সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যাুরোঃ ইতোমধ্যে রাজশাহীর নয়নাভিরাম স্থান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইবাঁধ। মনোরম এই স্থানটি দেখতে শুধু রাজশাহীবাসী নয় ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষও। সম্প্রতি নগরীর এই স্থানটির সৌন্দর্য বর্ধনে হাতে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসুচি।
বাঁধটির পাশে তৈরি হচ্ছে হাইটেক পার্ক।পাশে রয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও ছোট ছোট আম গাছ।দোকান পাট।
ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় রাজশাহীর আই বাঁধ। রাজশাহীবাসীর পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা এখানে এসে ফেলেন প্রশান্তির নি:শ্বাস। পদ্মার পারে দীর্ঘ বাঁধ, নিচে বিস্তৃত নদির ছলছল জল, পরিকল্পিত রাস্তা আর সবুজ গাছ পালা যেন দর্শনার্থীদের নিয়ে যায় ভিন্ন এক জগতে।
কিন্তু করোনা কালিন সময়ে মানুষ মুক্ত বাতাস নিতে ছুটে আসছে দুর দুরান্ত থেকে। মহামারি করোনার কারনে ঘরে থাকার নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। রবিদিন সকাল থেকে শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমায় পদ্মার বিভিন্ন বাধে বিভিন্ন স্থানে। বেলা ১১টার পর ভিড় ক্রমে বাড়ে। দুপুরে রোদের প্রখরতায় অবশ্য ফাঁকা হয়ে যায়। বিকাল চারটার পর আবার ভিড় বাড়তে শুরু করে।
বিকাল চার টার পর থেকে প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় করে শত শত মানুষ আসছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক সংলগ্নো আই বাঁধে । এর মধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। তারা বাঁধের বিভিন্ন স্পটে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকে আড্ডা দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়েও। কেউ এসেছেন বন্ধু বান্ধবের সাথে।অনেক এর মুখে মাক্স নেই বসে আছে হাত ধরে পাশাপাশি ফটো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কয়েকজন নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন। তারা বলেন, এতো মানুষের সমাগম হবে জানলে আসতাম না।আর দুরত্ব বজাই রাখা সবার উচিত পাশাপাশি এভাবে বসা ঠিক হয় নি। কিন্তু এখানে এতো মানুষ আসবে তা ভাবতে পারিনি।
রাজশাহীর অনেক স্পট ফেলে আইবাঁধে কেনো এসেছেন? এক যুবকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেনো আসছি জানি না। তবে আসার জন্য দুঃখিত। আরেকজন বলেন, একটু দেখতে আসলাম রাস্তা-ঘাটের পরিবেশ কেমন। তবে আসাটা ঠিক হয়নি। এখানে বাসে আড্ডা দিচ্ছেন কেনো এমন প্রশ্নে এক ব্যক্তি বলেন, পদ্মা গ্রার্ডেন যাওয়া জন্য বের হয়েছি। তবে এখানে বসে অন্যয় করেছি। আমি এক্ষণি চলে যাচ্ছি।
এদিতে যাদের মুখে মাক্স নাই তাদের ধরে ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোট বসিয়ে ২০০/৩০০ টাকা জরিমানা করতে দেখা যায়। ছবি তুলতে নিষেদ করে ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে, প্রতি দিন রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকতো লোকে লোকারণ্য৷ কিন্তু এবছর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সেই চিত্র চোখে পড়েনা। নেই মানুষের সেই আমেজ। অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সেখাবে যাচ্ছে না জনগন ।