সাভারের এক নারী গৃহকর্মীকে সৌদি আরবে বাসা বাড়িতে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন (ভিডিও)
বিপ্লব,সাভারঃ সাভারের এক নারী গৃহকর্মীকে সৌদি আরবে বাসা বাড়িতে আটকিয়ে রেখে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সকালে সাভার পৌর এলাকার পূর্ব জামসিং এলাকায় ওই নারী গৃহকর্মীর স্বামী নিজ বাড়িতে এ যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ করেন তার পরিবার।
জানাযায়,সাভারের পূর্ব জামসিং এলাকার রাব্বানী নামের এক যুবকের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন (৩৪) সংসারের অভাব অনটন ঘোচাতে তিন মাস আগে রান ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর লিমিটেডের মাধ্যমে সৌদি আরবে একটি বাসা বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে যান। পরে সৌদি আরবের রিয়াদে যাওয়ার পরে একটি বাসা বাড়িতে কাজ করছিলেন তিনি। এসময় বেতন কম দেওয়ায় তিনি কাজ ছেড়ে দিলে আবার অন্য একটি বাসা বাড়িতে কাজ নিলে সেখানে বেতন কম দেওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করলে প্রায় একমাস ধরে একটি ঘরে তাকে তালাবন্ধ করে রেখে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে। এসময়য় তাকে তালাবন্ধ রুমে খাবারও দেওয়া হচ্ছে না ঠিক মত। পরে তাকে যৌন নির্যাতন ও তালাবন্ধ করে রাখায় ওই নারী কৌশলে বিষয়টি সাভারে তার স্বামী রাব্বানীকে জানায়।
পরে তার স্বামী রান ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর লিমিটেডের ডিরেক্টর রুস্তম আলীকে জানালে উল্টো তিনি নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামীকে ভয়ভীতি দেখালে ওই নারীর স্বামী ১৪ জুন নারী পাচারকারী সুলতানাকে প্রধান আসামী করে রান ট্রাভেলস এন্ড ট্যুর লিমিটেডের ডিরেক্টর রুস্তম আলীকে দুই নং আসামী করে মানবপাচার আইনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি পল্টন থানাকে রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। পরে পল্টন থানা পুলিশ ২০ জুন মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে। আসামীরা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।
এদিকে স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের খবরে ওই নারী গৃহকর্মীর বাড়িতে চলছে কান্নার আওয়াজ। স্বামী রাব্বানী,শিশু সন্তান রবিন ও মেয়ে শিশু কন্যা রিয়া মনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে মায়ের এই করুণ অবস্থার কথা শুনে।
প্রতিবেশীরা ভীড় করছেন ওই বাড়িতে প্রতিনিয়ত। অবিলম্বে ওই নারী গৃহকর্মীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। ওই নারী গৃহকর্মীর স্বামী রিকুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
এবিষয়ে মুঠোফোনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন,ওই নারী গৃহকর্মী কোন রিকুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গেছে আমরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি তার পরেও আমি বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়কে বলে দিচ্ছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।