মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: নৌ পরিবহন মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বেনাপোল স্থল বন্দর সেজেছে বসুন্ধরা গ্রুপের আটা ময়দা এবং সুজির বিজ্ঞাপনে।অবহেলিতভাবে পড়ে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর এর ছবি। আমরা জানি যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। যার নেতৃত্বে আমরা১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। যার ফলে আমাদের বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে সম্মানিত ভাবে এগিয়ে চলেছে। আমরা এও জানি, বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বেনাপোল স্থলবন্দরে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে পণ্য আদান প্রদানের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বৈধ পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল বন্ধ হয়ে থাকে। একটি দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্মানের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় তখনই যখন জাতি তার নেতার প্রতি সম্মান দেয়। অর্থাৎ দেশের প্রতিটি সরকারি দপ্তরে জাতির জনকের ছবি অতি সতর্কতার সহিত টানানো বা ঝুলানো হয়ে থাকে।কিন্তু বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ জাতির পিতাকে সম্পূর্ণভাবে অসম্মানিত করে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে পাশে ফেলে বসুন্ধরা গ্রæপের আটা ময়দা এবং সুজির বিজ্ঞাপন চিত্রকে প্রাধান্য করে রেখেছে।
যেটি জাতির জন্য খুবই অপমানজনক। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকার এবং কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষেই সম্ভব এই কাজ ঠিক করা।বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে পড়াই এর তীব্র প্রতিবাদ করলে বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠককে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে তাদেরকে বৈঠকের স্থান থেকে বের করে দেওয়া হয়। ফলে প্রতিমন্ত্রীর বন্দর পরিদর্শন এবং মন্ত্রীর দিক-নির্দেশনার বিষয় গুলি প্রচারে বাধা সৃষ্টি করা হয়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের এহনো অপমানজনক কর্মকান্ডে বেনাপোল ও শার্শার সকল সাংবাদিকবৃন্দ নিউজ প্রচার থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত রাখে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন ভাবে বিবৃতি প্রদান করেছেন।