ধামরাইয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি জোর করে ইটভাটায় বিক্রি,”এলাকাবাসির বিক্ষোভ” জানদিমু তবু জমি দিব না ।

Loading

ধামরাইয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি জোর করে ইটভাটায় বিক্রি,”এলাকাবাসির বিক্ষোভ” জানদিমু তবু জমি দিব না ।
ভাই আমরা গরিব মানুষ আমাদের কথা কে শুনে, কে বা আমাদের কষ্ট দেখে, এই যে ইটভাটার কারণে কয়েক বছর থেকে ঠিক মত ফসলি জমিতে ফসল হয় না । যার কারণে আমরা কুষকরা আজ নিঃস্ব হয়ে পরেছি।

এর পর তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে জোর করে ইটভাটায় বিক্রি করিতেছে। আবার যতটুকু জমি চাষের আছে তাও আবার জোর করে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। বাধাঁ দেওয়া সত্বে ও তারা বাধাঁ মানতেছে না। অবশেষে নিরুউপায় হয়ে উপজেলা ইউএনও স্যারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কারণ ইটভাটার মালিকের অনেক টাকা পয়সা ও ক্ষমতা আছে,যার কারণে এলাকার কিছু প্রভাব শালী ব্যাক্তিরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জোর করে আমাদের কুষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসির লোকজন মিলে ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের গ্রামের শোলধন আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে আজ বেলা ১২ ঘটিকার সময় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এই সময় তারা শ্লোগান দেয় জান দিমু তবু জমির মাটি দেব না।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, সানোড়া ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ দেলোয়ার, আব্দুস সামাদ, মিলে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমি থেকে মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করিতেছে। এই সময় এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলে আমরা বার বার আব্দুল মান্নানের কাছে বলা সত্বে ও তারা আমাদের কথার কর্ণপাত না করে কৃষি জমি নষ্ট করে এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে ইটভাটাই মাটি বিক্রি করিতেছে। এরই প্রতিবাদে আজকে আমরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করিতেছি। আমরা এর প্রতিবাদ করে যাব। তারা আর বলে মাটি কাটার ফলে এলাকার হাজার বিঘা তিন ফসলি জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহতসহ কৃষি জমি বিপর্য়য়ের মুখে পড়ার আশস্কায় দেখা দিয়েছে। এই ব্যাপারে এলাকাবাসি মিলে প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

এই ব্যাপরে জমির মালিক মোঃ মীর হোসেন বলেন, আমার এই মূহুর্তে নগদ টাকার দরকার তাই আমি আমার জমিতে থেকে মাটি বিক্রি করেছি। যারা আজ বাধা দিতেছে তারা কি আমাকে টাকা দিবে নাকি। আপনারা দেখেন যা পারেন তা করেন।
এই ব্যাপারে বিক্ষোভকারী শোলধন গ্রামের মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার ফলে আমাদের চার পাশের জমি গুলি ভেঙে পড়ার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে পড়তেছে। এতে আমাদের জমিতে কোন ফসল বপন করতে পারি না। এছাড়া আমাদের চলা চলের রাস্তাগুলি ভেঙে পড়ার কারণে আমাদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে অসুবিদায় পরতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই ফসলি জমির মাটি বিক্রি বন্ধ করার জন্য আমরা বিক্ষোভ করিতেছি।

এই ব্যাপারে শোলধন গ্রামের মোঃ আবুল বাশার বলেন, আমি মান্নান ভাইকে বার বার বলার পর সে আমার কথা না শুনে আমাদের কৃষি জমিথেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের দিন দিন ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এই ব্যাপারে শোলধন গ্রামের মোঃ আলী হোসেন বলেন, যে ক্ষেতে মাটি কাটতেছে ঐ ক্ষেতের তিন দিকেই আমার জমি রয়েছে। মাটি কাটার ফলে আমার জমি ভেঙে পাশের জমিতে পড়িতেছে। তাই আমার প্রশাসনের কাছে জোর দাবি এই তিন ফসলি জমির মাটি কাটা যাতে বন্ধ হয়ে যায়।
এই ব্যাপারে মৃত আঃ গনির স্ত্রী তারাবান বিবি বলেন, আমার স্বামী ১৯৮৮ সালের বন্যায় মারা গেছে অনেক কষ্ট করে এই জমিটুকু চাষ করে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আমি বেচে আছি। আমার এই জমি টুকু যদি ভেঙে যায় তাহলে আমার পথে বসতে হবে।

এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি আফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন কৃষি জমিতে ইটভাটা করাতে এক দিকে যেমন কৃষি জমির পরিমান দিন দিন কমে আসছে অন্যদিকে খ্যাদের সংকট দেখা দেওয়ার সম্ভনা বাড়ছে।এছাড়া মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালায় দেখা দিচ্ছে। কারণ এই ইটভাটা তৈরির কারনে সব ধরণের ফলে গাছে ফল থকছে না। তাই অতি তাড়াতারি এই ইটভাটা তৈরি বন্ধ করতে হবে।
এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৃষি জমি থেকে জোর করে ইটভাটায় বিক্রির বিষয়ে আমি আগে জানিনা। তবে এই ব্যাপারে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমি জমির মালিককে নোটিশ করে তার বিরুদ্ধে যথা যথ আইনি ব্যাবস্থা নিব।