25 C
Dhaka, BD
সোমবার, মে ১৩, ২০২৪

লালপুরে বি,এন,পির মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অধ্যাপিকা কামরুন্নাহার শিরিন

নাহিদুল ইসলাম নাহিদ প্রতিনিধি সময়ের খবর ২৪

লালপুর,বাগাতিপাড়া নাটোর ১আসনে বি,এন,পির মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেগ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটল সাহেবের সহধর্মিণী অধ্যাপিকা কামরুন্নাহার শিরিন ২৮/১১/২০১৮ইং তারিখ সময় বিকেল তিনটায় তার মনোনয়নপত্র জমা দেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা বি,এন,পির সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন মাষ্টার ও লালপুর উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ পাপ্পু , গোপালপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কচি ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র নজরুল ইসলাম মোলাম যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল সহ ছাত্র দলের অসংখ্য নেতাকর্মী।

টেকনাফে সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে সন্দেহভাজন একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালিয়াপাড়ার বাঁধঘোনা এলাকার সৈকত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

তাঁর নাম মো. হানিফ (২৮)। তিনি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আলীরডেল এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে।

পুলিশের ধারণা, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাত থেকে এই গুলিবদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।

বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বাহারছড়ার বাঁধঘোনা এলাকায় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সিদ্দিক তাঁর পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সূত্র বলছে, নিহত মো. হানিফের শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, দুই শিক্ষক নিহত

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মোল্লাহাট উপজেলার জয়ডিহি কাহালপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই স্কুলশিক্ষক মারা যান।

নিহত শিক্ষক দুজন হলেন মোল্লাহাট উপজেলার সরোসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দুলাল (৪৫) ও একই উপজেলার সরোসপুর দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাহারুল আলম মোল্লা (৪৩)। তাঁদের বাড়ি সরোসপুর গ্রামে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বলেন, মোল্লাহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দুই শিক্ষক। গোপালগঞ্জ থেকে খুলনাগামী একটি ট্রাক মহাসড়কের ওই এলাকায় পৌঁছে একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত হন। চালক ট্রাক নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পুলিশ বলছে, ট্রাকটিকে শনাক্ত করতে কাজ চলছে। লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

একের পর এক সুবিধা সরকারি চাকুরেদের

বেতন বৃদ্ধি, বাড়ি-গাড়ি কিনতে ঋণসুবিধা, পদোন্নতি, অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারে নমনীয়তাসহ একের পর এক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন ও পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। প্রাপ্তির দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ।

সর্বশেষ, নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫ শতাংশ সরল সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা জানিয়েছে।

২০১৫ সালে বেতন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির পর কখনো শূন্যপদ ছাড়াই পদোন্নতি, বিনা সুদে গাড়ি কেনার ব্যবস্থা, স্বল্প সুদে ফ্ল্যাট কেনা বা বাড়ি করার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। জাতীয় সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিধান রেখে ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনের ওই ধারাটিকে বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী বলে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ, একই অপরাধে জড়িত হলে সাধারণ নাগরিক থেকে জনপ্রতিনিধি—সবাইকে অনুমতি ছাড়াই গ্রেপ্তার করা যাবে। আর অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হলে সরকারের অনুমোদন লাগবে।

অবশ্য বর্তমান ও সাবেক একাধিক আমলা প্রথম আলোকে বলেছেন, অনেক সময় সরকারি আদেশ বা আদালতের আদেশ কার্যকর করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হেনস্তা ও মিথ্যা মামলার শিকার হন। এ রকম পরিস্থিতিতে সরকারি কাজ করার জন্য একধরনের সুরক্ষা থাকতে হবে। তাঁদের যুক্তি, অভিযোগপত্র গৃহীত হলে তো গ্রেপ্তার এবং দণ্ডিত হলে শাস্তিও দেওয়া যাবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন স্বল্পমেয়াদি সংসদের শেষ অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে অনুমোদিত হওয়ায় তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সাময়িক সুবিধার জন্য কি না, সেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

বেতন বৃদ্ধি
বর্তমানে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যাংকসহ সব মিলিয়ে প্রায় ২১ লাখ কর্মচারী রয়েছেন। ২০১৫ সালে তাঁদের মূল বেতন গ্রেড ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ বাড়ানো হয়। নতুন কাঠামো অনুযায়ী, প্রথম গ্রেডে সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত)। আর ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন মূল বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা। আগে সরকারি কর্মচারীরা সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১০০ টাকা মূল বেতন পেতেন।

এমপিওভুক্তরাও পেলেন বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির সুবিধা
সরকারের শেষ সময়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরও মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি এবং ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পদ-পদোন্নতির সুবিধা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ২০১২ সাল থেকে জনপ্রশাসনে ‘ঢালাও’ পদ ও পদোন্নতি দেওয়া শুরু হয়। ওই বছর সচিবদের এক ধাপ ওপরে ‘জ্যেষ্ঠ সচিব’ নামে জনপ্রশাসনে আটটি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। এখন সরকারে ১১ জন জ্যেষ্ঠ সচিব রয়েছেন। পরে পুলিশের মহাপরিদর্শকের পদটিও জ্যেষ্ঠ সচিবের পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, বর্তমানে অতিরিক্ত সচিবের নিয়মিত (ডিউটি) পদ আছে ১২১টি। গত ৩০ আগস্ট এই পদের বিপরীতে ১৬০ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দেওয়ায় ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে কর্মকর্তা হয়েছেন ৬১৪ জন। যুগ্ম সচিবের নিয়মিত পদ আছে ৪৩০টি। সম্প্রতি ১৫৪ জন উপসচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই পদে মোট কর্মকর্তা হয়েছেন ৭৫৯ জন। উপসচিবের নিয়মিত পদ আছে ১ হাজার ৬টি। এ পদের বিপরীতে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ১ হাজার ৬০৩ জন। এর মধ্যেই গত ২৪ অক্টোবর ২৫৬ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে উপসচিব করা হয়। এখন এই পদে কর্মকর্তার সংখ্যা হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের মতো পুলিশ ক্যাডারেও সুপারনিউমারারি (সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি) পদ সৃষ্টি করে সম্প্রতি ২৩০টি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শূন্য থাকা আরও ৫টি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

অন্যান্য ক্যাডারের একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনে যেভাবে পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা অন্যান্য ক্যাডারের কর্মচারীদের দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য শিক্ষা ক্যাডারে প্রায়ই পদোন্নতি হচ্ছে। এ ছাড়া ১৩ নভেম্বর বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারে একীভূত করায় এখন এই ক্যাডারের কর্মকর্তারাও প্রশাসন ক্যাডারের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বাড়ি-গাড়ির সুবিধা
বেতন বৃদ্ধির কারণে সরকারি কর্মচারীরা খুশিই ছিলেন। তার ওপর শেষ সময়ে এসে তাঁদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এর পেছনে সংসদ নির্বাচন এবং নীতিনির্ধারকের পরিকল্পনা ছিল। আগে শুধু যুগ্ম সচিব পর্যন্ত কর্মকর্তারা গাড়ির সুবিধা পেতেন। সবাইকে গাড়ি দিতে না পেরে প্রথমে ২৫ লাখ টাকা করে, পরে তা বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এখন উপসচিবেরাও গাড়ির জন্য সরকার থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা করে ঋণ পাচ্ছেন। সম্প্রতি সরকার বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করছে। গত সেপ্টেম্বরে এর সঙ্গে আরেকটি সুবিধা যুক্ত করা হয়। চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মচারী মারা গেলে ওই কর্মচারীর উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে সরকার আর ঋণের টাকার আসল, সুদ ও দণ্ডসুদ কিছুই ফেরত নেবে না। কোনো কর্মচারী পঙ্গু হয়ে অবসরে গেলেও একই সুবিধা পাবেন।

আবার যাঁরা পেনশনের পুরো টাকা তুলে নিয়েছেন, অবসরের তারিখ থেকে ১৫ বছর পার হলে তাঁদেরও মাসিক ভিত্তিতে আবার পেনশন দেবে সরকার। শুধু তা-ই নয়, প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্টও (বার্ষিক বৃদ্ধি) পাবেন তাঁরা। প্রবীণ নাগরিকদের এই সুবিধাটিকে অবশ্য অনেকেই ইতিবাচক বলছেন।

আরও সুবিধা
মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সব সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মচারীদের বাসায় আগে বাবুর্চি ও নিরাপত্তা প্রহরী থাকলেও গত বছর সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, বাবুর্চি ও নিরাপত্তা প্রহরীর বদলে সচিবেরা এখন ১৬ হাজার করে প্রতি মাসে মোট ৩২ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। গত জুনে সচিবদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা করে মোবাইল ফোন কেনা এবং ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ হিসেবে মাসে ৩ হাজার ৮০০ টাকা করে বিল দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। আগস্ট থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের ১০ম থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীদের জন্য মাসিক ঝুঁকি ভাতা এবং একই মাসে পুলিশ পরিদর্শকদের জন্য ‘বিশেষ ভাতা’ চালু করা হয়।

পত্রিকার ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

প্রথম আলোসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার ওয়েবসাইটের আদলে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-২।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে র‍্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

খুদে বার্তায় বলা হয়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানায়নি র‍্যাব।। তাঁদের কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাও জানানো হয়নি।

সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে র‌্যাবের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।

প্রথম আলোসহ বিভিন্ন নামে ভুয়া ওয়েবসাইট খোলার অভিযোগে আগে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব জানায়, গত শনিবার রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে এনামুল হক নামের একজনকে তাঁরা গ্রেপ্তার করে। এনামুল নিজেকে পিএইচডি গবেষক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।

বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম: ইইউ

সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল বলেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সক্ষম বাংলাদেশ সরকার। এ কারণে এ নির্বাচনে ইইউ পার্লামেন্ট কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না।

গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের রক্ষণশীল সদস্য রুপার্ট ম্যাথুস বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু জেনেছি তাতে আমি আস্থাশীল, এই দেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’ তিনি বলেন, আসন্ন এই নির্বাচনে ইইউ পার্লামেন্ট কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না কারণ, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট বিশ্বাস করে বাংলাদেশ নিজের মতো করেই নির্বাচনী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভালোভাবেই প্রস্তুত।

বাজেট বরাদ্দ না থাকায় ইইউ পার্লামেন্ট পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না, এ ধারণা নাকচ করে ম্যাথুস বলেন, ইইউ পার্লামেন্ট পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে এ বিষয়ে তারা বাজেট বরাদ্দ দিত। তিনি বলেন, ‘ইইউ পার্লামেন্ট মনে করে বাংলাদেশ নিজস্ব আইনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম। তাই আমরা পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রয়োজন মনে করছি না।’

বিশ্বব্যাপী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ইইউ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের কথা উল্লেখ করে ম্যাথুস বলেন, তাঁদের মতামত অনুযায়ী বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। তিনি বলেন, তাঁর দল সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, সাধারণ জনগণসহ বাংলাদেশের অনেক লোকের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

ম্যাথুস আরও বলেন, ‘নির্বাচন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সামাজিক, নারীর ক্ষমতায়ন, সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে আমরা এখানে এসেছি।’

পর্তুগালের পার্লামেন্টের সদস্য জোয়াও পেদ্রো গুইমারেস বলেন, তাঁর দেশ ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। সফরটি বাংলাদেশ সম্পর্কে এই ভুল ভেঙে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি এ দেশ সত্যিই চমৎকার।’ বিশ্বের কাছে সত্যিকারের বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘শিল্পক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি ভালো উদাহরণ। বাংলাদেশ এমন একটি চমৎকার দেশ যেখানে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় এবং শিল্প ও এর শ্রমিকদের অবস্থান বিশ্বমানের।’

প্রতিনিধিদলে আরও আছেন ইতালির ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য ফ্লুভিও মার্টুসিয়েলো এবং আলবার্তে সিরিও, পর্তুগিজ পার্লামেন্টের সদস্য সান্দ্রা ক্রিস্টিনা ডি সিকিওরোস পিরিয়ারা এবং যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিটির সদস্য মাদি শর্মা। তাঁরা বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। একটি জনবহুল দেশ কীভাবে গণতান্ত্রিক চেতনা অক্ষুণ্ন রেখে স্বল্প সময়ে এগিয়ে যেতে পারে, বাংলাদেশ সত্যিই বিশ্বকে তা শিখিয়েছে।

আ.লীগের সাবেক সাংসদ রনি বিএনপিতে

আ.লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগদান করেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রনি বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

রনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তাঁকে।
যোগদানের সময় গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সজ্ঞানে ও সুস্থ শরীরে চিন্তাভাবনা করে আমার যে বর্তমান দল আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদান করলাম। আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি, আমার বোধ, বুদ্ধি, বিশ্বাস, শক্তি এবং সামর্থ্য দিয়ে সর্বোচ্চ এই দলের জন্য কাজ করব। এই দলের মাধ্যমে যাঁরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী এবং সমর্থক আছেন, তাঁদের সেবা করব। তার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমি এখানে এসেছি।’

গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে রাজনীতির যে অবস্থা এখানে ক্ষমতাসীন একটা দল থেকে একজন সাবেক সংসদ সদস্য যেভাবে হোক আলোচিত ও সমালোচিত। তাঁর জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে আসা শুধু সাধারণ ঘটনা নয়। এর সঙ্গে শুধু মনোনয়ন জড়িত নয়, আরও অনেক কিছু জড়িত। আমরা যারা রাজনীতি করি সকলের মন-মস্তিষ্কে নির্বাচন, মনোনয়ন পাওয়া এবং এমপি হওয়ার স্বপ্ন থাকে। আমি যদি বলি এই স্বপ্ন আমার নেই এবং এই স্বপ্ন ছাড়া এখানে এসেছি, তা হলে এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আবার এই স্বপ্নের জন্য এখানে এসেছি তা ভঙ্গ হলে এখানে থাকব না, এটাও ঠিক না। আমি এখানে মৃত্যু পর্যন্ত থাকব।’

গোলাম মাওলা রনিকে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের হৃদয় স্পন্দিত হয়েছে। জনগণের প্রিয় মানুষ, গণতন্ত্রের সংগ্রামের পেছনে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে তিনি (রনি) আজ গণমানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমি তাঁকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

গোলাম মাওলা রনিকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সময় হলে জানতে পারবেন। দল তাঁকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের মধ্যে আসন নিয়ে বোঝাপড়া হচ্ছে। আসন বিন্যাস করা হচ্ছে। এই কারণে একটু সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক আসনে একাধিক প্রার্থী দিচ্ছি। কারণ কোনো কারণে একজনের প্রার্থিতা বাতিল হলে যেন সেটা খালি না থাকে।’

শরীর ঠিক রাখতে অ্যাপ

আপনার স্মার্টফোন অনেকভাবেই আপনাকে সুস্থ ও সতেজ থাকতে সাহায্য করবে। এ সময়ের স্মার্টফোনগুলোতে বিভিন্ন রকমের সেন্সর থাকে, সেগুলোকে ব্যবহার করে নানা অ্যাপ বানানো হয়েছে, যেগুলো শরীরচর্চা, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যেমন: ওজন কমানো, পেশি বৃদ্ধি, অথবা সুস্বাস্থ্য জীবনধারণে সাহায্য করে যাচ্ছে। অনেক অ্যাপ আবার দৈনিক রুটিন মাফিক কাজে সাহায্য করে। এমন কিছু কাজের অ্যাপ নিয়েই এই আলোচনা।

 গুগল ফিট

গুগল ফিট ওয়ার্কআউট অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজের। এটা ব্যবহারকারীর বিভিন্ন কাজকর্ম অনুসরণ করে। মোবাইল ফোন থেকে সেন্সরের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে ফিটনেস অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করে রাখে। এটা আপনার গতি, রুট, উচ্চতা, শক্তি খেয়াল করে এবং আপনার চলন্ত অবস্থা, হাঁটা–চলার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরে। চাইলেই আপনার পছন্দমতো কার্যক্রম সেট করে রাখতে পারবেন। আপনি কতক্ষণ হাঁটবেন, কোন সময়ে হাঁটবেন, সব সেট করে রাখা যাবে। গুগলের বানানো অ্যাপটি চাইলেই কোনো অ্যাড ছাড়া প্লে-স্টোর থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

 ম্যাপ মাই রান

আপনার কোনো অ্যাকটিভিটি ট্রাকার কিনতে হবে না, যদি না আপনি ম্যাপ মাই রান অ্যাপ ব্যবহার করেন সকালের জগিংয়ের সময়। বিনা মূল্যের এ অ্যাপটি ফোনের জিপিএসকে ব্যবহার করে আপনার অ্যাকটিভিটি ট্র্যাক করে। আপনার কর্মক্ষমতা, ওয়ার্কআউটের সব খবরাখবর পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইফোন থেকে।

 রানট্যাস্টিক রানিং ডিসটেন্স অ্যান্ড ফিটনেস

রানট্যাস্টিক ফিটনেস ট্র্যাকার অ্যাপগুলোর মধ্যে উপকারী যাঁরা প্রত্যহ শরীরচর্চা করে থাকেন। এটি আপনার চলমান হাঁটা, বাইকিং এবং জগিং রুটগুলো জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করে। এই ট্র্যাকের তথ্য ব্যবহার করে রানট্যাস্টিক আপনার অগ্রগতি–সংক্রান্ত বিস্তারিত গ্রাফ এবং টেবিল তৈরি করে দেখায়। আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনকে ট্রেডমিল বা অন্যান্য জিম সরঞ্জামের সঙ্গেও ব্যবহার করতে পারবেন। তা ছাড়া এতে থাকা ভয়েস কোচ, লাইভ ট্র্যাকিং বা চিয়ারিংকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আপনার প্রত্যহ হাঁটার লক্ষ্যও সেট করে রাখতে পারবেন।

চাইলেই আপনি আপনার সফলতার গল্প ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করতে পারবেন। অ্যাপটি বিনা মূল্যেই ব্যবহার করতে পারবেন আর ইন-অ্যাপের মাধ্যমে কিনলে বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।

 রানকিপার

রানকিপার অ্যান্ড্রয়েডে চলা যন্ত্রের জন্য সব বৈশিষ্ট্যযুক্ত ফিটনেস ট্র্যাকার অ্যাপ্লিকেশন। এর আছে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী।

ফিটনেস ক্রিয়াকলাপগুলো ট্র্যাক করতে এবং তুলনামূলক ফলাফল দেওয়ার জন্য এটিও ফোনের জিপিএস থেকে ডাটা নেয়।

রানকিপার চলমান গতি, সাইক্লিং গতি, রুট দূরত্ব, উচ্চতা, এবং উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে ক্যালরি কমানো ও গণনা করতে পারে।

আর ব্যবহারকারী তাঁর সব কার্যক্রমের বিস্তারিত ইতিহাস এতে দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও আপনি প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা বা নানান ধরনের ওয়ার্কআউট পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন এই অ্যাপে। আবার অডিও কোচিং দিয়ে নিজেই তৈরি করতে পারেন।

অ্যাপটি বিনা মূল্যেও ব্যবহার করা যাবে। তা না হলে বিজ্ঞাপনমুক্ত ব্যবহার করতে চাইলে কিনে ব্যবহার করতে হবে। আপনি আপনার সব পরিসংখ্যানকে ট্র্যাক করতে পারবেন, স্মার্টওয়াচ বা অন্যান্য ফিটনেস ট্রাকার যন্ত্রকে এর সঙ্গে সংযোগ করে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সব ধরনের উইজেট সমর্থন করে।

এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য আছে বেশ কিছু ওয়ার্কআউট অ্যাপ; ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ, ওয়ার্কআউট টাইমার, ১০০ পুশআপ অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য আছে বেশ কিছু ওয়ার্কআউট অ্যাপ; রানট্যাস্টিক রানিং ডিসটেন্স অ্যান্ড ফিটনেস, ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ, ওয়ার্কআউট টাইমার, ১০০ পুশআপ, রানকিপার অ্যাপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

শৈলীর শৈলী

ধূপের হালকা ধোঁয়া থেকে অবয়বটা হঠাৎ স্পষ্ট হয়ে আসে। তাহমিনা খান। কাছের মানুষদের কাছে তিনি শৈলী নামেই পরিচিত। দেখা দিলেন যেন ঠিক নিজের ক্যারিয়ারের মতো। এরপর শৈলীর বারান্দায় বসে সন্ধ্যার চায়ের আড্ডায় জানা গেল তাঁর স্পষ্ট হয়ে ওঠার গল্প।
অবশ্য স্পষ্ট তিনি প্রথম থেকেই ছিলেন, যখন থেকে ‘শৈলী’ শুরু করেছেন। শৈলী মানে তাঁর গয়নার স্টুডিও। তিনি বলেন ‘শৈলী ক্রিয়েটিভ স্টুডিও।’ অবশ্য শুধু গয়না নয়, মায়ের তৈরি আচার আর নিজের নকশার শাড়িও রেখেছেন শৈলীতে। আরও আছে ছোটদের মজার সব বই। পাওয়া যাবে রূপচর্চার কিছু ভেষজ পণ্য। এ উদ্যোগের শুরু অনলাইনে। নির্দিষ্ট করে বললে ফেসবুকে।

স্কুলে পড়ার সময় কিশোর বয়সে ঘরে বসে বানালেন একটা পুঁতির গয়না। যখন সবার প্রশংসার বন্যায় ভেসে গেলেন, ভালোবেসে ফেললেন নিজের এই গুণটাকে। এরপর দাদির জন্য একটা শাড়িতে সুই-সুতার কাজ করে তাক লাগিয়ে দিলেন। পরে সাংবাদিক আর কথাবন্ধু হয়ে কাজ করলেও মন পড়ে ছিল গয়না নকশা করার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ। চাকরিচুকরি ছেড়ে দিয়ে লেগে গেলেন স্বপ্নপূরণে।

২০০৬ সাল। তখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব কম, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আর অনলাইন ব্যবসার কথা কয়জনই-বা ভেবেছেন তখন? তাহমিনা খান ভেবেছিলেন। শখের ভালোবাসাটাকে পুঁজি করে উপার্জনের উপায় বের করলেন। গয়না বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করা শুরু করলেন। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের গয়নার প্রতি খুব ঝোঁক তাঁর। তাই পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে তাদের সঙ্গে মিশে তাদের গয়না সম্পর্কে জেনেছেন, শিখেছেন। এরপর নিজের নকশায় গড়তে শুরু করেছেন ওই সব গয়নাও। মাটি, পুঁতির পরে ধীরে ধীরে যোগ করেছেন সোনা ও রুপার গয়না।
জের ডিজাইন স্টুডিওতে তাহমিনা খান, এ উদ্যোগের শুরু হয়েছিল অনলাইনে। ছবি: খালেদ সরকার ২০০৯ সালে অনলাইনের পাশাপাশি প্রথমবার শৈলীর স্টুডিও উদ্বোধন করেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এখন তাঁর মোট পাঁচটি স্টুডিও আছে। সম্প্রতি লালমাটিয়ায় খুলেছেন সর্বশেষটি।

তাহমিনা খানের স্টুডিওগুলোতে কাজ করছেন মোট ৩৭ জন কর্মী। বেশির ভাগই নারী। কেন? তাহমিনা খান নিজেকে সব সময় মানুষ ভেবেছেন, নারী নয়। কিন্তু উপলব্ধি করেছেন, নারীরা পিছিয়ে আছেন। তাই নিজের ভিত শক্ত করে সুযোগ করে দিচ্ছেন আরও নারীদের।

নারীরা উদ্যোক্তা হতে গেলে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হন। এ কথা মেনে নিলেও তাহমিনা খান বলেন, ‘সমস্যাকে সমস্যা মনে করা যাবে না। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যে যত বেশি পড়বে, তত বেশি আত্মবিশ্বাসী হবে বলে মনে করি।’ ফেসবুক পেজ দিয়ে ছোট ব্যবসায় উদ্যোগ শুরু করা বেশ কার্যকর বলে মনে করেন তাহমিনা খান। তিনি বলেন, ফেসবুকে বন্ধুদের মাধ্যমে পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে পণ্যের মান আর সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো আপস করা যাবে না।
তাহমিনা মনে করেন, দেশ যখন একজন মানুষের কাজের স্বীকৃতি দেয়, তখন উৎসাহ আরও বেড়ে যায়।

উত্তরাধিকারের পটভূমি

এখনকার প্রতিটি গেম আধুনিক চিত্রকলার মতো। প্রত্যেকে তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে। ‘অ্যাসাসিন্স ক্রিড ওডিসি’ সে রকম একটি গেম। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩১ সালের দিকে অ্যাথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে পেলোপোনেসিয়ান যুদ্ধের কাল্পনিক ইতিহাস নিয়ে এটি এই গেম সিরিজের একাদশতম কিস্তি। যেখানে খেলোয়াড়েরা একজন পুরুষ বা নারী ভাড়াটে সৈন্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। যারা উভয় পক্ষের জন্য লড়াই করে, কারণ তাদের কাছে তাদের পরিবারকে একত্র করাই একটা মুখ্য কাজ। এবার আগের গেমগুলোর চেয়ে মূল ভূমিকা পালনকারীর উপাদান আরও বেশি উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি খেলাটিতে কথোপকথনের বিকল্প, অনুসন্ধান শাখা এবং একাধিক সমাপ্তি রয়েছে, যা গেমটিকে ভিন্নমাত্রার নান্দনিকতার ছোঁয়া দিয়েছে।

গেমার চাইলেই খেলার প্রধান চরিত্রের লিঙ্গ বেছে নিতে পারবে, অ্যালেক্সিয়াস বা ক্যাসদ্রার ভূমিকায় গ্রহণ করে গেমটি খেলা যাবে। আর দুজনেই ভাড়াটে সৈনিক এবং স্পার্টান রাজা লিওনিদাস আইয়ের বংশধর। একই সঙ্গে তারা রাজার ভাঙা বর্শার উত্তরাধিকারী, যার ব্লেডের তৈরি করা অস্ত্রের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য। এর পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তাদের বেশ কিছু নতুন ক্ষমতা উন্মুক্ত করতে হবে। যার সাহায্যে অ্যালেক্সিয়াস বা ক্যাসদ্রা নিজেকে একজন দক্ষ ও উন্নত যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। যে হবে আগের সিরিজের থেকে আর দ্রুতগতিসম্পন্ন ও কৌশলী। এর পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতার বারটি পূরণ হলে চারটি বিশেষ বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে ফেলতে পারেব। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে একটি বৃষ্টির মতো তির নিক্ষেপ এবং প্রতিপক্ষের বন্ধন ঠেকাতে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা, আর সেই সঙ্গে ওভারপায়ার গেমারকে যুদ্ধে অদ্ভুত কিছু শক্তিশালী ক্ষমতা ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এই গেমটি একটি গিয়ার সিস্টেমও রয়েছে, যা গেমারকে বিভিন্ন ধরনের বর্ম এবং সুবিধা সরবরাহ করে। অ্যাসাসিনের ক্রিড ওডিসিতে এবার নৌবাহিনীর যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার সাহায্যে গেমার হিলেনস্টিক যুগের যুদ্ধাপরাধীদের খোলা অ্যাক্সিয়ান সাগরে খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে।

পর্যালোচনাকারী, সংগ্রাহক সবার কাছে অ্যাসাসিন ক্রিড ওডিসি সব প্ল্যাটফর্মে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। ৮.৫/১০ রেটিং পেয়ে, অ্যাসাসিন্স ক্রিড ওডিসি আগের সাফল্যকে ধরে রেখেছে। তবে এটি উন্মুক্ত বিশ্বের দৃশ্যমান যুদ্ধ, গল্প সবকিছুর জন্য কিছুটা সমালোচনার মুখোমুখিও হয়েছে। গেমটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লেস্টেশন ৪, এক্সবক্স ১, এবং ৫ অক্টোবর ২০১৮-এ নিনটেন্ডো সুইচের জন্য বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাসে ফ্রান্সের সাইট জুইসভিডিওতে অ্যাসাসিন ক্রিড ওডিসি গেমের চোরাই সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছিল। এর ফলে গেমটির প্রকৃত প্রকাশক ইউবি সফট গেমটির আসল চেহারা দ্রুত প্রকাশ করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এত কিছু করেও গেম চোরদের আটকানো যায়নি, গেমের ওয়েবসাইট জেমৎসুতে গেমটির স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হয়ে যায় তার আগেই। কিন্তু এর কোনো কিছুই গেমটির ব্যাপক ব্যবসায়িক সফলতায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

সর্বশেষ আপডেট...