“ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও পণোদনা পাচ্ছেনা কাস্টমস কর্মকর্তারা”
নিজস্ব প্রতিবেদক:করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিলেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে দিন۔রাত কাজ করে যাচ্ছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা । লকডাউনের কারণে আমদানী রফতানী বন্ধ থাকলেও পূর্বে আমদানী হয়ে আসা গার্মেন্টস শিল্প ও অন্যন্য কারখানার কাচামাল এবং জরুরি প্রয়োজনে মেডিকেল ইকুইপমেন্টসহ কার্গো বিমানে আসা জরুরী পণ্য বিভিন্ন বন্দর থেকে খালাশ দেয়া হচ্ছে।এক্ষেত্রে ঢাকা কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস, বেনাপোলে কাস্টমস হাউস, শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।
কর্মকর্তারা জানান, ভ্যাট কমিশনারেট অফিস গুলিও ভ্যাট আদায়ের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা রেখে কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন তারা। লকডাউনের মধ্যেও চলতি মাসের ১২-১৫ এপ্রিল মাত্র চার দিনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব কর্মকর্তারা সরকারের রাজস্ব আদায় সহ অন্যান্য সেবা প্রদান করলেও সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজে এসব কর্মকর্তাদের জন্য কোনো রকম ঝুঁকি প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয় নাই ।
কর্মকর্তারা জানান, সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত অফিসে উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাদের। এয়ারপোর্ট ও হাঙ্গারগেটে টানা ১২ ঘন্টা ডিউটি করেও ট্রান্সপোর্ট সুবিধা না থাকায় এই লোকডাউনে তাদের আশা-যাওয়ায় বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
করোনাভাইরাসে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস, শ্রমিক, ব্যাংকার, ট্যুরিজম সহ বিভিন্ন সেক্টরে ঝুকি প্রনোদনা দিলেও কাষ্টমস, কাস্টমস ভ্যাট ও বন্দরকে প্রনোদনার আওতায় না রাখায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।