২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দিনটি পালনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রংপুরে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে দলটির নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে এইচ এম এরশাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ মাহফিল, কোরআন শরীফ তেলাওয়াত, অসহায়-দুস্থদের মাঝে খাদ্যসহায়তা প্রদান ও উন্নত খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
অন্যদিকে সকালে রাজধানীর কাকরাইলে এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, পরে কাকরাইল কার্যালয়ে তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি হবে। দুপুরে সেখানে সংক্ষিপ্ত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখবেন জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষনেতারা। কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে দুপুরে সুবিধাবঞ্চিত ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন জাপা চেয়ারম্যান।
১৯৮২-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ গ্রাম-বাংলার উন্নয়নে কাজ করেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক বিল মওকুফসহ উপজেলা ব্যবস্থার প্রবর্তকও ছিলেন সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধান।
তার আমলেই মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। ১৯৮৬ সালে এরশাদ প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় পার্টি। শুরু থেকেই বৃহত্তর রংপুর জাতীয় পার্টির দুর্গে পরিণত হয়। আর তাই সাবেক সেনা প্রধান হলেও মৃত্যুর পর ভক্ত-অনুসারীদের দাবির মুখে এরশাদকে রংপুরের পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়।
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে পরিবারের সঙ্গে রংপুরে চলে আসেন।