উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মানকিসুন্দর এলাকায় বিশখালি নদীর বিস্তির্ন চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, মানকিসুন্দর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারসহ এলাকার ৮জন কৃষক তরমুজ চাষে উদ্বত হয়ে অন্যের কাছ থেকে ১০ একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজের আবাদ শুরু করেন। লাভের আশায় চড়া সুদে লাখ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে তরমুজের চাষ করা সুরু করেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক পূর্নিমার প্রভাবে আকষ্মিক জোয়ারের পানিতে ভেসে যাচ্ছে তাদের স্বপ্ন। উপক্রম হয়েছে পথে বসার। তাদের সাথে আরও ১০জন দিনমজুরের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে যখন মাঠে হেসে ওঠে তরমুজের ফলন, ঠিক তখনি জোয়ারের পানিতে সেই হাসি কান্নায় পরিনত হয়েছে ।
এদিকে জোয়ারের পানি একদিন পর নেমে গেলেও বেশির ভাগ তরমুজ গাছের গোড়া বিদ্ধস্ত হয়েছে। আর এ কারণে আকারে বড় হতে পারবে ফলনের একটি বড় অংশ। প্রতিকুলতার মধ্যে ফসল বিক্রির পরে তাদের সব খরচ সেরে আসল নিয়ে ঘরে উঠতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে চাষীদের। এবং দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন কিভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন চাষীরা।
শুধু মানকীসুন্দর গ্রামের তরমুজই নয়, উপজেলার সাংগর, শুক্তাগর, কেওতা, পালট গ্রামের তরমুজের চাষ হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ২২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৪০ থেকে ৪৫ মেট্রিকটন। এখন মাঠে আধাপাকা তরমুজ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, মাঠে চাষীদের বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও তাদের কৃষি প্রনোদনার কর্মসূচি খরিপ ১/২০২১-২২ অর্থবছরের উফশী আউশ এর আওতায় নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।