

তারা বলেন, ‘নুসরাতের মতো এমন হাজার হাজার নুসরাতের ঘটনা আমরা আপনাদের সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছি। এত এত নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটলেও অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে বিচারের বাইরে। কিংবা অপরাধী গ্রেপ্তার হলেও দৃষ্টান্তমূলক কোনো সাজা আমরা দেখতে পাই না। আমরা আজকের নারী নিপীড়নের জন্য রাষ্ট্রের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকেই দোষারোপ করছি।’

এর আগে শারমিন জাহান অর্পি নামে এক প্রতীকী প্রতিবাদকারী দৈনিক সময়ের খবর অনলাইনকে বলেছিলেন, আজ (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘ভিক্টিম পক্ষ’ ব্যানারে ১০ নারী দাঁড়াবেন কিন্ত‌ু বিশেষ কারণে শাহাবাগ চত্বরে তিনজন প্রতিবাদে দাঁড়াননি। তবে পরবর্তীতে তারা ৭ জন শাহাবাগ চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন।

‘নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাই প্রতিবাদে শামিল হতে আমরা “ভিক্টিম পক্ষ”র ব্যানারে ১০ নারী ৫ জন করে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে দাঁড়াবো শাহাবাগ চত্বরে। আমাদের প্রতিবাদটা একটু ভিন্ন ভাষায় করতে চাই। আমরা এই রাষ্ট্রের কাছে যখন বিচার চাইতে চাইতে ক্লান্ত, তখন আমাদের মনে হয়েছে যে রাষ্ট্রের কাছে নিপীড়কের বিচার চাইবার চেয়ে আমাদের নিজেদেরই বুঝি খুন বা ধর্ষিত হয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া উচিত। তাই আমরা আমাদের প্রতিবাদী ইভেন্টে মূলত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেব।’

‘তাই শাহাবাগে মূলত আমরা কিছু কাফনে মোড়ানো মৃতদেহের প্রদর্শনী করবো। যারা প্রস্তুতি নিচ্ছে বিচারহীনতায় মৃত্যুর জন্য’ আরও যোগ করেন শারমিন জাহান অর্পি।

বেনাপোল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পাল্টা কমিটি আত্মপ্রকাশের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

ইতিমধ্যে বেনাপোল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠিত হলেও বিপরীতে সংবাদপত্রের মাধ্যমে আরেকটি কমিটির আত্মপ্রকাশের খবর দেখে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাজার ব্যবসায়ীরা।

বুধবার সকালে স্থানীয় দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকায় বেনাপোল বাজার কমিটির পাল্টা আরেকটি কমিটির খবর এবং তাতে যাদের নাম প্রকাশ পেয়েছে তারা কমিটির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে একই দিন বিকালে এ সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন ব্যবসায়ীসহ উক্ত নবাগত পাল্টা কমিটির অধিকাংশ সদস্যরা।

বেনাপোল বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আজিজুর রহমান আজু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম বলেন নতুন এ কমিটি সম্পর্কে রহমত গং আমাকে তাদের কমিটিতে থাকতে বলেছিল কিন্তু আমি তাদের কথায় রাজি হয়নি। বলেছিলাম, নিয়মতান্ত্রিকভাবে যেখানে একটি কমিটি আছে সেখানে আরেকটি কমিটি গঠনে একমত নই এবং আমি পূর্বের কমিটির সাথেই আছি।

বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পাল্টা কমিটির আরেক না জানা সদস্য বিপ্লব। তিনি বলেন, ওরা যে তাদের কমিটিতে আমার নাম দিয়েছে তা আমি জানিনা। সকালে পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি পাল্টা কমিটিতে আমার নাম দেওয়া হয়েছে।

কথা বলেন পাল্টা কমিটির আরেক না জানা সদস্য খোকন। তিনি বলেন পাল্টা কমিটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি পাল্টা কমিটিতে আমার নাম দেওয়া হয়েছে। যা দেখে হতাশ হয়েছি।

এ বিষয়ে কথা বলেন পাল্টা কমিটির আরো অনেক না জানা সদস্য। তারা বলেন নতুন কমিটি সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তারা উক্ত পাল্টা কমিটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা বাঁধানোর জন্যই এমন হেন কমিটি গঠণ করেছে বলে উল্লেখ্য করেন।

এ বিষয়ে বেনাপোল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বজলুর রহমান এক লিখিত বক্তব্যে বলেন দীর্ঘদিন ধরে বাজার কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় সকল ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে উক্ত কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আজিজুর রহমান আজু গত ৫ এপ্রিল-১৪ তারিখে সাবেক কমিটিকে ভেঙ্গে দেন এবং তাৎক্ষণিক সকলের মতামতের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি আহবায়ক কমিটি গঠণ করা হয়। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কার্য প্রণালী চলছিল। হঠাৎ বুধবার(১৭ এপ্রিল-১৯) সকালে স্থানীয় দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকায় আরেকটি কমিটি দেখে হতবাক হয়েছি। যার শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই ব্যবসায়ী না এবং সংখ্য গরিষ্ঠ সদস্য উক্ত কমিটি সম্পর্কে জানেন না, বা তাদের কোন মতামত নেওয়া হয়নি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল বাজার ব্যবসায়ী আহবায়ক কমিটি সদস্য আব্দুস সাত্তার, শাহজালাল মন্টু, সাইদুর রহমান, সাগর মিয়া, আলাউদ্দিন, মনিরুল ইসলাম ও মুক্তার আলীসহ বাজার ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ আপডেট...