26.3 C
Dhaka, BD
বুধবার, মে ১৪, ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার,সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বামনডাঙ্গা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাব (নপভপ) কর্তৃক আয়োজিত সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট ১৮/১৯ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় ( ৪:৩০) বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ফাইনাল খেলায় বামনডাঙ্গা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাবের সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে বামনডাঙ্গা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান শাওনের সঞ্চালনায় সমাপনী খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘এ সার্কেল (গাইবান্ধা) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল,

সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার শুভ উদ্বোধণ করেন,কার্য নির্বাহী সদস্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, খয়বর হোসেন সরকার মওলা।

এসময় উক্ত ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুন্দরগঞ্জ থানা,মোঃ তাজুল ইসলাম বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, মোঃ মাহফুজুর রহমান, সভাপতি বামনডাঙ্গা ব্যবসায়ী সমিতি, মোঃমাহাবুবার রহমান খান,দপ্তর সম্পাদক সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি, রাকিব মোঃ হাদিউল ইসলাম, সভাপতি বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি, রেজাউল আলম রেজা , সাবেক ফুটবলার দিলিপ কুমার , অধ্যক্ষ বামনডাঙ্গা শিশু নিকেতন এন্ড মডেল হাই স্কুল, মোঃ আবুল কাশেম ,এসআই বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, মোঃ জহুরুল ইসলাম ও শায়লা শারমিন প্রমূখ।এছাড়াও
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,মনিরুজ্জামান খান তপু ও আবদুল্লা আল মুহিত সহ বামনডাঙ্গা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাবের সকল সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত ফাইনাল খেলায় স্বাগতিক বামনডাঙ্গা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাব ও রংধনু স্পোটিং ক্লাব পীরগাছা নিজেদের মধ্যে লড়াই করেন।খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোল না হওয়ায় গোলশুন্য অবস্থায় শেষ হয়।পরে ট্রাইব্রেকারের মাধ্যমে বামনডাঙ্গা ক্রিকেট এন্ড ফুটবল ক্লাব রংধনু স্পোটিং ক্লাব পীরগাছা কে হারিয়ে নতুন বছরের দ্বিতীয়তম শিরোপাটি অর্জন করেন ।

ধামরাইয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি জোর করে ইটভাটায় বিক্রি,”এলাকাবাসির বিক্ষোভ” জানদিমু তবু জমি দিব না ।

ধামরাইয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি জোর করে ইটভাটায় বিক্রি,”এলাকাবাসির বিক্ষোভ” জানদিমু তবু জমি দিব না ।
ভাই আমরা গরিব মানুষ আমাদের কথা কে শুনে, কে বা আমাদের কষ্ট দেখে, এই যে ইটভাটার কারণে কয়েক বছর থেকে ঠিক মত ফসলি জমিতে ফসল হয় না । যার কারণে আমরা কুষকরা আজ নিঃস্ব হয়ে পরেছি।

এর পর তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে ইটভাটায় বিক্রি করিতেছে। আবার যতটুকু জমি চাষের আছে তাও আবার জোর করে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। বাধাঁ দেওয়া সত্বে ও তারা বাধাঁ মানতেছে না। অবশেষে নিরুউপায় হয়ে উপজেলা ইউএনও স্যারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কারণ ইটভাটার মালিকের অনেক টাকা পয়সা ও ক্ষমতা আছে,যার কারণে এলাকার কিছু প্রভাব শালী ব্যাক্তিরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জোর করে আমাদের কুষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসির লোকজন মিলে ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের গ্রামের শোলধন আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে আজ বেলা ১২ ঘটিকার সময় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এই সময় তারা শ্লোগান দেয় জান দিমু তবু জমির মাটি দেব না।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, সানোড়া ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ দেলোয়ার, আব্দুস সামাদ, মিলে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমি থেকে মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করিতেছে। এই সময় এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলে আমরা বার বার আব্দুল মান্নানের কাছে বলা সত্বে ও তারা আমাদের কথার কর্ণপাত না করে কৃষি জমি নষ্ট করে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে ইটভাটাই মাটি বিক্রি করিতেছে। এরই প্রতিবাদে আজকে আমরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করিতেছি। আমরা এর প্রতিবাদ করে যাব। তারা আর বলে মাটি কাটার ফলে এলাকার হাজার বিঘা তিন ফসলি জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহতসহ কৃষি জমি বিপর্য়য়ের মুখে পড়ার আশস্কায় দেখা দিয়েছে। এই ব্যাপারে এলাকাবাসি মিলে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এই ব্যাপরে জমির মালিক মোঃ মীর হোসেন বলেন, আমার এই মূহুর্তে নগদ টাকার দরকার তাই আমি আমার জমিতে থেকে মাটি বিক্রি করেছি। যারা আজ বাধা দিতেছে তারা কি আমাকে টাকা দিবে নাকি। আপনারা দেখেন যা পারেন তা করেন।
এই ব্যাপারে বিক্ষোভকারী শোলধন গ্রামের মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার ফলে আমাদের চার পাশের জমি গুলি ভেঙে পড়ার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে পড়তেছে। এতে আমাদের জমিতে কোন ফসল বপন করতে পারি না। এছাড়া আমাদের চলা চলের রাস্তাগুলি ভেঙে পড়ার কারণে আমাদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে অসুবিদায় পরতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই ফসলি জমির মাটি বিক্রি বন্ধ করার জন্য আমরা বিক্ষোভ করিতেছি।

এই ব্যাপারে শোলধন গ্রামের মোঃ আবুল বাশার বলেন, আমি মান্নান ভাইকে বার বার বলার পর সে আমার কথা না শুনে আমাদের কৃষি জমিথেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের দিন দিন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এই ব্যাপারে শোলধন গ্রামের মোঃ আলী হোসেন বলেন, যে ক্ষেতে মাটি কাটতেছে ঐ ক্ষেতের তিন দিকেই আমার জমি রয়েছে। মাটি কাটার ফলে আমার জমি ভেঙে পাশের জমিতে পড়িতেছে। তাই আমার প্রশাসনের কাছে জোর দাবি এই তিন ফসলি জমির মাটি কাটা যাতে বন্ধ হয়ে যায়।
এই ব্যাপারে মৃত আঃ গনির স্ত্রী তারাবান বিবি বলেন, আমার স্বামী ১৯৮৮ সালের বন্যায় মারা গেছে অনেক কষ্ট করে এই জমিটুকু চাষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আমি বেচে আছি। আমার এই জমি টুকু যদি ভেঙে যায় তাহলে আমার পথে বসতে হবে।

এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি আফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন কৃষি জমিতে ইটভাটা করাতে এক দিকে যেমন কৃষি জমির পরিমান দিন দিন কমে আসছে অন্যদিকে খ্যাদের সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভনা বাড়ছে।এছাড়া মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালায় দেখা দিচ্ছে। কারণ এই ইটভাটা তৈরির কারনে সব ধরণের ফলে গাছে ফল থকছে না। তাই অতি তাড়াতারি এই ইটভাটা তৈরি বন্ধ করতে হবে।
এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৃষি জমি থেকে জোর করে ইটভাটায় বিক্রির বিষয়ে আমি আগে জানিনা। তবে এই ব্যাপারে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমি জমির মালিককে নোটিশ করে তার বিরুদ্ধে যথা যথ আইনি ব্যাবস্থা নিব।

জাহালম ও তার পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিৎ।মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান

উচ্চ আদালতের নির্দেশে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতেই টাঙ্গাইলের ধুবড়িয়া এলাকার বাড়িতে ফেরেন জাহালম মিয়া।

এরপর থেকে পরিবারে বইছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস। সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করেন আশপাশের এলাকার মানুষজন ও স্বজনরা। খুশির জোয়ার বইলেও দুশ্চিন্তা বেড়েছে জাহালমের স্বজনদের।

তিন বছরে মামলা পরিচালনা করতে শেষ সম্বল হারানোর পাশাপাশি ঋণ করতে হয়েছে তাদের। দুর্বিসহ দিনগুলোর কথা জানান তার বৃদ্ধা মা।

পরিবারের সদস্যারা বলেন, এক সের করে চাল এনে খেয়েছি। কদুর পাতার জাও রান্না করে খেয়েছি। নুন দিয়ে ভিজিয়ে চাল রান্না করে খেয়েছি।

জাহালম মিয়া বলেন, আমার জীবন থেকে মূল্যবান তিনটা বছর হারিয়ে গেছে। এর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

এদিকে, সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের এক অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, জাহালম ও তার পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিৎ।

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, রাষ্ট্রকে জাহালম মিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আমরা পদক্ষেপ নেবো।

পাটকল শ্রমিক জাহালমের তিন বছর কারাভোগের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদকে এ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ ৩৩টি মামলার প্রকৃত আসামির নাম আবু সালেক হলেও জেল খাটতে হয় নিরাপরাধ জাহালমকে।

পরে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে দুদক ও সংশ্লিষ্টদের ডেকে পাঠান আদালত। পরে শুনানি শেষে আদালত জাহালমকে মুক্তির আদেশ দেন।

এ ধরনের ঘটনাকে জজ মিয়া কাহিনীর সাথে তুলনা করে আদালত।

যশোরের শার্শার পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র নির্যাতিত ।

যশোর জেলার শার্শা উপজেলার সরকারী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নবম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ মেহেদী হাসান সাগর(১৫)নির্যাতিত হয়েছে। স্কুল ড্রেস না পরার কারনে সাগরকে বেদম প্রহার করে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

সোমবার (৪/২/২০১৯ইং) তারিখ সকালে সাগর স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক এ ঘটনা ঘটায় বলে ঐ ছাত্রের পিতা মহিনুর রহমান কান্না কন্ঠে অভিযোগ করেন। ইট ভাটার শ্রমিক গরীব পিতাঃ মহিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন অভাব-অনাটনের কারনে স্কুল ড্রেস বানানোর জন্য সাত দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়।

দুই দিন যেতে না যেতেই শুধুমাত্র স্কুল ড্রেসের মধ্য শার্ট পরে স্কুলে যাওয়ার কারনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্লাস রুম থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলের ল্যাব রুমের মধ্য অমানবিক নির্যাতন করে। এর আগে অনেক ছাত্রকে এভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নামে।

ছাত্রের পিতাঃ মহিনুর তার ছেলেকে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মÐলের কাছে নিয়ে যায়। ছাত্রের শরীরে তিনি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এ ব্যাপারে তিনি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে ছাত্রের পিতা মাতাকে আশ্বাস্থ করেন।

মোঃ মেহেদী হাসান সাগর নবম শ্রেনীর মানবিক শাখার ছাত্র। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ছাত্র সাগরকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের কারনে তার পিতা তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এর কাছে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আজ আমি স্কুলের কোন রুমে প্রবেশ করি নাই। এই কথা টুকু বলে তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তার পরেও অনেকবার ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

এধরনের শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতনের কারনে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুল বিমুখ হয়ে পড়েছে বলে অনেক অভিভাবকরা জানিয়েছেন। নাম না বলার শর্তে কয়েকজন অভিভাবকবৃন্দ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়মের কারনে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জেল পর্যন্ত খেটেছেন।

জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ ,ধামরাইয়ে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবার নিশ্চয়তা দিলেন ওসি ।

জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে ধামরাই থানা পুলিশের উদ্যোগে থানা প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। আজ সোমবারের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।

প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, মেয়র গোলাম কবির, এসি (ল্যান্ড) মো. নাহিদ হাসান, ওসি অপারেশন মাসুদুর রহমান প্রমূখ।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘গৌরবময় স্বাধীনতা নামের গ্রন্থটি এমপি বেনজীর আহমদের হাতে তুলে দেয়া হয়। ধামরাই বাসীকে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা দানের নিশ্চয়তা ব্যক্ত করে ওসি দীপক চন্দ্র সাহা। উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলর, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ছবি সংযুক্ত: ঢাকা জেলা পুলিশ প্রকাশিত গৌরবময় স্বাধীনতা নামের গ্রন্থটি এমপি বেনজীর আহমদের হাতে তুলে দিচ্ছেন ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ও ইউ এনও আবুল কালাম আজাদ।

শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন ও সহায়তা প্রদান ।

শিবগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন ও সহায়তা প্রদান ।

শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ বালিয়াদিঘি মধ্যপাড়া এলাকায় দিবাগত রাতে অগ্নিকান্ডে পাঁচটি বাড়ি পুড়ে যায় এবং আজ ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখ সকালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন, শীতবস্ত ও ৫টি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিবগঞ্জ জনাব চৌধুরী রওশন ইসলাম।

এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, শাহাবাজপুর; সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যবৃন্দ; গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শীতার্তদের পাশে রাজশাহী প্রেসক্লাব ।

মানুষ মানুষের জন্য’ শ্লোগানকে সামনে রেখে শীতার্তদের পাশে দাড়িয়েছে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।

আজ সোমবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুলকার নায়ন।

এ সময় রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং রাজশাহী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার পরিচালনায় আলোচনা রাখেন- কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট প্রশান্ত কুমার সাহা, গোলাম সারওয়ার, সেক্টর কামন্ডার ফোরাম রাজশাহী মহানগর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, জেলা ত্রাণ ও পূনবাসন কর্মকর্তা মো আমিনুল হক, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি পরিষদ সদস্য সালাউদ্দিন মিন্টু, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য অধ্যক্ষ প্রতাপ মৃধা, অধ্যক্ষ ইব্রাহিম হোসেন, মহানগর রিকশা ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাসুজ্জামান কাজলম । এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্মসম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, সাংবাদিক মোঃ শামসুল ইসলাম, নিহাল খান,সোমেন মন্ডল প্রমুখ ।

যশোরের নাভারনে ১ কেজি গাঁজা ১০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ আটক-১

যশোরের নাভারন ফাঁড়ি ঝিকরগাছা থেকে ১ কেজি গাঁজা ও ভারতীয় ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোছাঃ খাদিজা খাতুন(২৭)নামে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

আটক মাদক ব্যবসায়ী খাদিজা শার্শার শ্যামলাগাছি গ্রামের মোঃ বাবু হোসেনের স্ত্রী।

নাভারন ফাঁড়ি’র ইনচার্জ পলিটন মিয়া আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলামকে জানান, রবিবার যশোর বেনাপোল মহাসড়কের কলাগাছিতে যশোর গামী একটি যাত্রীবাহি বাস তল্লাশি কালে এক কেজি গাঁজা ও ১০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী খাদিজাকে আটক করি।

আটককৃত আসামীকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

বাণিজ্য মেলায় সারিকা পার্কে অটিজম শিশুদের ভীড় ।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সারিকা ফ্যান্টাসি আমাজিং ওয়ার্ল্ড পার্কে বিনামূল্যে বিভিন্ন রাইডে চড়ার সুযোগ পেয়ে ভীড় জমাচ্ছেন অটিজম ও প্রতিবন্ধি শিশুরা। স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরা তাদের অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের শিশুদের নিয়ে মেলায় আসছেন বিনোদন উপভোগ করতে।

আজ রোববার মেলা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চাইতে শিশু দর্শনার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মেলায়। এর মধ্যে অটিজম ও প্রতিবন্ধি শিশুদের উপস্থিতিও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো । মেলায় প্রবেশ করে বাম দিকে আসলে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের দিকে) দেখা যায় বাবা-মায়ের হাত ধরে উচ্ছল আনন্দে মেতে উঠছে শিশুরা। অটিজম শিশুদের আনন্দও দেখার মতো। বাবা-মা কে পাগল করে দিচ্ছে পার্ক কই? কখন মেলায় চড়বো।

কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জানতে পেরেছেন এখানে একটি পার্কে অটিজম শিশুদের বিনামূল্যে বিভিন্ন রাইডে চড়তে দেয়া হয়, যেখানে অন্য স্থানে অটিজম ও প্রতিবিিন্ধ শিশুদের রাইডে উঠায় বারণ। তাই তারা সেই পার্কের দিকেই যাচ্ছেন।সারিকা ফ্যান্টাসি ইমাজিং ওয়ার্ল্ড পার্কে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের চাইতে ভীড় যেন একটু বেশি।

পার্কটির প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেন, পার্কে অটিজম ও প্রতিবন্ধি শিশুদের ফ্রি রাইডে চড়ানো হয় তা আগে অনেকেই জানতেন না। ধীরে ধীরে প্রচার প্রচারণার কারণে অনেকেই জানতে পেরে আসছেন এখানে।

দীর্ঘদিন ধরেই অটিজম ও প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ করেন জানিয়ে পলাশ বলেন, আমি মানবতার জন্য কাজ করি। অটিজম শিশুরা অন্যান্য শিশুর মতো বিনোদনের সুযোগ পায় না বলেই তাদের জন্য আমি সুযোগ করে দিয়েছি।
কাজের অনুপ্রেরণার বিষয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের আদর্শ প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে এ কাজ করে যাচ্ছি।

সাভার , হেমায়েতপুরে চলছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি !

সাভারএ পথে পথে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পথচারী ও ব্যবসায়ীরা । চলতি পথে সড়কের মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। খুশি হয়ে ৫ টাকা ১০ টাকা দিলেও তা গ্রহণ করে না। দিতে হয় ন্যূনতম ২০ টাকার নোট । পথচারীদের দাবি হাতি কিভাবে বুঝবে টাকার হিসেব! এটা হাতি চালকের চতুর কৌশল । এ কৌশলেই বিভিন্ন হাট বাজারে ঢুকে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চলছে এ চাঁদাবাজি। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে টাকা আদায়ের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। হাতি শুঁড় দিয়ে মানুষ ও যানবাহন থামানোর কারণে ভুক্তভোগীরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বড় আকৃতির একটি হাতির পিঠে বসে আছে ১৫/১৭ বছর বয়সের এক যুবক । এ যুবককে পিঠে নিয়ে হেলেদুলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে শুঁড় উঁচু করে জানাচ্ছে সালাম। এ ছাড়া হাতি রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারীরা। সাভারের হেমায়েতপুর, ঋষিপাড়া , রাজফুলরাড়িয়া সহো সাভার উপজেলার ভিবিন্ন সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির এ দৃশ্য দেখা যায় নিয়মিত।

পথচারি রবিউল জানান, হাতিকে ২০ টাকা করে দিতে হবে। কারণ হাতি শুঁড় দিয়ে চেপে ধরছে। ২০ টাকার কম দিলে তা গ্রহণ করছে না। বড়চওনা বাজারের ব্যবসায়ী সুজাত আলী জানান, হাতি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ালে ক্রেতারা ভয়ে দোকানে ঢুকতে সাহস পান না। বিড়ম্বনা এড়াতে দোকান মালিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়।

সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও টাকা আদায় করছে হাতি। আর এর উদ্দেশ্য একটাই। তা হলো টাকা নেওয়া। আর টাকা পেলেই তা ধরিয়ে দিচ্ছে পিঠে বসা মালিকককে। এভাবেই দোকানে দোকানে সালাম দিয়ে আদায় করছে টাকা। দোকান মালিকদের কেউ ১০ টাকার কম দিলে ওই টাকা না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে হাতি। পরে টাকা পেয়ে শুঁড় দিয়ে ওই টাকা নিয়ে তার পিঠে বসা মালিককে ধরিয়ে দিচ্ছে। সেখান থেকে আরেক দোকানে গিয়ে একইভাবে টাকা আদায় করছে।

কেউ কেউ একে নিছক বিনোদন ভাবছেন। আবার কারো কারো অভিযোগ এটা একটা ঠান্ডা মাথার চাঁদাবাজি।

সর্বশেষ আপডেট...