26 C
Dhaka, BD
শুক্রবার, জুন ৬, ২০২৫

দুইদিন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুইদিন মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাঠানো এক নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশে কার্যত সব মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে ২৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকেল ৫টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সব ধরনের লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

তবে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা লেনদেনের সুযোগ রেখে ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল ৫টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সীমিত আকারে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস চালু রাখা যেতে পারে বলে ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

নাশকতা প্রতিরোধে ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ নামে কাজ শুরু করেছে পুলিশের একটি সমন্বিত ইউনিট।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে জামায়াত-বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির নামে একাধিক ফেসবুক একাউন্ট এবং পেইজ খুলছে। আর তাদের সহায়তা করতে দেশে সক্রিয় রয়েছে বেশক’টি গ্রুপ। এ ধরণের নাশকতা প্রতিরোধে ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ নামে কাজ শুরু করেছে পুলিশের একটি সমন্বিত ইউনিট।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাম দিয়ে খোলা হয় অন্তত ৫টি ভুয়া পেজ। যেখানে অনবরত ছড়ানো হচ্ছিলো মিথ্যা তথ্য এবং নানা ধরণের অপপ্রচার। শেষ পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের এই মিথ্যা ও অপপ্রচার রোধে বিবৃতি দিতে হয় আইএসপিআরকে। তারপরও বন্ধ হয়নি এধরণের তৎপরতা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া থেকে খোলা হচ্ছে এসব ভুয়া ফেসবুক পেজ।

নূরে আলম মিনা(পুলিশ সুপার) বলেন, ‘মনোবল ভাঙ্গার জন্যে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরির জন্যে তারা প্রচুর মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করছে এবং ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা জনগণকে আহ্বান জানাবো তারা যেন গুজবে কান না দেয়।’

মূলত নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা সৃষ্টি এবং জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্যই এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং অফিসার।

আবদুল মান্নান (বিভাগীয় কমিশনার) বলেন, ‘মানুষ যাতে কোন শঙ্কার মধ্যে, ভীতির মধ্যে না থাকে এর সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা করেছি।’

এদিকে ভুয়া পেজ খোলার মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারীদের শনাক্তের জন্য পুলিশের ‘সাইবার ওয়ারফেয়ার’ নামে একটি বিশেষ দল কাজ শুরু করেছে ।

মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান (কমিশনার) বলেন, ‘একটি টিম সার্বক্ষণিক ভাবে এগুলোর মনিটরিং করে থাকেন। গুজবগুলো যে সব সাইট থেকে আপলোড করা হয় সেগুলো শনাক্ত করে বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি।’

২০১৩ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পর তাকে চাঁদে দেখা গিয়েছে বলে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হয়। এতে সংঘাতে সারাদেশে মারা যায় অন্তত ১০জন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর রেল স্টেশনে মোহনগঞ্জগামী হাওড় এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শ্রীপুর স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী হাওড় এক্সপ্রেস গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছাকাছি যেতেই পেছনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। পরে শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে বগি দুটি উদ্ধার করলেও রেললাইন মেরামতের কাজ চলায় এখনও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। লাইন মেরামত হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

ধানের শীষের মিছিলে গুলি, আহত অর্ধশতাধিক

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের নির্বাচনী শেষ জনসভায় আসার পথে ধানের শীষের মিছিলে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এতে গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে জনসভায় আসার পথে অন্তত পাঁচটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল জানান, শেষ নির্বাচনী জনসভা ছিল শহরের শহীদ সরণির দলীয় কার্যালয়ের সামনে। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে জনসভায় যোগ দেয় ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পাহাড়তলি এলাকা থেকে একটি মিছিল জনসভায় যোগ দিতে আসার পথে কালুর দোকান এলাকায় পৌঁছালে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীরা বাধা দিলে গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান বলেন, একইভাবে শহরের কলাতলী, বাস টার্মিনাল, খুরুশকুল ব্রিজ এলাকা ও পিএমখালীর নয়াপাড়া এলাকায় ধানের শীষের মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় আটজনকে আটক করা হয়। আমাদের জনসভাকে কেন্দ্র করে শহরের খুরুশকুল ব্রিজ এলাকার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন গুলি বর্ষণ করে পুলিশ।

নির্বাচনী মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কাজল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের জনসভায় আসার পথে আওয়ামী লীগ হামলা করেনি, অথচ হামলা করেছে পুলিশ। যেন পুলিশই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। পুলিশের এমন আচরণ বেআইনি এবং তাদের পোশাকের শপথ ভঙ্গের সামিল।

ধানের শীষের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণের বিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। বিষয়টি জানিয়ে তার মোবাইলে এসএমএস পাঠালেও রিপ্লে দেননি তিনি।

হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা ইসির

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কায় সকল সরকারি ও সামরিক হাসপাতাল জরুরি সেবাদানের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সগুলোও স্ট্যান্ডবাই রাখতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) হেলালুদ্দীন আহমদ।

নির্দেশনা বলা হয়েছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ২৯, ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর তিনদিন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের সকল বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত এবং অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডবাই রাখতে হবে।

সংসদ নির্বাচনে প্রায় আট লাখ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সাত লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতি সংসদ নির্বাচনেই সহিংস কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। দলীয় কর্ম-সমর্থকের সঙ্গে সহিংসতায় নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকবলও আহত কিংবা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। দশম সংসদ নির্বাচনেও কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৩৫ জনকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় নেতারাও হামলার শিকার হয়েছেন। পুলিশের গুলিতেও কেউ কেউ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনে।

ইতোমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে যে সহিংসতা হয়েছে, তা নিয়ে তার দেশ উদ্বিগ্ন।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশ বিটিআরসির

মোবাইল ইন্টারনেটের থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার পর দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে এ নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে সারাদেশে টুজি সেবা চালু থাকবে।

গত ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ভোটের দিন বিকেল ৪টার পর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

ধীরগতির নেট ব্যবহার করতে চাইলে মোবাইল ফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে (সেটিং>কানেকশন>মোবাইল নেটওয়ার্ক>২জি অনলি) টুজি করে দিলে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মাওলানা আবদুল হাকিমের সংবাদ সম্মেলন

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী কারাবন্দি মাওলানা আব্দুল হাকিম এর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার সহধর্মিনী জাকিয়া জাবিন।
দেশের সর্বচ্চো আদালতের আদেশ থাকার পরও জামিনে মুক্তি পাননি বলে অভিযোগ করে কারাবন্দি মাওলানা আব্দুল হাকিমের স্ত্রী বলেন, ঠাকুরগাও -২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মাও.আব্দুল হাকিম তাঁকে গত ১নভেম্বর একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর ক্রমান্নয়ে ৭ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে সকল মামলায় জামিনে আছেন তিনি।
তার পরেও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ রয়েছে তাঁকে হয়রানি বা নতুন কোন মামলায় গ্রেফতার না করার জন্য।তার পরও নতুন নতুন মামলা হচ্ছে তাঁর নামে।সর্বচ্চো আদালতের কোন আদেশ মানা হচ্ছে না।
ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল হাকিম মিথ্যা মামলায় আবারও গ্রেফতার হতে পারে মর্মে ধারনা হলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর মহমান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো.আশরাফুল কামাল এর সমন্বয়ে গঠিত বেন্ঞ্চ আবেদনটি শুনেন এবং মন্জুর করেন।সেই সাথে আদেশ দেন যে,মাওলানা আব্দুল হাকিম এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে যদি নিদিষ্ট ক্রিমিনাল মামলা না থাকে তাহলে তাঁকে কোন ওয়ারেন্ট ছাড়া জেল থেকে বের হওয়ার সময় এবং নতুন কোন মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। এ আদেশটি গত ২৪ ডিসেম্বরে ঠাকুরগাওয়ে জেলা প্রশাসকসহ সকল দপ্তরে পৌছালেও আরো দুটি নতুন মামলায় শোন এরেস্ট দেখানোর চেস্টা করছে।এটি দেশের সর্বচ্চো আদালতকে অবমাননার সামিল বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের হাজীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে মাও.আব্দুল হাকিমের স্ত্রী জাকিয়া জাবিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, ধানের শীষের পক্ষের কোন লোককে জনসংযোগে যেতে দিচ্ছে না।নৌকা মার্কার লোকজন সাধারণ ভোটারদের ভয় ভিতী প্রদর্শন করছেন।নৌকা ছাড়া অন্য মার্কায় ভোট দিতে চাইলে ভোট সেন্টারে না যাওয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।ধানের শীষের লাগানো পোস্টার ছিড়ে দেওয়া হচ্ছে।পোস্টার ঝুলাতে দেওয়া হচ্ছে না।প্রচার মাইক ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে।লাহিড়ী মুশফিকুরের বাড়ীতে সুতলি, পোস্টার ও ব্যানার পুলিশের সহায়তায় নিয়ে আসা হয়। নতুন নতুন মামলা সৃষ্টি করে শত শত মানুষকে আসামী করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এসব কথা রিটার্নিং অফিসার, ইউএনও,ওসি ও বিজিবিকে বলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। কৃত্রিম আগুনের ঘটনা ঘটিয়ে শত শত আসামী করা হচ্ছে।
তিনি গণমাধ্যমে এসব বিষয় তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি ধানের শীষের পক্ষের সকল নেতা কর্মী সমর্থকগণকে পুলিশ প্রশাসন দ্বারা মিথ্যা মামলা হামলা,গ্রেফতার ও হয়রানী বন্ধের আহবান জানান। সেই সংগে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আদেশ মেনে মাও.আব্দুল হাকিমকে মুক্তি দেওয়ার আহবান জানান।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে মাও.আব্দুল হাকিমের ছেলে সিগবাতুল্লাহ ও তাঁর আইনজীবী জয়নাল আবেদিন উপস্থিত ছিল।

৩০ টিরও কম আসন পাবে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট

রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনের চেয়েও ভালো ফল করবে।

তিনি বলেন, সমর্থন না থাকায় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৩০ টিরও কম আসন পেতে পারে। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার-আরডিসি’র জনমত জরিপে দেখা গেছে, ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসন পেতে পারে।

তবে তাদের পূর্বাভাসের চেয়েও বিএনপি জোট কম আসন পাবে বলে মনে করেন জয়।

“আমরা সবাই মিলে সমৃদ্ধ ধামরাই গড়বো”আলী খান।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা 20 ধামরাই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদের পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন ধামরাই পৌরসভার যুবলীগ সহ- সভাপতি মোহাম্মদ আলী খান ও ৩ নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আদনান হোসেন।নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নৌকার প্রার্থী কে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা ধামরাইয়ের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত বেড়াচ্ছেন তারা সব মিলিয়ে নৌকার পক্ষে দিনরাত নির্ঘুম সময় পার করছেন। ধামরাই নেতাকর্মীরা প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বাজারে সকল শ্রেণীর পেশার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তুলে ধরছেন শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সফলতার কথা ধামরাই বাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ ভোটারদের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা সহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালায় প্রতিটি ভোটারের হাতে নৌকা মার্কায় প্রতি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। নির্বাচনের প্রচারণা বিষয়ে আলী খান বলেন আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক,আমার রাজনীতির গুরু সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ধামরাই মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদ। আমার একটাই দাবি ধামরাই মানুষ দেশের স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে,আমি সাধারন ভোটারদের প্রতি আহবান করব 30 তারিখ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জননেতা আলহাজ্ব বেনজির আহমেদকে ধামরাই বাসির পাশে থেকে উন্নয়নমূলক কাজ ও সাধারন মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিন।ধামরাই উন্নয়ন চলমান রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিন আমার বিশ্বাস 30 তারিখ নির্বাচনে দল মত বিশেষে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে ধামরাই মানুষ জননেতা আলহাজ্ব বেনজির আহমেদকে জয়যুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আজ দিনটিই প্রচার প্রচারনার শেষ দিন ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আগাকীকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার ও সভা-সমাবেশ করার সুযোগ পাবেন। ফলে আজ দিনটিই হচ্ছে তাদের প্রচারের শেষ দিন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা করা যাবে না।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরপর ভোট গণনা শেষে ফল প্রকাশ করা হবে। এক প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮শ’র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন। বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী অংশ নেয়ায় এবার একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

এদিকে নির্বাচনের জন্য জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপার।

গত দুই দিনে জেলায় জেলায় ব্যালাট পেপার পাঠিয়েছে ইসি। এর আগে ব্যালাট পেপার ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে স্টাম্প প্যাড, অফিসিয়িাল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্টাপ পিন ইত্যাদি সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা-৫, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। আগে থেকে তৈরি তালিকায় থাকা ৪৮ আসনের মধ্য থেকে এ ছয় আসন চূড়ান্ত করা হয়। ইতোমধ্যে ইভিএমের কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।