স্টাফ রিপোর্টার : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নির্মাণ করা হবে ৪ তলা বিশিষ্ট সম্প্রসারিত উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম।
ভবনটি নির্মাণের জন্য ভাঙা হচ্ছে বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভবনের একটি অংশ। ভাঙা অংশে ছিলো উপজেলা কৃষি, মহিলা বিষয়ক,সমাজসেবা,খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের পাঁচটি অফিস। এসব অফিস উপজেলা পরিষদের বাহিরে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারি ও সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ গুলো ।
সেবা নিতে আসা জয়মন্টপের আদিল মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসে এসেছি একটি কৃষি আয়কর সনদ নিতে, কিন্তু অফিসে এসে দেখি ভবনের চলছে ভাঙ্গচুরের কাজ। অনেক খোজাখুজির পর পেলাম অস্থায়ী কৃষি অফিস। অফিসের নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। অফিস সহকারীরা ব্যস্ত কাগজপত্র আসবাবপত্র গুছানোর কাজে। অফিস থেকে বলেছেন অন্য দিন আসতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান সপন বলেন, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অফিস স্থানান্তরের বিষয়টি জানিয়ে অফিসের ভাড়া চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু অফিস ভাড়ার টাকা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত স্টোর রুমে উঠতে হয়েছে। পরিত্যক্ত এই রুমে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ । অফিসের চারপাশে ময়লা আর্বজনা, দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব। এই পরিবেশে অফিস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমাজ সেবা অফিসে আসা শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ডে সমস্যা হওয়ায় অফিসে এসেছি। অনেক খোজাখুজির পর অফিস পেয়েছি। তবে অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিস গুছানোর কাছে ব্যস্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অফিস সহকারী জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে আমাদের অফিস দুর হওয়ায় দাপ্তরিকভাবে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের মধ্যে অস্থায়ী অফিসের ব্যবস্থা করলে ভোগান্তি অনেকটা কম হতো।
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ রুবাইয়াত জামান বলেন, পুরাতন ভবনটি মাস খানেরকের মধ্যে ভাঙ্গা হয়ে যাবে। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৪ তলা বিশিষ্ট সম্প্রসারিত উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও হলরুমের কাজ শুরু হবে। বড় ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাময়িক ভোগান্তি হতেই পারে।
এবিষয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুনা লায়লাকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।