ধামরাইয়ে গার্মেন্টসকর্মীকে গরম খুন্তির ছ্যাকা দিল সাবেক স্বামী।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন (ধামরাই প্রতিনিধি) : ধামরাইয়ে শাপলা অক্তার(২৩) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীকে তার পাষন্ড স্বামী(সাবেক) গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে চোখ ও মুখে ঝলশে দিয়েছে।
ওই পাষন্ড স্বামীর নাম মোঃ জসিম উদ্দিন (২৭)। সে পেশায় একজন ভেকু ড্রাইভার।
পাষন্ড ওই স্বামী(সাবেক) মানিকগঞ্জ জেলার টেপড়া উলাইল এলাকার আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে। আজ থেকে প্রায় ৮বছর পূর্বে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিয়ে করেন শাপলা আক্তার(২৩) কে।
ওই সময়ে শাপলা আক্তার নাবালিকা(অপ্রাপ্ত বয়স্ক) ছিলেন। তাদের সাংসারিক জীবনকে আরো আনন্দময় করতে তাদের ঘরে জন্ম হয়েছে একটি কন্যা সন্তানের।
তারপরই সংসার জীবনে এক অশান্তির অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। তারই প্রেক্ষিতে অশান্তি থেকে বাচতে পাষন্ড স্বামী জসিম উদ্দিনকে শাপলা আক্তার তার ও তার পরিবারের মতামত নিয়ে তালাক প্রদান করে সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।
বাবার বাড়িতে মায়ের কাছে শিশু সন্তানকে রেখেই জীবিকার্জনের জন্য ধামরাইয়ের রাইজিং টেক্সটাইল লিমিটেডে চাকুরি করতে থাকেন। পাশাপাশি ওই পাষন্ড স্বামীর সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
দীর্ঘময় এই অশান্তির পরিসমাপ্তি কিছুটা লাঘব হলেও পাষন্ড স্বামী(যিনি বর্তমানে সাবেক) শাপলা আক্তারের পিছু ছাড়েনি।
আজ ১৫ই জুলাই(সোমবার) সকালে শাপলা আক্তারকে জোড় পূর্বক রাইজিং টেক্সটাইল লিমিটেডের সামনে থেকে ধরে স্বামীর বাসা(ভাড়া করা) কালামপুরে নিয়ে আসেন।
কালামপুর এলাকার সোলাইমান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় নিয়ে শাপলা আক্তারকে বেধরক মারপিট করে গরম খুন্তি দিয়ে শাপলা আক্তারের মুখে, গালে এবং বাম কানের নিচে ছ্যাকা দিয়ে শাপলা আক্তারকে ঝলশিয়ে দেয় ওই পাষন্ড সাবেক স্বামী।
একপর্যায়ে বাম চোখে ও গরম খুন্তির ছ্যাকা দিলে শাপলা আক্তার ডাকচিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় আশে পাশের লোকজন শাপলা আক্তারকে উদ্ধার করে হাসোতালে নিয়ে যান এবং পাষন্ড স্বামীকে ধরে পুলিশের কাছে সুপর্দ করেন।
এ বিষয়ে বিচারের দাবি ও মামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে শাপলা আক্তারকে সাথে নিয়ে তার মা ও ভাই ধামরাই থানা পুলিশের কাছে এসেছেন।
এ বিষয়ে শাপলা আক্তার বলেন,আমি এক বছর পূর্বেই তাকে(জসিম) তালাক দিয়েছি। তার সাথে বর্তমানে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তারপরও জসিম আমাকে এভাবে মেরেছে, আমি তার বিচার চাই।