28 C
Dhaka, BD
শুক্রবার, জুন ২০, ২০২৫

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাবি প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন ।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাতটায় জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মুসা ও সাধারণ সম্পাদক রাইয়ান বিন আমিনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মুসা বলেন, ‘১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যহীন, শোষণ মুক্ত, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদেখেছিলেন।’ এ সময় তিনি সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের লালিত স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

জাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাইয়ান বিন আমিন বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদেকে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসা উচিৎ।’

এসময় জাবি প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অরিত্র দাস, প্রচার সম্পাদক মাকসুদ জুবায়ের সহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্য, প্রক্টর সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ইউনিট, বিভাগ, হল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

রাজশাহীতে বিদেশী মুদ্রা জাল চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে বিদেশী মুদ্রা জাল চক্রের চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার সকালে নগরীর লক্ষ্মীপুর ও রাজশাহেী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাদারীপুর জেলার শিবচরের বৈকুন্টপুর এলাকার মৃত কাদির মোল্লার দুই ছেলে টুটুল মোল্লা (৪৫) ও মমতাজ উদ্দিন মোল্লা (২৮) এবং গোপালগঞ্জ আকদিয়া এলাকার মজিবুর শেখের ছেলে ইলু শেখ (৩২) ও একই এলাকার খালেক শেখেরে ছেলে বাবলু শেখ (৩৫)।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার আবু আহাম্মদ আল-মামুন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর এলাকার সেঞ্চুরী আবিাসিক হোটেলে অভিয়ান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইলু শেখ ও বাবুল শেখকে। তাদের কাছে পাওয়া যায় দুইটি ১০০ রিয়ালের সৌদি আসল নোট এবং ২০১টি জাল নোট। পরে তাদের দেয়া তথ্যে রামেক হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে থেকে টুটুল ও মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয় । তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজশাহীতে অবস্থান করে বিদেশী জাল মাদ্রার কারবার করছিল বলে জানান তিনি।

বলিহার গোবিন্দ মন্দীরে পঞ্চমবারের মত পালিত হলো দোলপূর্ণিমা ।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব আজ সোমবার পঞ্চমবারের মতো পালিত হলো বলিহার গোবিন্দ মন্দীরে ।

বাংলাদেশে এই উৎসবটি ‘দোলযাত্রা’, ‘দোল পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত। দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সোমবার রাজশাহীর জেলার বাঘা থানার বলিহার গ্রামে পঞ্চম বারের মতো গোবিন্দ মন্দিরে পুজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মন্দীর কমেটি।

বলিহার সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে গোবিন্দ মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। পূজা ও কীর্তন শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং প্রসাদ বিতরণ দুপুর ১২টায়।

দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।

বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোন কোন স্থানে এ উৎসবকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। দ্বাপর যুগ থেকে পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। সারাদেশে সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদ্যাপন করবেন।

উলাশী কিন্ডার গার্টেন স্বাধীনতা দিবস কিশোর ত্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০১৯ ।

উলাশী কিন্ডার গার্টেনের আয়োজনে স্থানীয় প্রাইমারী মাঠে দু’দিনব্যাপী ক্রিকেট খেলা সোমবার সকাল ৯টার সময় অনুষ্টিত হয়। কিশোরদের এই ক্রিকেট খেলার উদ্বোধন করেন সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের সভাপতি সহিদুল ইসলাম শাহিন ও উলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলী। এতে সভাপতিত্ব করেন উলাশী কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান। এই খেলায় নতুন কুঁড়ি এডাস স্কুল, উলাশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উলাশী কিন্ডার গার্টেন স্কুল, শিশু কানন উলাশী, বর্ণমালা বিদ্যাপীঠ সহ মোট ৫টি স্কুলের কিশোররা এই ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহন করেন।

মনোমুগ্ধকর ক্রিকেট খেলায় প্রচুর সংখ্যক ক্রিকেট প্রেমী দর্শক উপভোগ করেন। এই ক্রিকেট খেলার নতুন কুঁড়ি এডাস স্কুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব ও উলাশী সরকারী প্রাঃ বিদ্যাঃ রানারআপ অর্জন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উলাশী কিন্ডার গার্টেনের সহঃ প্রধান শিক্ষিকা রীনা আক্তার, সহঃ শিক্ষিকা শারমিন আক্তার, তনায়া আফরোজ দীশা, শিউলি পারুল, বিপ¬ব হোসেন, পলক হোসেন, উলাশী কিন্ডার গার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা জাকির হোসেন লাল্টু,পরিচালক ও সভাপতি নতুন কুঁড়ি এডাস স্কুলের আজিজুল হক, প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান শাকিল,সহঃ শিক্ষক শিমুল হোসেন ও কায়কোবাদ, উলাশী সরকারী প্রাঃ বিদ্যাঃ প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, বর্ণমালা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা পারভিন সুলতানা ,শিশু কানন উলাশী স্কুলে প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন।

ক্রিকেট খেলাটির মিডিয়া পার্টনার ছিলেন সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল ও জয়যাত্রা টেলিভিশন।

হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টে জয়ী মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও ফুটবলে বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ।

বেনাপোলে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপী রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে ও পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় “কিশোর-কিশোরী হ্যান্ডবল ও ফুটবল টুর্নামেন্ট” অনুষ্ঠিত হয়েছে।“কিশোরী হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট” এর ফাইনালে নবদিগন্ত প্রি ক্যাডেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও “কিশোর ফুটবল টুর্নামেন্ট” এর ফাইনালে নবদিগন্ত প্রি ক্যাডেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে বেনাপোল ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয় ও ফুটবলে বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জয় লাভ করেন।

শার্শা উপজেলার মাধ্যমিক অফিসার হাফিজুর রহমানের চৌধুরীর সভাপত্বিতে খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আলহাজ¦ নুর ইসলাম ফুটবল একাডেমীর কোচ সাব্বির আহম্মেদ পলাশ, আমরা বেনাপোলের বাসিন্দার সভাপতি ও স্বাধীন গণ পাঠাগারের পরিচালক মহাসিন হোসেন হৃদয়, মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাসিনারা বেগম, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী, নবদিগন্ত প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু তালহা ও তালশারী মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিউর রহমান প্রমুখ। এদিকে, রোববার (২৪মার্চ) বেনাপোল ফুটবল মাঠে কিশোর-কিশোরী হ্যান্ডবল ও ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনালে ওঠার পথে সেমিফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত টুর্নামেন্টে মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়, বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নবদিগন্ত প্রি ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুল, তালশারী মডেল স্কুল ও সানরাইজ পাবলিক স্কুল অংশগ্রহন করে।

“কিশোরী হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট” এ সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের মুন্নী খাতুন ও সেরা গোলদাতা হয়েছেন মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের সুরাইয়া আক্তার।“কিশোর ফুটবল টুর্নামেন্ট” এ সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আকমল হোসেন নয়ন ও সেরা গোলদাতা হয়েছেন বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রাহুল।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় পাখির জন্য নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তুলছেন

বর্তমান সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারনে প্রকৃতি থেকে হঠাৎ করেই হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। ঠিক সেই সময়ে হারিয়ে যাওয়া পাখিদেরকে ফিরিয়ে আনতে যশোরের শার্শা উপজেলার প্রকৃতি বন্ধু উদ্ভাবক মিজান নিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী উদ্দ্যোগ।

গত কয়েক বছর ধরে তিনি প্রকৃতির গাছে গাছে মাটির কলসি বেঁধে দিয়ে পাখিদের জন্য তৈরী করেছেন নিরাপদ আবাসস্থল। একান্ত নিজের উদ্দ্যোগে এবং নিজেস্ব অর্থায়নে গাছে গাছে তিনি বেঁধে চলেছেন এই মাটির কলসি। উদ্ভাবক মিজানের প্রকৃতি নিয়ে ভাবনা বন্য প্রাণিদের নিয়ে ভাবনা এবং তাদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল তৈরীকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, প্রাণি সম্পদ বিভাগ সহ সব শ্রেণির জনগণ।

প্রকৃতির উপর ভালবাসা বন্যপ্রাণি তথা পাখিদের প্রতি ভালবাসায় আসক্ত তার সীমতি মেধাকে কাজে লাগিয়ে তাদের আবাসস্থল তৈরী করে শুরু করেছেন প্রকৃতি ও পাখি সংরক্ষণ কর্মসূচী। এবং তিনি মনে করেন পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এবং বিলুপ্তপ্রায় পাখিদের সংরক্ষণের এই কাজে তার সাথে এগিয়ে আসবে অনেকে। গাছে গাছে মাটির কলসি বেঁধে তার শুরু করা এই কার্য্যক্রম তিনি দীর্ঘায়ীত করতে চান। উদ্ভাবক মিজান বলেন, ঝড়-বৃষ্টিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাখির বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একারনে ডিম এবং বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বংশ বিস্তার কমে যাওয়ায় দেশীয় পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।

আমার মতো করে সবাই এগিয়ে আসলে এবং আমাকে সরকারী ভাবে বা বেসরকারী এবং সেচ্ছাসেবক সংগঠন গুলো যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে গোটা দেশ ব্যাপি। তিনি আরো বলেন, এক সময় প্রকৃতিতে পাখির অভায়ারণ্য বিরাজ করতো সকালের ঘুম ভাংতো পাখির সুমধুর কলতানে কিন্তু আজদেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের হারিয়ে যাওয়ার কারনে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যও হারিয়ে ফেলেছে।

এ কারনেই প্রকৃতি এবং বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ করতেই আমার এই উদ্দ্যোগ। প্রাকৃতিক ভারসম্য ও জীব বৈচিত্র রক্ষার এমন উদ্দ্যোগকে অভাবনীয় ভাবে প্রশংসা কুড়াবে বলে জানান উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জয়দেব কুমার সিংহ। তিনি আরো বলেন, উদ্ভাবক মিজানের প্রকৃতি ও বন্য প্রাণিসহ জীববৈচিত্রের উপর এমন কর্মপরিকল্পনার জন্য তাকে আন্তরিক ভাবে সাধুবাদ জানায়। তিনি যখন যা সাহায্য সেবা আমাদের কাছ থেকে চাইবে আমরা তাহার সে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেবো।

উল্লেখ্যঃ যশোর জেলার শ্যামলাগাছী গ্রামের তৃণমুল থেকে বেড়ে উঠা মটর ম্যাকানিক মিজান আজ দেশের একজন সেরা উদ্ভাবক হিসাবে খেতাব অর্জন করেছেন। তার একের পর এক নতুন নতুন উদ্ভাবনায় প্রশংসা সম্মাননা সনদ সহ পেয়েছেন পদক ও উপহার।

ধামরাইয়ে সরকারী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ইয়াবাসহ গ্রেফতার।

ধামরাইয়ে বাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাহফুজুর রহমান(৩৮) নামে এক সহকারি শিক্ষককে ১২পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বাওজা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বাওজা গ্রামের মোঃ হাসান আলীর ছেলে বলে জানাগেছে।

এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, উপজেলার বাস্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাহফুজুর রহমান(৩৮) শিক্ষকতার আড়ালে সে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে দিনের বেলায় বাওজা এলাকা থেকে ১২পিচ ইয়াবাসহ তাকে আটক করে।

এ ঘটনায় এস আই আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩০।
এই ব্যাপারে ধামরাই থানার (এস.আই) আব্দুল লতিফ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্কুল শিক্ষক মাহফুজুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত

ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১২ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করি।

জাবিতে শিশু হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ।

জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার ধুরাইল গ্রামে শিশু হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন,এসময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে
সকাল ১০ টায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।

গত ১৫ মার্চ (শুক্রবার) জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধুরাইল গ্রামের আব্দুর রহমান (১০) নামের এক শিশুকে নিশংসভাবে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি পরিতাক্ত স্কুলের একটি কক্ষে ফেলে রেখে যায় খুনিরা। শিশুটির দেহের গলা কাঁটা, মাথা থেঁতলানো, বুকেপিঠে ছুরির আঘাত।খুনিরা শিশুটির দেহকে শির:বিচ্ছিন্ন করে।

শিশুটি (আব্দুর রহমান) ধুরাইল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল ইসলামের ছোট ছেলে। এই ঘটনায় রেজাউল ইসলাম ও দিন (১৫ মার্চ)বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় নাম না জানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন।এই মামলার দায়িত্ব নেন পাঁচবিবির থানার ওসি বজলুর রহমান। তিনি খুনিদের আটক করার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের দায়িত্ব দেন পাঁচবিবির থানার এসআই ফারূককে। কিন্তু এক সপ্তাহের অধিক অতিক্রম হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

শিশুটি (আব্দুর রহমান) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মমিনুল ইসলামের (আইআইটি–৪১) ছোটভাই।
মানববন্ধনে মমিনুল ইসলাম বলেন,“কোন কারন ছাড়াই আমার ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমার পরিবারের সাথে কারওর কোন দ্বন্দ্ব নেই,যে এলাকায় আমার ছোট ভাইকে হত্যা করেছে সেখানে অনেক অনৈতিক কাজ হয়,নিশ্চয় আমার ছোট ভাই খুনিদের কোন অপরাধ দেখে ফেলার কারণে আমার ছোট ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, আমি সরকার ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমার ছোট ভাই (আব্দুর রহমান) হত্যার বিচার চাই”।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুর রহমান,তিনি বলেন,“আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত,যে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে সে হয়ত জাতির কর্ণধার হতে পারতো, শিশু হত্যা জঘন্য অপরাধ, খুনিদের আটক করে বিচার আওতাধীন আনার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ”।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, তিনি বলেন,“আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি যেখানে নারী ও শিশুদের কোন অধিকার নেই,এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে,তাই আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, প্রশাসন যেন খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসে”।

ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইউএনও’র গরু বিতরন

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত গরু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিতরন করা হয়। রোববার সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গরু বিতরন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ জন ব্যক্তির মাঝে এ গরু বিতরন করা হয়। সুবিধাভোগীরা হলেন, বাবু লাল তির্গা, উপসি রানী,ধোপাই মুরমু, হৃদা কিসকু, কপাল হাসদা, ভুটু মুরমু, বাবুল মুরমু।

এর আগে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রাপ্ত সাহায্যের চেক বিতরন করা হয়। ওই দিন সদর উপজেলা পরিষদে ৬ আদিবাসীদের মাঝে সাহায্যের চেক বিতরণ করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

সুবিধাভোগীরা হলেন, রেংটা হাজদা, সিতা হাজদা, জগেশ্বর হাজদাকে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মৌসুমি হাজদাকে ৬০ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি ও স্বপ্না হাজদাকে ২৫ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৩নং গড়েয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়াড চোঙ্গাখাতা নিবাসী মোঃ মোশারফ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ শাহিনা বেগম র্দীঘ দিন যাবৎ মরন ব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুর,রংপুর ও সর্বশেষ ঢাকা জাতীয় ক্যান্সার গবেষনা ইনস্টিটি‌উট ও হাসপাতাল মহাখালী ঢাকায় চিকিৎসা করে আসিতেছেন । ইতিমধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন । তার চিকিৎসা সম্পন্ন করতে আরো প্রায় ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন , এ পর্যন্ত তার শেষ সম্বল বাড়ি ভিটা,হাস মুরগী, গরু ছাগল, ও একমাত্র উপার্জনের শেষ সম্বল কাপড় সেলাই মেশিন টি ও বিক্রয় করে চিকিৎসার কাজে ব্যায় করেছেন ।

অন্য দিকে একমাত্র পরিবারের উপার্জনকারী ব্যাক্তি মোশারফ হোসেন , চিকিৎসার ব্যায় ও তার ৫ ছেলের লেখাপড়া ,ভরন পোষণ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে । বর্তমানে অধ্যাপক ডাঃ শেখ গোলাম মোস্তফার কাছে চিকিৎসাধীন রয়েছেন , টাকার অভাবে টেষ্ট ও চিকিৎসা করাতে পারছেন না । তার স্বামী মোশারফ হোসেনের পক্ষে কিছুতেই এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না হওয়ার কারনে মৃত্যুর মুখে শাহিনা বেগম ।

মৃত্যুর পথ যাত্রী মরন ব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শাহিনা বেগম ও তার পরিবার সমাজের বিত্তবান ও দানশীল বা প্রতিষ্ঠানের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন । আপনাদের দোয়া ও দানেই পারে শাহিনার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ।

আর্থিক সাহায্যের পাঠানোর ঠিকানা মোঃ নূর ইসলাম ,বিকাশ নাম্বারঃ ০১৭৬১৩১৬৫০৪ অথবা মোছাঃ শাহিনা বেগম ,মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব নং—১৯৬০৫ ।

সর্বশেষ আপডেট...