কোন শাড়িতে কেমন ব্লাউজ

Loading

ঘরোয়া ছিমছাম অনুষ্ঠান হোক, বা সান্ধ্য আড্ডা, বিয়েবাড়ি বা পার্টিতেও ‘কনস্ট্রাস্ট’ করে পোশাক পরারই চল এখন। সাবেকি সাজ হোক বা ইন্দো-ওয়েস্টার্ন, বনেদি লুক থেকে আধুনিক— কোন শাড়ি কোন ধরনের ব্লাউজ দিয়ে পরবেন, বুঝতে পারছেন না? তা হলে জেনে নিন।

হালকা রঙের সঙ্গে গাঢ় রঙেরই সুন্দর মিলমিশ হয়। সাদা শাড়ির সঙ্গে কালো রঙের ব্লাউজ় পরলে বেশ লাগে।

সেই নিয়ম মেনেই সাদার সঙ্গে লালের যুগলবন্দির তুলনা নেই। আবার একই রঙের হালকা ও গাঢ় শেডও দেখতে ভাল লাগে। যেমন গাঢ় নীলরঙা শাড়ি হলে, তার সঙ্গে নীলের যে কোনও হালকা শেডের ব্লাউজ ভাল লাগবে।

হলুদ আর কমলার বৈপরীত্যও বেশ সুন্দর লাগে। আবার তেমন নীল-গোলাপি, সবুজ-নীলের বৈপরীত্য নজর কাড়ে।

এবার আসা যাক, ব্লাউজ বাছাইয়ের প্রসঙ্গে। কোটা শাড়ি বাঙালি মেয়েদের বেশ পছন্দের। এই শাড়ি একটু স্বচ্ছ। তাই গলা ঢাকা সাবেকি ধাঁচের ব্লাউজের সঙ্গে ভাল মানাবে। আবার যদি টিস্যু শাড়ি কেনেন, তা হলে বেছে নিতে পারেন ভি নেক ব্লাউজ। হাতা কনুই অবধি করতে পারেন। এখন এমন হাতা ব্লাউজ়ই পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

হালকা রঙের শিফন বা জর্জেটের শাড়ির সঙ্গে ভারী নকশা করা জমকালো ব্লাউজ ভাল লাগবে। তবে যদি জমকালো শিফন বা সিল্কের শাড়ি হয়, তা হলে হালকা রঙের ব্লাউজই বেছে নিন। এখন তো হ্যান্ডলুম শাড়ির খুব চল। হালকা রঙের সুতির হ্যান্ডলুম শাড়ির সঙ্গে গাঢ় রঙের ব্লাউজ ভাল মানাবে।

ঢাকাই জামদানির মতো শাড়ি হলে ভি নেক, কনুই অবধি হাতার ব্লাউজ পরলে ভাল লাগবে। ছিমছাম সান্ধ্য আড্ডায় বা ঘরোয়া পার্টিতে সুতির হ্যান্ডলুমের সঙ্গে হল্টার নেক পরে চমকে দিতে পারেন। হালকা নরম শাড়ির সঙ্গে হল্টার নেক আপনার সাজকেই করে তুলবে অন্য রকম। পার্টিতে আপনিই হবেন মধ্যমণি। এখন তো জুয়েল নেক ব্লাউজের কদর বাড়ছে। এই ধরনের ব্লাউজগুলিও অনুষ্ঠানবাড়িতে পরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত। ব্লাউযের গলার দিকে পাথর দিয়ে কিংবা ভারী চুমকি দিয়ে ভরাট কাজ করা থাকে। সাধারণত এগুলি্র গলা অনেকটা বড় হয়ে থাকে, যাতে কোনও ভারী হার বা চোকার পরার প্রয়োজন না হয়। যে কোনও শাড়ির সঙ্গেই এই ব্লাউজ পরলে দেখতে ভাল লাগে।

যদি বেনারসি বা কাঞ্জিভরমের মতো একটু ভারী শাড়ি পরেন, তা হলে এমব্রয়ডারি ব্লাউজ বেছে নিতে পারেন। বিয়েবাড়িতেও এমন ব্লাউজ পরে গেলে আপনার দিকেই নজর থাকবে সকলের।