তালতলীতে মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাকে গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ১নং আসামীর আত্মসমর্পন পুলিশ বলছে গ্রেফতার
তালতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি ঃ বরগুনার তালতলীতে মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষন করায় ধর্ষন চেষ্টার মামলা হওয়ায় ১নম্বর আসামী এমাদুল (৩৫) বুধবার সকালে তালতলী থানায় এসে আত্মসমর্পন করে। পুলিশ দুপুরেই এমাদুলকে আদালতে সোপর্দ করে।
মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মাকে গণধর্ষণ ঘটনার ৮দিনের মাথায় গণমাধ্যমের সংবাদে ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ায় পুলিশ ওই নারীকে খবর দিয়ে এনে ১৮ঘন্টা থানায় আটকে রেখে ৩০ এপ্রিল ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা নেন।
গণধর্ষন ঘটনাটি ধর্ষন চেষ্টার মামলা হওয়ায় গণধর্ষনের খবরসহ ওই নারীর বক্তব্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হলে মামলার প্রধান আসামী মটরসাইকেল চালক জহিরুল আকনকে পটুয়াখালী র্যাব ৮ গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করে। মঙ্গলবার অপর আসামী নজরুলের আত্মসমর্পনের খবর পেয়ে পুলিশ সকিনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
এ পর্যন্ত গণধর্ষনের সাথে জড়িত ৫জনের ২জন গ্রেফতার ও ১জন আত্মসমর্পন করেছে। বুধবার বাকী আসামীদের আত্মসমর্পনের কথা থাকলেও থানা পুলিশের কৃতিত্ব অর্জনের জন্য এমাদুল একাই আত্মসমর্পন করেন। বাকীরাও আত্মসমর্পন করবে বলে সুত্রটি জানান।
মামলার ১নম্বর আসামী এমাদুলের স্ত্রী জানান, তার স্বামী এ মামলায় আসামী হওয়ায় নিজের ভুল বুজতে পেরে বুধবার সকালে থানায় এসে আত্মসমর্পন করেন। অপর ২ আসামী সোহাগ ও সাইদুলেরও থানায় আত্মসমর্পন করার কথা রয়েছে।
এদিকে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (আমতলী তালতলী সার্কেল) মো. মহরম আলী ওই ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
ওসি মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছে, ধর্ষন চেষ্টার মামলার ১নম্বর আসামী এমাদুলকে নিদ্রা এলাকা থেকে বুধবার ভোর রাত ৩টার দিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।