সিংগাইরে দারোগা নিয়ে গ্রেফতার করাতে গিয়ে আসামীদের কূপের আঘাতে আবারও গুরুতর  জখম বাদী 

Loading

সিংগাইর ( মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ গত ২২ এপ্রিল রাতে সিংগাইর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড সিংগাইরে বোনের সাজানো, চুরি মামলার আসামী হারুন অর রশিদ, তার দুই ছেলে কামাল ও সোহেল পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ( বাদিনী রাজিয়া সুলতানা) কূপের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে হারুন অর রশিদ হারুসহ কামাল হোসেন, সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং হারুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে।

পঙ্গু হাসপাতাল হতে যথাযথ ভাঙা পায়ের ব্যান্ডিস করিয়া পুনরায় সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফেরত পাঠিয়েছে।

এখন তিনি সিংগাইরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণ ও সিংগাইর সদর সার্কেল এ এসপি রেজাউল হক, ওসি আসলাম হোসেন এর নির্দেশ আসামি গ্রেফতার করে মামলা রেকর্ড করতে হবে এই সিদ্ধান্তে ৬ দিন পরেও সেই মামলাটি আমলে নেয়নি সিংগাইর থানা পুলিশ ।

বাদির ছোট ছেলে সোহেল জানায়, এ দিকে মামলার আইও আঃ সোবহানকে আসামী ধরার জন্য ফোন করিলে তিনি বলেন দিনে আসামি গ্রেফতার করা যাবে না, কারণ মারামারি হতে পারে আসামিরা রাতে কোথায় থাকে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকিলে আমাকে জানাবেন সহ নানা তালবাহানা করেন এবং কি ৬ দিনেও মামলার আসামী ১২ জনের এক বাড়িতে হানা দেয়নি।

নানা জটিলতায় মামলার আইও পরিবর্তন করে গতকাল ২৮ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই বোরহান উদ্দিন সিভিল পোশাকে সঙ্গীয় এক জন পুলিশ নিয়ে হোন্ডা যোগে মামলার তদন্ত সহ আসামি গ্রেফতার করার ব্যার্থ চেষ্টা কালে বাদী মজিবুর রহমান ও তার ছেলে শুভ মারাত্মক জখম হয়েছে।

আহত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে হামজা ডালিম গং দের ধারালো দা দিয়ে ধাওয়া করার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া খাওয়ার পড়ে পুলিশের আগমনের সংবাদ পেয়ে ফিরে এসে মুজিবুর রহমান ও তার ছেলে শুভ।

কিন্তু হয়েছে বিপরীত, আসামী গ্রেফতার করাতো দূরের কথা উল্টো নিজে ছেলে নিয়ে বহু কূপের আঘাতে আহত হয়ে বড় ভাই চিকিৎসায় থাকা সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রুগী হয়ে যেতে হয় বাপ-বেটাকে।

জরুরি বিভাগের দায়িত্ব থাকা মোঃ শাহআলম জানায় মুজিবুর রহমান ও তার ছেলে শুভকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাস্পাাতালে  উন্নত চিকিিৎসা জন্য পাঠিয়েছি।

শুভর কানসহ কতক অংশ কেটে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়েছে
ও মুজিবুর রহমান এর মাথা ও বুকে বড় আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত রোগীর খবর জানতে চাইলে সিংগাইর চিকিৎসাধীন থাকা হারুন জানায় তার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান ও ভাতিজা শুভকে সোহরাওয়ার্দী হতে পুনরায় সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির জন্য আনিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা ভালো না দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবারও পাঠিয়েছে।

গতকাল রাতে ডালিম এর বড় ভাই হালিম নামে এক জন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা যায়।

আহত হারুন অর রশিদ এর ছেলে সোহেল বলেন আইও এস আই বোরহান উদ্দিনকে সিংগাইর নতুন বাজার হতে সংঙ্গে নিয়ে আসামী ধরতে গিয়ে মজিবুর ও শুভ পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান এর পিছনে হোন্ডা রেখে পুকুর পারে চলে যায়, দারোগা পায়ে হেটে না গিয়ে অন্য রাস্তায় যাইতে না যাইতেই পুকুরের চালার নীচে কতক আসামি সঙ্ঘবদ্ধ থেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। জখম অবস্থায় নিস্তেজ দেহ নিয়ে দারোগা স্বজনদের সাথে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়।

আসামি গ্রেফতার নিয়ে বাদীপক্ষের অনেক সংশয় কারণ সাজানো চুরি মামলায় জামাল গ্রেফতার হওয়ার সময় পুলিশ ও চুরি মামলার বাদীপক্ষ গৃহপালিত ২৫/২৬ টি মুরগী মোরগ ও কয়েকটি হাস দেখে আসে।পরের দিন জামাল জেল হাজতে থাকায় সেই লোভনীয় মুরগী চুরি করে নিয়ে যায় আসামি গং।

যাহা জামাল এর স্ত্রী সায়মা বলেন আমি জানালা খুলে দেখেছি ও চোর চোর বলে শব্দ করেছি। এই মুরগী দিয়ে মেহমান খাতির করিয়েছে আসামীরা। এ দিকে দ্বিতীয় দফার ঘটনায় প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ থানায় যায়নি।

সোহেল জানায় এ দিকে বাবার চিকিৎসা ও অপর দিকে ছোট চাচা, চাচাতো ভাই এর চিকিৎসা নিয়ে সকলেই হিমশিম খাচ্ছি, ছোট চাচার বুকের আঘাতে হাড় ভেঙ্গে হার্ট ছিদ্র হওয়ার এক্সরে রিপোর্ট পেয়েছি। এখন ডাঃ তাহাকে বক্ষব্যাধী হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই বোরহান উদ্দিন জানায় আমি পিছন থেকে বাদীকে আস্তে যেতে বলেছি আর আমি চকের মধ্যে হোন্ডা চালিয়ে যেতে একটু সময় বেশী লেগেছে এই সময়ের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।