ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি – বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন ।
হৃদয় মন্ডল ,ভূঞাপুর (টাংগাইল): টাংগাইলের ভূঞাপুরে নানা জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সম্মেলনে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা উৎসব মুখর পরিবেশে অংশগ্রহণ করেছে।নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে খুশি নেতা-কর্মীরা।
মাসুদুল হক মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি উদ্ভোদন করেন টাংগাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক,প্রধান বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।বিশেষ অতিথি মির্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষা দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক শামছুন নাহার চাপা,উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিশেষ বক্তা এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (জোয়াহের), স্বাগত বক্তা ছোট মনির এমপি। জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে, টাংগাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (জোয়াহের) পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদকে সভাপতি ও আঃ হামিদ ভোলাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করেন।
জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামীলীগ ১৬ বছর ধরে আহবায়ক কমিটি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সর্বশেষ গত ২০০৩ সালের ২১ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়।
এরপর বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত ও কোন্দল এবং নানা জটিলতার কারণে সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। সেই সময় কাউন্সিলরদের ভোটে বর্তমান আহ্বায়ক মাসুদুল হক মাসুদকে সভাপতি ও আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুতকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে মাসুদুল হকের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শামসুর রহমান খানের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালের ১৫ জুন কমিটি ভেঙে দেয়া হয়।
সে সময় বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেটকে আহবায়ক করে কমিটি গঠন করে। পরে ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হালিম দলীয় মনোনয়ন পান। এদিকে, কোন্দল নিরসনের জন্য ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি আব্দুল হালিমের স্থলে মাসুদুল হককে আবারো কমিটির আহবায়ক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আরো কয়েকবার মাসুদুল হককে কমিটির আহবায়ক করে উপজেলা আওয়ামীলীগ পরিচালিত হয়।
এই কমিটিও সম্মেলন করতে ব্যর্থ হতে হতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ১ নভেম্বর সম্মেলনরের চুড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল।